বসন্ত উৎসব, নূরুল ইসলামের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী শুরু- সংস্কৃতি সংবাদ
প্রকৃতির গায়ে এখন বসন্তের রং। মানুষের মনকেও দারুন রাঙ্গিয়ে দিতে ব্যস্ত ঋতুরাজ। আর তাই রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি অনেক বেশি আবেদন নিয়ে হাজির হলো দর্শকের সামনে।
খোলা প্রকৃতির হাওয়া গায়ে মেখে সকলেই উপভোগ করলেন শিল্পীদের নাচ, গানসহ হরেক পরিবেশনা। সোমবার বিকেলে এ উৎসবের আয়োজন করে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। অনুষ্ঠানে ছিল একক ও দলীয় সঙ্গীত এবং নাচের পরিবেশনা। ভরত নাট্যম নাচের মধ্য দিয়ে সূচনা করা হয় অনুষ্ঠানের। এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে শিল্পীরা গেয়ে শোনান 'আজি দখিন দুয়ার' গানটি। ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে, ঝরো ঝরো ঝরো ঝরো, ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়, আজ খেলা ভাঙার খেলাসহ বেশ কয়েকটি দলীয় সঙ্গীতেও ছিল বসনত্মের বন্দনা। অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন পাপিয়া সারোয়ার, মিতা হক, মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, রোকাইয়া হাসিনা, স্বপন দত্ত, সুস্মিতা আহমেদ, নূর-ই রেজিয়া মম, হিমাদ্রি শেখর, এটিএম জাহাঙ্গীর, শুক পাল, তানিয়া মান্নান, সিফায়েত উলস্নাহ, নন্দিতা ইয়াসমিন ও অনুপ কুমার পাল। তাঁদের গাওয়া গানগুলোর মধ্যে ছিল_ আকাশ আমায় ভরল, যে কেবল পালিয়ে বেড়ায়, যদি তারে নাই চিনি, বসনত্ম আজ ধরায় চিত্ত, ও মঞ্জরী ও মঞ্জরী, একলা বসে, সেই ভাল সেই ভাল, আমি তোমার সঙ্গে, এ বেলা ডাক পড়েছে, রোদনভরা এ বসনত্ম, বসনত্মে কি শুধু, অনেক দিনের শূন্যতা ও এই উদাসী হাওয়ার পথে। এ ছাড়াও বসনত্ম উৎসবে ছিল বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন নাচের পরিবেশনা। নীল দিগনত্মে, আমি পথ ভোলা এক পথিক ইত্যাদি গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশনের সময় নেচে ওঠে যেন চারপাশের প্রকৃতিও। একই আয়োজনে ছিল আবৃত্তির পরিবেশনা। সব মিলিয়ে তাই দারম্নণ উপভোগ্য হয়ে ওঠে বসনত্ম উৎসব।শিল্পী নূরম্নল ইসলামের একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী শিল্পকলায় শিল্পী নূরম্নল ইসলামের একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী 'শাশ্বতের ডাক' সোমবার শিল্পকলা একাডেমীতে শুরম্ন হয়েছে। বিকেলে এর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থপতি শামসুল ওয়ারেস, শিল্প সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল আমিরম্নল ইসলাম। একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারম্নকলা বিভাগের পরিচালক মুশফিক আহমদ শামীম।
বক্তারা বলেন, শিল্পী নূরম্নল ইসলামের চিত্রকর্ম স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়ে আসছে। ছবি অাঁকার মধ্য দিয়ে তিনি নিজের ভাবনা জগতের বহিপর্্রকাশ ঘটান। তাঁর শিল্পকর্ম তাই দর্শককে মুগ্ধ করার পাশাপাশি চিনত্মার খোরাক দেয়। ভবিষ্যতেও একইভাবে তিনি এঁকে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে শিল্পীও জানান, সারাজীবন এঁকে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৬ মার্চ পর্যনত্ম।
No comments