বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে অনিশ্চয়তা by সেলিম জাহিদ
তিন বছরের জন্য নির্বাচিত বিএনপির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ৮ ডিসেম্বর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মেয়াদ পূরণের আগেই পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের কথা। কিন্তু তা হয়নি। কবে নাগাদ এ কাউন্সিল হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায়, নিয়ম রক্ষার স্বার্থে স্বল্প পরিসরে জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল বিএনপির। কিন্তু দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তার হওয়ায় সে পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে গেছে। শিগগিরই কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
বিএনপির মুখপাত্র ও সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে দলের কাউন্সিল করার বিষয়ে মাস দেড়েক আগে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু আকস্মিক দলের মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করায় সেটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অপর একজন নেতা জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে জানুয়ারির শেষ দিকে ছোট আকারে হলেও দলের জাতীয় কাউন্সিল করা হতে পারে। তবে এটাও নির্ভর করছে কারাবন্দী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মুক্তি পাওয়ার ওপর।
বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিন বছর অন্তর জাতীয় কাউন্সিল করার কথা। সর্বশেষ কাউন্সিল হয় ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। এরপর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দলের ৩৮৬ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই মুহূর্তে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তাঁরা স্বাভাবিক মনে করছেন না। সারা দেশের কাউন্সিলরদের ঢাকায় এনে নেতৃত্ব নির্বাচন করার মতো সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। কারণ, দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত নানা সহিংস ঘটনায় দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার খড়্গ ঝুলছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘মহাসচিব জেলে, আমরা অবরুদ্ধ, সরকারের চূড়ান্ত নিপীড়নে নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে। এর মধ্যে কাউন্সিল কীভাবে সম্ভব? আমরা নেতা-কর্মীদের মুক্তির আন্দোলন করব, না কাউন্সিল করব?’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন, দলের তৃণমূল পর্যায়ের কোন্দল নিরসন করে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রার্থী বাছাই করাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁরা। একই সঙ্গে কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি ডিসেম্বর মাসে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকার কথাবার্তা চলছিল। মির্জা ফখরুল এ ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপও নেন। ১০ ডিসেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিষয়টি থেমে যায়।
এমতাবস্থায় বিএনপির কাউন্সিল কি অনিশ্চিত হয়ে গেছে, জানতে চাইলে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব আবদুস সালাম বলেন, ‘কাউন্সিল তো করতেই হবে। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজন।’
বিএনপির মুখপাত্র ও সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে দলের কাউন্সিল করার বিষয়ে মাস দেড়েক আগে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু আকস্মিক দলের মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করায় সেটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অপর একজন নেতা জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে জানুয়ারির শেষ দিকে ছোট আকারে হলেও দলের জাতীয় কাউন্সিল করা হতে পারে। তবে এটাও নির্ভর করছে কারাবন্দী দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মুক্তি পাওয়ার ওপর।
বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিন বছর অন্তর জাতীয় কাউন্সিল করার কথা। সর্বশেষ কাউন্সিল হয় ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। এরপর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দলের ৩৮৬ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই মুহূর্তে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তাঁরা স্বাভাবিক মনে করছেন না। সারা দেশের কাউন্সিলরদের ঢাকায় এনে নেতৃত্ব নির্বাচন করার মতো সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। কারণ, দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত নানা সহিংস ঘটনায় দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার খড়্গ ঝুলছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘মহাসচিব জেলে, আমরা অবরুদ্ধ, সরকারের চূড়ান্ত নিপীড়নে নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে। এর মধ্যে কাউন্সিল কীভাবে সম্ভব? আমরা নেতা-কর্মীদের মুক্তির আন্দোলন করব, না কাউন্সিল করব?’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন, দলের তৃণমূল পর্যায়ের কোন্দল নিরসন করে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রার্থী বাছাই করাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁরা। একই সঙ্গে কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি ডিসেম্বর মাসে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকার কথাবার্তা চলছিল। মির্জা ফখরুল এ ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপও নেন। ১০ ডিসেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিষয়টি থেমে যায়।
এমতাবস্থায় বিএনপির কাউন্সিল কি অনিশ্চিত হয়ে গেছে, জানতে চাইলে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব আবদুস সালাম বলেন, ‘কাউন্সিল তো করতেই হবে। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজন।’
No comments