আ. লীগের কাউন্সিলে শেখ হাসিনা-নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে মাথা পেতে নেব
আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণের যেকোনো রায় মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, 'জনগণ ভালো লাগলে ভোট দেবে, না লাগলে দেবে না। জনগণ যে রায় দেবে, তা মাথা পেতে নেব।'
গতকাল শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলের ১৯তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। পাশাপাশি নির্বাচনের এক বছর আগে এখন খোলস বদলে কেউ যেন দলে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতেও তিনি পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে বলেন, অনেকের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ আছে। কিন্তু জনগণের সামনাসামনি দাঁড়ানোর সাহস নেই। তারা অলিগলি-চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারাই জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। এদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
দলে কেউ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে দলের নেতাদের এমন নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, "কিছু লোক আছে তারা সব সময়ই 'সরকারি দল'। এখন যেহেতু আমরা ক্ষমতায় আছি, অনেকেই খোলস বদলে দলে এসে অপকর্ম করে দলের বদনাম সৃষ্টি করবে। এদের দলে নেবেন না।" দলের ১৯তম সম্মেলন শুধুই নিয়ম রক্ষার নয় দাবি করে শেখ হসিনা বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠন শক্তিশালী হবে, নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চিন্তা কারো থাকলে তাদের এ চিন্তা থেকে দূরে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য কমিশনসহ সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র সুসংহত ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে সব স্বাধীনতা দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন রেকর্ড নেই যে, একটি সরকার ক্ষমতায় থাকে আর মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের ডেকে দুর্নীতি দমন কমিশন জিজ্ঞাসাবাদ করে।
'শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনবদলের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ'- এটি হচ্ছে সম্মেলনের স্লোগান। সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপপরিষদের আহ্বায়কের ভাষণে দলের প্রবীণ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদকের ভাষণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্বাচনী ইশতেহারের অসম্পূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ের জন্য সর্বশক্তি নিয়ে জনগণকে সংগঠিত করার আহ্বান জানান।
সকাল সাড়ে ১১টায় সম্মেলনস্থলে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা পৌঁছলে বিপুল করতালি ও 'জয় বাংলা' স্লোগানের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানান প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর ও ২০ হাজারের মতো প্রতিনিধি। সম্মেলনস্থলে পৌঁছে শেখ হাসিনা জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এর পর শেখ হাসিনা শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে সম্মেলন উপলক্ষে লেখা একটি গান বাংলা ছাড়াও ১২টি নৃতাত্তি্বক গোষ্ঠীর ভাষায় গাওয়া হয়। গানের সঙ্গে নাচও ছিল।
নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চের সামনের দুই দিকে ছিল বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি। মঞ্চের সামনে বাঁ দিকে ছিল জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানের প্রতিকৃতি। ডান দিকে ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ও শামসুল হকের প্রতিকৃতি।
সম্মেলন মঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা। মঞ্চের সামনে অতিথি সারিতে ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, দলীয় নেতা, আমন্ত্রিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং কূটনীতিকরা।
উদ্বোধনী অধিবেশন পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক নূহ-উল-আলম লেনিন ও উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে বলেন, অনেকের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ আছে। কিন্তু জনগণের সামনাসামনি দাঁড়ানোর সাহস নেই। তারা অলিগলি-চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারাই জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। এদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
দলে কেউ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে দলের নেতাদের এমন নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, "কিছু লোক আছে তারা সব সময়ই 'সরকারি দল'। এখন যেহেতু আমরা ক্ষমতায় আছি, অনেকেই খোলস বদলে দলে এসে অপকর্ম করে দলের বদনাম সৃষ্টি করবে। এদের দলে নেবেন না।" দলের ১৯তম সম্মেলন শুধুই নিয়ম রক্ষার নয় দাবি করে শেখ হসিনা বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠন শক্তিশালী হবে, নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও দেশের জনগণ রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চিন্তা কারো থাকলে তাদের এ চিন্তা থেকে দূরে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বর্তমান সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য কমিশনসহ সব স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র সুসংহত ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে সব স্বাধীনতা দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন রেকর্ড নেই যে, একটি সরকার ক্ষমতায় থাকে আর মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের ডেকে দুর্নীতি দমন কমিশন জিজ্ঞাসাবাদ করে।
'শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনবদলের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ'- এটি হচ্ছে সম্মেলনের স্লোগান। সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপপরিষদের আহ্বায়কের ভাষণে দলের প্রবীণ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করতে সর্বশক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদকের ভাষণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্বাচনী ইশতেহারের অসম্পূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ের জন্য সর্বশক্তি নিয়ে জনগণকে সংগঠিত করার আহ্বান জানান।
সকাল সাড়ে ১১টায় সম্মেলনস্থলে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা পৌঁছলে বিপুল করতালি ও 'জয় বাংলা' স্লোগানের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানান প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর ও ২০ হাজারের মতো প্রতিনিধি। সম্মেলনস্থলে পৌঁছে শেখ হাসিনা জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এর পর শেখ হাসিনা শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে সম্মেলন উপলক্ষে লেখা একটি গান বাংলা ছাড়াও ১২টি নৃতাত্তি্বক গোষ্ঠীর ভাষায় গাওয়া হয়। গানের সঙ্গে নাচও ছিল।
নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চের সামনের দুই দিকে ছিল বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি। মঞ্চের সামনে বাঁ দিকে ছিল জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানের প্রতিকৃতি। ডান দিকে ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ও শামসুল হকের প্রতিকৃতি।
সম্মেলন মঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা। মঞ্চের সামনে অতিথি সারিতে ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, দলীয় নেতা, আমন্ত্রিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং কূটনীতিকরা।
উদ্বোধনী অধিবেশন পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক নূহ-উল-আলম লেনিন ও উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
No comments