জন্ডিস নিয়ে কিছু কথা by ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল
জন্ডিস কোন রোগের নাম নয়। রোগের উপসর্গ বা চিহ্ন এটা। জন্ডিসের কারণ : জন্ডিসের কারণগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রি-হেপাটিক : এৰেত্রে রক্তের লোহিত কণিকাগুলো ভেঙ্গে যায়।
এটা রক্ত রোগ যেমন_থ্যালাসেমিয়া অথবা কোন ওষুধের পাশর্্বপ্রতিক্রিয়া, কোন ইনফেকশন যেমন ম্যালেরিয়া ইত্যাদি দ্বারা হতে পারে।
হেপাটিক : এখানে সবচেয়ে বেশি যেটা হয় তাহলো ভাইরাস হেপাটাইটিজ। ওষুধের পাশর্্বপ্রতিক্রিয়ায় হতে পারে।
পোস্ট হেপাটিক : এখানে পাথর অথবা টিমার দ্বারা পিত্তনালী বন্ধ হয়ে যায়।
তবে এতসবের মধ্যে জন্ডিস বলতে সাধারণ মানুষ ভাইরাল হেপাটাইটিজকেই বোঝে।
উপসর্গ : চোখের সাদা অংশ এবং প্রস্রাব হলুদ হওয়া। হলুদ বর্ণ ধারণ করার কারণ হচ্ছে শরীরে বিলিরম্নবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। বিলিরম্নবিন যত বাড়বে হলুদ বর্ণ তত গভীর হবে। অন্য উপসর্গের মধ্যে আছে ৰুদামন্দা, বমি হওয়া, পেটে ব্যথা হওয়া এবং শরীর চুলকানো।
পরীৰাসমূহ : সিরাম বিলিরম্নবিন, এসজিপিটি, এসজিওটি, এ্যালকালাইন পসফাটেজ, প্রথ্রম্বিন টাইম এবং ভাইরাল মার্কার, আল্ট্রাসনোগ্রাম।
ভাইরাল মার্কার করার দরকার হয় কোন ভাইরাস দ্বারা ইনফেকশন হয়েছে সেটা নির্ণয়ের জন্য।
হেপাটাইটিজ ভাইরাস : এ, বি, সি, ডি ও ই ভাইরাস। এগুলোর মধ্যে এ এবং ই ভাইরাস ক্রনিক আকার ধারণ করে না কিন্তু অন্যগুলো ক্রনিক হতে পারে।
চিকিৎসা : চিকিৎসার জন্য বিশেষ কিছু দরকার পড়ে না। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই চলে।
জন্ডিসের চিকিৎসায় বিশ্রাম খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ। খাবার স্বাভাবিক খেতে হবে। কারও কারও ধারণা আছে তরকারিতে হলুদ দেয়া যাবে না। সেটা ঠিক নয়। আবার এও ধারণা আছে প্রচুর আখ খেতে হবে। তারও দরকার নেই। কবিরাজি ওষুধ অবশ্যই খাবেন না। তাতে আপনার লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মনে রাখবেন জন্ডিস অল্পতেই ভাল হতে পারে আবার অবহেলায় মৃতু্যও হতে পারে। সুতরাং নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ
হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।
হেপাটিক : এখানে সবচেয়ে বেশি যেটা হয় তাহলো ভাইরাস হেপাটাইটিজ। ওষুধের পাশর্্বপ্রতিক্রিয়ায় হতে পারে।
পোস্ট হেপাটিক : এখানে পাথর অথবা টিমার দ্বারা পিত্তনালী বন্ধ হয়ে যায়।
তবে এতসবের মধ্যে জন্ডিস বলতে সাধারণ মানুষ ভাইরাল হেপাটাইটিজকেই বোঝে।
উপসর্গ : চোখের সাদা অংশ এবং প্রস্রাব হলুদ হওয়া। হলুদ বর্ণ ধারণ করার কারণ হচ্ছে শরীরে বিলিরম্নবিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। বিলিরম্নবিন যত বাড়বে হলুদ বর্ণ তত গভীর হবে। অন্য উপসর্গের মধ্যে আছে ৰুদামন্দা, বমি হওয়া, পেটে ব্যথা হওয়া এবং শরীর চুলকানো।
পরীৰাসমূহ : সিরাম বিলিরম্নবিন, এসজিপিটি, এসজিওটি, এ্যালকালাইন পসফাটেজ, প্রথ্রম্বিন টাইম এবং ভাইরাল মার্কার, আল্ট্রাসনোগ্রাম।
ভাইরাল মার্কার করার দরকার হয় কোন ভাইরাস দ্বারা ইনফেকশন হয়েছে সেটা নির্ণয়ের জন্য।
হেপাটাইটিজ ভাইরাস : এ, বি, সি, ডি ও ই ভাইরাস। এগুলোর মধ্যে এ এবং ই ভাইরাস ক্রনিক আকার ধারণ করে না কিন্তু অন্যগুলো ক্রনিক হতে পারে।
চিকিৎসা : চিকিৎসার জন্য বিশেষ কিছু দরকার পড়ে না। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলেই চলে।
জন্ডিসের চিকিৎসায় বিশ্রাম খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ। খাবার স্বাভাবিক খেতে হবে। কারও কারও ধারণা আছে তরকারিতে হলুদ দেয়া যাবে না। সেটা ঠিক নয়। আবার এও ধারণা আছে প্রচুর আখ খেতে হবে। তারও দরকার নেই। কবিরাজি ওষুধ অবশ্যই খাবেন না। তাতে আপনার লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মনে রাখবেন জন্ডিস অল্পতেই ভাল হতে পারে আবার অবহেলায় মৃতু্যও হতে পারে। সুতরাং নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ
হলিফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।
No comments