এএফপির বিশ্লেষণ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহার হচ্ছে- নানা সংকটে পূর্ব তিমুর
এশিয়ার নবীনতম দেশ পূর্ব তিমুর থেকে আগামীকাল সোমবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার হচ্ছে। রক্তাক্ত অতীত ও অনিয়ন্ত্রিত দারিদ্র্য কাটিয়ে দেশটি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে বলে ধরে নিয়েই জাতিসংঘ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে ভঙ্গুর গণতন্ত্র, অপুষ্টি, মাতৃমৃত্যুর হার ও বেকারত্ব বৃদ্ধির কারণে এখনো দেশটি বিশ্বের সংকটাপন্ন দেশগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রায় ২৪ বছর ইন্দোনেশিয়ার দখলে থাকার সময় স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে এক লাখ ৮৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এরপর ১৯৯৯ সালে গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা পায় পূর্ব তিমুর। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রায় এক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পর দেশটি থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহার হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পূর্ব তিমুরের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা আশঙ্কা করার কারণ নেই যে শান্তিরক্ষী বাহিনী চলে গেলে নিকট ভবিষ্যতে দেশটিতে আবার সহিংসতা শুরু হবে। যদিও বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দেশটির শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জর্জ কুইন জানান, ‘পূর্ব তিমুরের বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে যেকোনো সময় সম্ভাবনাময় কোনো বিষয় সাংঘাতিক ভুলপথে চলে যেতে পারে।’
অস্ট্রেলিয়ার দাতা সংস্থা অসএইডের তথ্যমতে, পূর্ব তিমুরে এখন প্রতি ১০০ জন তরুণের মধ্যে ৪০ জন বেকার। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পূর্ব তিমুরে সরকার নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে ৪১ শতাংশ মানুষ। যাদের দৈনিক আয় ৮৮ সেন্টের নিচে। রাজধানী দিলিতে পর্যন্ত খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো শিশু চোখে পড়ে, যারা এটা-ওটা কুড়িয়ে খায়।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১০ সালে পূর্ব তিমুরে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশই ছিল অপুষ্টির শিকার। যদিও এই তালিকায় ১৮৭টি দেশের মধ্যে পূর্ব তিমুরের অবস্থান ছিল ১৪৭তম, যা এশিয়ার অনেক দেশের চেয়েই ভালো।
পূর্ব তিমুরে গত জুলাইয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসামাও ঘোষণা দিয়েছেন, রাজস্ব আয় বাড়িয়ে দেশকে ‘অনুন্নত’ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ‘কম আয়ের দেশে’ পরিণত করা হবে।
দেশটির গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অভিযোগ, সরকার গ্রামের জনগণের উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনা না করে, শহরে অবকাঠামো গড়ার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে।
পূর্ব তিমুর থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহারকে প্রায় সবাই স্বাগত জানিয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে শান্তিরক্ষীরা।
প্রায় ২৪ বছর ইন্দোনেশিয়ার দখলে থাকার সময় স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে এক লাখ ৮৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এরপর ১৯৯৯ সালে গণভোটের মাধ্যমে স্বাধীনতা পায় পূর্ব তিমুর। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রায় এক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পর দেশটি থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহার হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পূর্ব তিমুরের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা আশঙ্কা করার কারণ নেই যে শান্তিরক্ষী বাহিনী চলে গেলে নিকট ভবিষ্যতে দেশটিতে আবার সহিংসতা শুরু হবে। যদিও বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দেশটির শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক জর্জ কুইন জানান, ‘পূর্ব তিমুরের বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে যেকোনো সময় সম্ভাবনাময় কোনো বিষয় সাংঘাতিক ভুলপথে চলে যেতে পারে।’
অস্ট্রেলিয়ার দাতা সংস্থা অসএইডের তথ্যমতে, পূর্ব তিমুরে এখন প্রতি ১০০ জন তরুণের মধ্যে ৪০ জন বেকার। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পূর্ব তিমুরে সরকার নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে ৪১ শতাংশ মানুষ। যাদের দৈনিক আয় ৮৮ সেন্টের নিচে। রাজধানী দিলিতে পর্যন্ত খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো শিশু চোখে পড়ে, যারা এটা-ওটা কুড়িয়ে খায়।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১০ সালে পূর্ব তিমুরে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশই ছিল অপুষ্টির শিকার। যদিও এই তালিকায় ১৮৭টি দেশের মধ্যে পূর্ব তিমুরের অবস্থান ছিল ১৪৭তম, যা এশিয়ার অনেক দেশের চেয়েই ভালো।
পূর্ব তিমুরে গত জুলাইয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসামাও ঘোষণা দিয়েছেন, রাজস্ব আয় বাড়িয়ে দেশকে ‘অনুন্নত’ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ‘কম আয়ের দেশে’ পরিণত করা হবে।
দেশটির গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অভিযোগ, সরকার গ্রামের জনগণের উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনা না করে, শহরে অবকাঠামো গড়ার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে।
পূর্ব তিমুর থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহারকে প্রায় সবাই স্বাগত জানিয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে দেশটির নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে শান্তিরক্ষীরা।
No comments