৫০০ বছরের পুরোনো চেহারা পুনর্গঠন
যুক্তরাজ্যের লিচেস্টারে প্রাপ্ত কঙ্কাল
ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় রিচার্ডের (১৪৫২-১৪৮৫) বলে ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত
করা হয়েছে। কিন্তু ৫০০ বছরের পুরোনো সেই কঙ্কাল থেকে ঠিক কী প্রক্রিয়ায়
তাঁর চেহারা ফিরিয়ে এনেছেন বিজ্ঞানীরা? কঙ্কালটি ছাড়া তাঁর চেহারার আর কোনো
চিহ্ন বা প্রতিকৃতি ছিল না।
বিজ্ঞানীরা তৃতীয় রিচার্ডের
মাথার খুলির ছবি নিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাহায্য নেন। তাঁর খুলির
পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের (সিটি স্ক্যান) ভিত্তিতে চেহারাটি ত্রিমাত্রিক
পদ্ধতিতে (থ্রিডি) তৈরি করা হয়েছে। তারপর সেই ছবি প্লাস্টিকে স্থাপন করে
অনুমানের ভিত্তিতে ত্বক ও চুল এবং চোখের রং দিয়েছেন শিল্পী জেনিস
অ্যাইটকেন।
ড্যান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্যারোলিন উইলকিনসন বলেন, রিচার্ডের চেহারা সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাগুলো এড়িয়ে যাওয়া কঠিন ছিল। খুলি দেখে কারও গাল, নাক ও ভ্রু তৈরি করা এমনিতে অসম্ভব মনে হলেও বিভিন্ন সূত্র অনুসরণে সেটা সম্ভব। দাঁতের গঠন ও অবস্থান দেখে মুখমণ্ডলের আকৃতি তৈরি করা সম্ভব। নাক তৈরির কাজটা আসলেই বেশ কঠিন। তবে সম্প্রতি আবিষ্কৃত একটি পদ্ধতিতে নিচের হাড়ের গঠনের ওপর ভিত্তি করে এ কাজটিও সম্ভব হয়েছে। ভ্রু গঠন করা গেলেও কপালের ভাঁজসংখ্যা নির্ণয় করা যায়নি। এ প্রক্রিয়ায় মুখমণ্ডলের ৭০ শতাংশ প্রায় নির্ভুলভাবে তৈরি করা সম্ভব।
শেক্সপিয়ারের রিচার্ড দ্য থার্ড নাটকে রাজা তৃতীয় রিচার্ডকে খাটো, রুগ্ণ, কুঁজো হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কঠোর চেহারার ব্যক্তিটির বাঁ কাঁধ তুলনামূলক উঁচু ছিল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে তাঁর পুনর্গঠিত চেহারা দেখে রিচার্ড দ্য থার্ড সোসাইটির সদস্য ফিলিপা ল্যাংলি বলেন, রিচার্ডকে সুদর্শন দেখাচ্ছে। তাঁর চেহারা মোটেও অত্যাচারী শাসক মনে হচ্ছে না।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ম্যাথু স্কিনার বলেন, তৃতীয় রিচার্ডের চেহারা পুনর্গঠনের মাধ্যমে ড্যান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় বড় একটি বৈজ্ঞানিক কাজ করেছে। বিবিসি।
ড্যান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্যারোলিন উইলকিনসন বলেন, রিচার্ডের চেহারা সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাগুলো এড়িয়ে যাওয়া কঠিন ছিল। খুলি দেখে কারও গাল, নাক ও ভ্রু তৈরি করা এমনিতে অসম্ভব মনে হলেও বিভিন্ন সূত্র অনুসরণে সেটা সম্ভব। দাঁতের গঠন ও অবস্থান দেখে মুখমণ্ডলের আকৃতি তৈরি করা সম্ভব। নাক তৈরির কাজটা আসলেই বেশ কঠিন। তবে সম্প্রতি আবিষ্কৃত একটি পদ্ধতিতে নিচের হাড়ের গঠনের ওপর ভিত্তি করে এ কাজটিও সম্ভব হয়েছে। ভ্রু গঠন করা গেলেও কপালের ভাঁজসংখ্যা নির্ণয় করা যায়নি। এ প্রক্রিয়ায় মুখমণ্ডলের ৭০ শতাংশ প্রায় নির্ভুলভাবে তৈরি করা সম্ভব।
শেক্সপিয়ারের রিচার্ড দ্য থার্ড নাটকে রাজা তৃতীয় রিচার্ডকে খাটো, রুগ্ণ, কুঁজো হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কঠোর চেহারার ব্যক্তিটির বাঁ কাঁধ তুলনামূলক উঁচু ছিল বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে তাঁর পুনর্গঠিত চেহারা দেখে রিচার্ড দ্য থার্ড সোসাইটির সদস্য ফিলিপা ল্যাংলি বলেন, রিচার্ডকে সুদর্শন দেখাচ্ছে। তাঁর চেহারা মোটেও অত্যাচারী শাসক মনে হচ্ছে না।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ম্যাথু স্কিনার বলেন, তৃতীয় রিচার্ডের চেহারা পুনর্গঠনের মাধ্যমে ড্যান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় বড় একটি বৈজ্ঞানিক কাজ করেছে। বিবিসি।
No comments