পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চললেও সংসদে উত্তেজনা কমছে
পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক বক্তব্য চললেও সংসদের উত্তাপ-উত্তেজনা কমতে শুরম্ন করেছে। সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা যুদ্ধংদেহী মনোভাব থেকেও আসত্মে আসত্মে সরে আসছে।
গত চার কার্যদিবসে সরকার ও বিরোধী দলের তুমুল বাকযুদ্ধ, দফায় দফায় ওয়াকআউট আর অশালীন ও কুরম্নচিপূর্ণ মনত্মব্যে অধিবেশন উত্তাল থাকলেও বুধবারের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন। সরকারী দলের কিছুটা সহনশীল অবস্থানের কারণে বুধবারই প্রথম সংসদ থেকে ওয়াকআউটের সুযোগ পায়নি বিরোধী দল। ১১ ফেব্রম্নয়ারি বিরোধী দল যোগদানের পর বুধবারই প্রথম সংসদে উত্তাপ ছিল অনেকটা কম। বুধবারও সরকার ও বিরোধী দলের বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বিএনপির দু'একজন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি করতেও দ্বিধা করেননি। তবে উভয়পৰই গত দিনগুলোর তুলনায় ছিলেন সহনশীল। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় পাল্টাপাল্টি আক্রমণাত্মক বক্তব্যে সংসদে উত্তাপ ছড়ালেও পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্রি-স্টাইলে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেননি স্পীকার। এৰেত্রে স্পীকার প্রথম থেকেই ছিলেন কঠোর। অযথা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে সংসদকে উত্তপ্ত করার সুযোগ দেননি তিনি।রাষ্ট্রপতির আলোচনায় সরকার ও বিরোধী দল ব্যক্তিকুৎসা, কুরম্নচিপূর্ণ বক্তব্যের পরিবর্তে উভয়পৰই একে অপরের শাসনামলের ব্যর্থতা তুলে ধরতেই অধিক মনোযোগী ছিল। বিএনপির দু'সংসদ সদস্যের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আপত্তিকর মনত্মব্যে সরকারী দল তীব্র ৰোভ-বিৰোভে ফেটে পড়লেও ওই মনত্মব্য এক্সপাঞ্জ করার স্পীকারের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিকেল সোয়া তিনটায় সংসদের বৈঠকের শুরম্নতেই কাউকে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফোর দিতে স্পীকার অপরাগতা প্রকাশ করলে সরকার ও বিরোধী দল তা মেনে নেয়। তবে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় উভয়পৰের আক্রমণাত্মক বক্তব্য এবং জাতীয় নেতাদের নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ মনত্মব্যে মাঝে মধ্যেই কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও স্পীকারের কৌশলী অবস্থানে তা বেশিদূর যেতে পারেনি।
দিনের কার্যসূচীতে থাকা প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন এবং জনগুরম্নত্বসম্পন্ন নোটিস স্থগিত করে সরাসরি রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরম্ন করেন স্পীকার। বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের মনোরঞ্জন শীল গোপাল, সোহরাব আলী সানা, লুৎফুল হাই সাচ্চু, আকম বাহাউদ্দিন বাহার, শাহ আলম, জোয়ার্দার হক ছেলুন, বিএনপির আমজাদ হোসেন, নাজিমউদ্দিন আহমেদ, মোজাহার আলী প্রধান এবং এলডিপির ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম।
No comments