বগুড়ায় থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন: অভিযোগের আঙুল প্রশাসনের দিকে by টি. এম মামুন
বগুড়ার শতাধিক স্থানে অবাধে চলছে অবৈধ
বালু উত্তোলন। শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া ও এর তীরবর্তী পৌর এলাকাই
মূলত টার্গেট বালু ব্যবসায়ীদের।
এছাড়া সদর উপজেলার মাদলা,
রাজাপুর, শাখারিয়া, নামুজা, নিশিন্দারা ও লাহেরী পাড়া ইউনিয়নের শত শত বিঘা
আবাদী জমিসহ জেলার শাজাহানপুর, শেরপুর, ধুনট, সারিয়াকান্দি, নন্দীগ্রাম,
শিবগঞ্জ ও কাহালু উপজেলাতেও অবাধে বালু উত্তোলন চলছে।
বাংলানিউজের
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকার ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকেই রাজনীতিতে জড়িত
এক শ্রেণির অসাধু যুবক বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালাচ্ছে দেদারছে। অথচ এই
বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করেই বিগত দু’বছরে প্রায় দেড় ডজন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে
জেলায়। এছাড়া বালু উত্তোলনের ফলে ভূমিহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫শ’
পরিবার। বিভিন্নভাবে হুমকির মুখে রয়েছে আরো প্রায় এক হাজার পরিবার।
তবে র্যাব ও পুলিশের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী অথবা তাদের নিজস্ব/ঘনিষ্ঠ লোকজন এসব অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালু ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিশেষ কৌশলে তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিও হয়ে গেছেন। যে কারণে বিরোধী দলের লোকজনের সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগ রয়েছে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের। যদিও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
তবে সস্প্রতি ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এক সভায় বলা হয়, চিহ্নিত কিছু দুর্বৃত্ত মালতীনগর সংলগ্ন বেজাড়ো এলাকায় জোর করে ভয়-দেখিয়ে জমি দখল করে বালু উত্তোলন করছে।
এদিকে, অবৈধ এসব বালু ব্যবসায়ীদের হাত রক্ষার জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ বিভিন্ন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পর্যন্ত আবেদন ও স্মারকলিপি দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একই সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেও রক্ষা পায়নি ভূমি মালিকরা। বরং অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে প্রাণনাশসহ লাঞ্ছনার স্বীকার হওয়াসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বিভিন্ন সময়ে পাওয়া অভিযোগে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার শাখারিয়া পশ্চিম সীমানায় করতোয়া তীরবর্তী ও দক্ষিণপাড়ার কাঁঠালতলা, বারাইপাড়া, বাউলাপাড়া, নামাবেলা, তিলেরপাড়া, মাদারতলা, মানিকচক উত্তর সীমানা, ফুলবাড়ী শ্মশ্মান এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের ফলে বহু আবাদী জমি ও বসতবাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে এবং এরইমধ্যেই অনেক আবাদী জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কিছু সময় ক্ষতিগস্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ বা আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা অবৈধ এবং অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি জব্দ করাসহ জরিমানা করেন। কিন্তু কথায় আছে-দুর্জনের ছলের অভাব হয় না। শেষ পর্যন্ত তা আর কাজে আসেনি। পরবর্তীতে একই স্থানে অন্য কোনো মাধ্যমে বালু উত্তোলন শুরু করেন ওইসব অসৎ ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে, অভিযোগ রয়েছে- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট ও প্রভাবশালী এসব বালু ব্যবসায়ী নিয়ম না মেনে আবাদী জমি কিনেও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।
বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসগার হেনা বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে বাংলানিউজকে জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন যেটুকু কাজ তা পুলিশ ও পরিবেশ অধিফতরের।
জেলা শহরের বাইরে অন্য যেসব স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয় সেগুলো হলো- ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ী, বানিয়াজান, বড়ইতলী, বঙ্গালী নদীর ঝাঝর ঘাট, তারাকান্দী, নবীনগর, চৌকিবাড়ী, পেঁচিবাড়ী, বিলকাজুলী, শাকদহ, চকধুলী, নিমগাছি-বেড়েরবাড়ী বাঙ্গালী নদীর তীর, বথুয়াবাড়ি বাঙ্গালী নদীর তীর, শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বাঙ্গালী নদীর চোমরপাথালিয়া গ্রাম এলাকা, খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রাম, চান্দাইকোনা ফুলঝোড়, কল্যাণী, বড়িতলী, জোরগাছা, বেলগাছী, আওলাকান্দি, সুত্রাপুর, সারিয়াকান্দি উপজেলার জোড়গাছার বাঙ্গালী নদীর উপর ব্রিজের উভয় পাশে, ছাগলধরা, বাঁশহাটা, নিজ বলাইল, হিন্দুকান্দি, আওলাকান্দি, চন্দনবাইশা, হাসনাপাড়া, কালিতলা, দড়িপাড়া, দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমহনী ইরামতি খাড়ি, ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটের অদূরে চামরুল ইউনিয়নের বলদমারা, হাটমাগুরা, ক্যাস্তা, সঞ্জয়পুর, পূর্ব ওলঅহালী, ভেলুরচরসহ প্রায় ১৪/১৫ টি স্পটে, কাহালু উপজেলার বীরকেদার, দুর্গাপুর, কালাইসহ ৪/৫ টি স্পট, সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি, নওদাবগা, রশিদপুর, আড়িসহ ৬/৭ টি স্পটে, শিবগঞ্জ উপজেলা সদর, রায়নগর ও অনন্তবালাসহ প্রায় ৪/৫ টি স্থানে, নন্দীগ্রাম উপজেলার গুলিয়া হাটের পাশে, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম এলাকা থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করা হয়।
বালু উত্তোলন বিষয়ে কথা বলেতে গেলে ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু তোলা হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনীত এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারোয়ার মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, তিনি যোগদান করার আগে জেলার অনেক স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছিল। এরপর দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের সাবধান করে দেওয়া এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অর্থিক জরিমানাসহ তাদের অনেক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। তবে যারা সরকার অনুমোদিত স্থান থেকে বালু উত্তোলন করছে, তারাও যথাযথভাবে নিয়ম মেনে বালু উত্তোলন করছে কি-না, সে দিকেও যথেষ্ট নজর রাখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি জানান, সম্প্রতি কতিপয় ব্যক্তি আড়ালে আবডালে কিছু স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে তিনি জেনেছেন। সেগুলোকে চিহ্নিত করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক আলী রেজা মজিদ বাংলানিউজকে জানান, এক্ষেত্রে মূল কাজটা করার কথা জেলা প্রশাসনের। তবে যেখানেই পরিবেশের বিপর্যয় বা হুমকির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানেই পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করে। সে অনুযায়ী অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ মহলকে অবগত করে জেলার বেশ কিছু অবৈধ বালু ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তারা রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের ১৬ টি জেলায় কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে দ্রুত সবদিকে সব সময় নজর দেওয়াটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবুও সীমিত জনবল দিয়েই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে র্যাব ও পুলিশের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী অথবা তাদের নিজস্ব/ঘনিষ্ঠ লোকজন এসব অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালু ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিশেষ কৌশলে তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিও হয়ে গেছেন। যে কারণে বিরোধী দলের লোকজনের সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগ রয়েছে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের। যদিও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
তবে সস্প্রতি ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এক সভায় বলা হয়, চিহ্নিত কিছু দুর্বৃত্ত মালতীনগর সংলগ্ন বেজাড়ো এলাকায় জোর করে ভয়-দেখিয়ে জমি দখল করে বালু উত্তোলন করছে।
এদিকে, অবৈধ এসব বালু ব্যবসায়ীদের হাত রক্ষার জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ বিভিন্ন সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পর্যন্ত আবেদন ও স্মারকলিপি দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একই সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেও রক্ষা পায়নি ভূমি মালিকরা। বরং অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে প্রাণনাশসহ লাঞ্ছনার স্বীকার হওয়াসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
বিভিন্ন সময়ে পাওয়া অভিযোগে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার শাখারিয়া পশ্চিম সীমানায় করতোয়া তীরবর্তী ও দক্ষিণপাড়ার কাঁঠালতলা, বারাইপাড়া, বাউলাপাড়া, নামাবেলা, তিলেরপাড়া, মাদারতলা, মানিকচক উত্তর সীমানা, ফুলবাড়ী শ্মশ্মান এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের ফলে বহু আবাদী জমি ও বসতবাড়ী হুমকির মুখে পড়েছে এবং এরইমধ্যেই অনেক আবাদী জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কিছু সময় ক্ষতিগস্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ বা আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা অবৈধ এবং অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি জব্দ করাসহ জরিমানা করেন। কিন্তু কথায় আছে-দুর্জনের ছলের অভাব হয় না। শেষ পর্যন্ত তা আর কাজে আসেনি। পরবর্তীতে একই স্থানে অন্য কোনো মাধ্যমে বালু উত্তোলন শুরু করেন ওইসব অসৎ ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে, অভিযোগ রয়েছে- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট ও প্রভাবশালী এসব বালু ব্যবসায়ী নিয়ম না মেনে আবাদী জমি কিনেও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।
বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসগার হেনা বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে বাংলানিউজকে জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন যেটুকু কাজ তা পুলিশ ও পরিবেশ অধিফতরের।
জেলা শহরের বাইরে অন্য যেসব স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয় সেগুলো হলো- ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ী, বানিয়াজান, বড়ইতলী, বঙ্গালী নদীর ঝাঝর ঘাট, তারাকান্দী, নবীনগর, চৌকিবাড়ী, পেঁচিবাড়ী, বিলকাজুলী, শাকদহ, চকধুলী, নিমগাছি-বেড়েরবাড়ী বাঙ্গালী নদীর তীর, বথুয়াবাড়ি বাঙ্গালী নদীর তীর, শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বাঙ্গালী নদীর চোমরপাথালিয়া গ্রাম এলাকা, খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রাম, চান্দাইকোনা ফুলঝোড়, কল্যাণী, বড়িতলী, জোরগাছা, বেলগাছী, আওলাকান্দি, সুত্রাপুর, সারিয়াকান্দি উপজেলার জোড়গাছার বাঙ্গালী নদীর উপর ব্রিজের উভয় পাশে, ছাগলধরা, বাঁশহাটা, নিজ বলাইল, হিন্দুকান্দি, আওলাকান্দি, চন্দনবাইশা, হাসনাপাড়া, কালিতলা, দড়িপাড়া, দুপচাঁচিয়া উপজেলার চৌমহনী ইরামতি খাড়ি, ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটের অদূরে চামরুল ইউনিয়নের বলদমারা, হাটমাগুরা, ক্যাস্তা, সঞ্জয়পুর, পূর্ব ওলঅহালী, ভেলুরচরসহ প্রায় ১৪/১৫ টি স্পটে, কাহালু উপজেলার বীরকেদার, দুর্গাপুর, কালাইসহ ৪/৫ টি স্পট, সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি, নওদাবগা, রশিদপুর, আড়িসহ ৬/৭ টি স্পটে, শিবগঞ্জ উপজেলা সদর, রায়নগর ও অনন্তবালাসহ প্রায় ৪/৫ টি স্থানে, নন্দীগ্রাম উপজেলার গুলিয়া হাটের পাশে, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম এলাকা থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করা হয়।
বালু উত্তোলন বিষয়ে কথা বলেতে গেলে ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু তোলা হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনীত এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) সারোয়ার মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, তিনি যোগদান করার আগে জেলার অনেক স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছিল। এরপর দ্রুত অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের সাবধান করে দেওয়া এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অর্থিক জরিমানাসহ তাদের অনেক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। তবে যারা সরকার অনুমোদিত স্থান থেকে বালু উত্তোলন করছে, তারাও যথাযথভাবে নিয়ম মেনে বালু উত্তোলন করছে কি-না, সে দিকেও যথেষ্ট নজর রাখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি জানান, সম্প্রতি কতিপয় ব্যক্তি আড়ালে আবডালে কিছু স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে তিনি জেনেছেন। সেগুলোকে চিহ্নিত করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক আলী রেজা মজিদ বাংলানিউজকে জানান, এক্ষেত্রে মূল কাজটা করার কথা জেলা প্রশাসনের। তবে যেখানেই পরিবেশের বিপর্যয় বা হুমকির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানেই পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করে। সে অনুযায়ী অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ মহলকে অবগত করে জেলার বেশ কিছু অবৈধ বালু ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তারা রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের ১৬ টি জেলায় কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে দ্রুত সবদিকে সব সময় নজর দেওয়াটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবুও সীমিত জনবল দিয়েই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
No comments