নওগাঁয় নিপা ভাইরাসে শিশুর মৃত্যু- রামেকে ভর্তি ২ জন
নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৭ জানুয়ারি ॥ জেলার বদলগাছী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাগর (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সাগরের বাবা মনোরঞ্জন জানান, সপ্তাহখানেক আগে খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে অসুস্থ হয়েছিল তার শিশুপুত্র সাগর। শুক্রবার রাতে অস্বাভাবিক জ্বর দেখা দিলে স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শ নেন। তাতে কোন উন্নতি না হলে তারা শনিবার নিয়ে যান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সাগর। কৃষ্ণপুর গ্রামবাসী জানায়, এর আগে তারা নিপা ভাইরাস সম্পর্কে জানত না। তারা জানে না কীভাবে নিপা ভাইরাস আসে মানব দেহে। এ বিষয়ে সরকারীভাবে কখনও কোন প্রচার চালানো হয়নি এলাকায়। গ্রামের সজীব কুমার জানান, ইতোপূর্বে খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে অনেকেই মারা যাওয়ার খবর রয়েছে। তবে কেউ জানে না মরণঘাতী নিপা ভাইরাসের কথা। তারা আরও জানান, কৃষ্ণপুরসহ আশপাশের এলাকায় বাদুড়ের বহুসংখ্যক আবাস্থল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল বিকেলে হাজার-হাজার বাদুড় দেখা মেলে। কিন্তু এসব বাদুড় থেকেই মানুষের মরণব্যাধি আসবে তা জানা নেই তাদের কারও।স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আলফা নামের ৩ বছরের এক শিশু হাসপাতালের ১৭ নম্বর কেবিনে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছে।
আলফা পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা সদরের বনগ্রামের আলাল উদ্দিনের মেয়ে। চিকিৎসকরা তার রক্তের নমুনা ঢাকার আইসিডিডিআরবিতে পাঠিয়ে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চত হয়েছেন। সে বাড়িতে খেজুরের রস পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল গ্রামের সাইফুল ইসলামের ৮ মাসের ছেলে মিল্লাত তীব্র জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে ওই দিনই তার মা আম্বিয়া খাতুন (২৮) নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার দুধ পান করে আক্রান্ত হয় ৮ মাসের শিশু মিল্লাত। নাটোর হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিল্লাতকে রামেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের ইনডোর মেডিক্যাল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, এদের দুইজনের মধ্যে তিন বছরের শিশু আলফার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
No comments