তেলেঙ্গানা নিয়ে পৃথক রাজ্য-এক মাসের সময় নিয়েছে সরকার বন্ধের ডাক টিআরএসের
ভারতে আগামী এক মাসের মধ্যে পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার অঙ্গীকার করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গত শুক্রবার তেলেঙ্গানা প্রশ্নে সর্বদলীয় বৈঠক হয় দিলি্লতে। প্রত্যাশিতভাবেই অমীমাংসিত থাকে সেই বৈঠক।
কিন্তু বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে বলেন, 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য সরকার মাত্র এক মাস সময় নেবে। আশা করা যায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সবারই ভালো হবে। তাই সব পক্ষ যেন শান্তি বজায় রাখে।'
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি পৃথক রাজ্য গঠনের পক্ষে সোচ্চার দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবিতে গতকাল শনিবার তারা অন্ধ্র প্রদেশে বন্ধ পালন করে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও তেলেঙ্গানা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি বন্ধে সমর্থন দেয়।
কংগ্রেসের সূত্রে বলা হচ্ছে, পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে নেওয়ার সম্ভাবনাই এখন বেশি। অর্ধেক ছেড়ে দিয়েও যদি বিপদ এড়ানো যায়, তেলেঙ্গানা প্রশ্নে কার্যত সেই কৌশলই নিতে পারে কংগ্রেস। এত দিন পৃথক রাজ্যের দাবিদার ও এর বিরোধী_উভয় পক্ষকে অপেক্ষায় রেখে গোটা অন্ধ্র প্রদেশে নিজেদের ভোটব্যাংক সামলে রাখার নীতি নিয়ে চলছিল কংগ্রেস। পরপর দুটি লোকসভা ভোটে যে রাজ্য কংগ্রেসকে কেন্দ্রে শক্তি জুগিয়েছে, সেখানে ঝুঁকি নিতে চাননি সোনিয়া গান্ধী।
কিন্তু অন্ধ্রে এখন কংগ্রেসের নতুন করে আর হারানোর কিছু নেই। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকলেও তেলেঙ্গানা বাদ দিয়ে বাকি অন্ধ্রে এখন ওয়াইএসআর কংগ্রেস তথা জগন্মোহন রেড্ডির ঝড় চলছে। এ অবস্থা চললে সেখানে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় অবধারিত। কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, পৃথক রাজ্যের দাবি মানলে তেলেঙ্গানায় তাঁরা ভালো করতে পারবেন।
এ হিসাব মাথায় রেখেই কেন্দ্র জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তেলেঙ্গানা বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে। পৃথক রাজ্য গঠনের জন্য বিল পেশ হতে পারে সংসদের বাজেট অধিবেশনে। আলাদা রাজ্য গঠনের জন্য এর পরেও অন্তত পাঁচ-ছয় মাস লাগবে। কংগ্রেসের এ কৌশল আঁচ করেই এখন অসহিষ্ণু ভাব দেখাচ্ছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) নেতা চন্দ্রশেখর রাও এবং বিজেপি নেতৃত্ব।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি পৃথক রাজ্য গঠনের পক্ষে সোচ্চার দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবিতে গতকাল শনিবার তারা অন্ধ্র প্রদেশে বন্ধ পালন করে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও তেলেঙ্গানা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি বন্ধে সমর্থন দেয়।
কংগ্রেসের সূত্রে বলা হচ্ছে, পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে নেওয়ার সম্ভাবনাই এখন বেশি। অর্ধেক ছেড়ে দিয়েও যদি বিপদ এড়ানো যায়, তেলেঙ্গানা প্রশ্নে কার্যত সেই কৌশলই নিতে পারে কংগ্রেস। এত দিন পৃথক রাজ্যের দাবিদার ও এর বিরোধী_উভয় পক্ষকে অপেক্ষায় রেখে গোটা অন্ধ্র প্রদেশে নিজেদের ভোটব্যাংক সামলে রাখার নীতি নিয়ে চলছিল কংগ্রেস। পরপর দুটি লোকসভা ভোটে যে রাজ্য কংগ্রেসকে কেন্দ্রে শক্তি জুগিয়েছে, সেখানে ঝুঁকি নিতে চাননি সোনিয়া গান্ধী।
কিন্তু অন্ধ্রে এখন কংগ্রেসের নতুন করে আর হারানোর কিছু নেই। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকলেও তেলেঙ্গানা বাদ দিয়ে বাকি অন্ধ্রে এখন ওয়াইএসআর কংগ্রেস তথা জগন্মোহন রেড্ডির ঝড় চলছে। এ অবস্থা চললে সেখানে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় অবধারিত। কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, পৃথক রাজ্যের দাবি মানলে তেলেঙ্গানায় তাঁরা ভালো করতে পারবেন।
এ হিসাব মাথায় রেখেই কেন্দ্র জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তেলেঙ্গানা বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে। পৃথক রাজ্য গঠনের জন্য বিল পেশ হতে পারে সংসদের বাজেট অধিবেশনে। আলাদা রাজ্য গঠনের জন্য এর পরেও অন্তত পাঁচ-ছয় মাস লাগবে। কংগ্রেসের এ কৌশল আঁচ করেই এখন অসহিষ্ণু ভাব দেখাচ্ছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) নেতা চন্দ্রশেখর রাও এবং বিজেপি নেতৃত্ব।
No comments