হাসিনা সভাপতি আশরাফুল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
সপ্তমবারের মতো দেশের অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। শনিবার দলটির সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে কাউন্সিলরদের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।
সপ্তমবারের মতো দলটির সভাপতির দায়িত্ব প্রদানে কাউন্সিলরসহ দলের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি জেলার নেতাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সব জেলা কমিটির সম্মেলন শেষ করতে হবে। যেসব জেলা সম্মেলন করতে পারবে না সেসব জেলার দলের কমিটি বাতিল করে দেয়া হবে। আগামী দু’মাসের মধ্যে সাংগঠনিক রিপোর্টও কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।সভাপতি পদে পুনর্র্নির্বাচিত হওয়ার পর কাউন্সিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি এবার চেয়েছিলাম, আপনারা নতুন নেতৃত্ব আনবেন। আমি পাশে থেকে সহায়তা করব। নতুন করে নির্বাচিত করায় কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন, তা মাথা পেতে নিলাম। কারণ সামনে নির্বাচন। আর এ নির্বাচন আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। তাই দায়িত্ব মাথা পেতে নিচ্ছি। তবে সবার সাহায্য ও সহযোগিতা চাই। তবে আগামীতে নতুন নেতৃত্ব আপনাদের খুঁজে নিতে হবে। কারণ আমাদেরও বয়স হচ্ছে। নবর্নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আশরাফকে সঙ্গে নিয়ে মুরব্বিদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কমিটি ঘোষণা করব।
কাউন্সিলে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বা কাল এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ঢাকা মহানগরের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। তবে আভাস পাওয়া গেছে, নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে তেমন কোন চমক থাকছে না। দু’তিনটি পদে রদবদল ছাড়া বিদায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতাই নতুন কমিটিতে স্ব স্ব পদে বহাল থাকছেন। সংস্কার ইস্যুতে গত সম্মেলনে বাদ যাওয়া দলের প্রবীণ ৫ নেতারও নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই জানা গেছে।
বিকেল সাড়ে চারটায় সম্মেলনস্থলের পাশেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক। দেশের সাত বিভাগের একজন করে বক্তব্য রাখার পর দলের সংশোধিত ঘোষণাপত্র ও আয়-ব্যয়ের অনুমোদনের পরই শুরু হয় আগামী তিন বছরের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের গঠন প্রক্রিয়া। তবে কাউন্সিলরদের মধ্যে শেখ হাসিনা আর সভাপতি পদে থাকতে চাইছেন না এই খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন তৃণমূল নেতারা। প্রতিটি কাউন্সিলরই সেøাগান-বক্তব্যে জানিয়ে দেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে সভাপতি পদে তাঁরা দেখতে চান না।
বিকেল ৫টায় বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে এলে নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার দলের প্রবীণ নেতা এ্যাডভোকেট রহমত আলী এমপি, সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও মোজাম্মেল হক এমপি মঞ্চে ওঠেন। শুরু করেন নির্বাচনী প্রক্রিয়া। সভাপতি পদে কে আসবেন তাঁর প্রস্তাবক ও সমর্থকদের রহমত আলী আহ্বান করলে বিদায়ী কমিটির সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন এবং তা সমর্থন করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ পদে অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত ঘোষণা করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ছাড়াও সোহ্্রাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মী উল্লাসে ফেটে পড়েন এবং হাততালি ও সেøাগান দিয়ে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দিত করেন।
এরপর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতা আহ্বান করলে বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করেন এবং আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক তা সমর্থন করেন। এ পদেও অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় আগামী তিন বছরের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন এ্যাডভোকেট রহমত আলী। কাউন্সিলররা সবাই সর্বসম্মতিক্রমে এসব প্রস্তাব সমর্থন করেন, ফলে কোন ভোটাভুটি হয়নি। সেই সঙ্গে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্বও নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে অর্পণ করেন কাউন্সিলররা।
এরপর পুনর্নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন শেখ হাসিনা। এ সময় কাউন্সিলররা দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান। সপ্তমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। সঙ্গে সঙ্গে সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দলের অনেক অর্জন সত্ত্বেও তা প্রচারে ব্যর্থতার কথা কাউন্সিলররা তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের এত অর্জন প্রচারের প্রধান দায়িত্ব তো দলের নেতাদেরই। আমাদের বদ অভ্যাস হচ্ছে আমরা বিরোধী দলের পক্ষ থেকে যা শুনি তা লুফে নেই, হতাশ হই কিন্তু কাউন্টার জবাব দেই না। এই বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। বিরোধী দলের প্রতিটি অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে হবে। তিনি প্রতিটি জেলা-উপজেলায় দলের স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এটা করতে যদি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয় কেন্দ্রীয়ভাবে তা করা হবে।
দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ যা বলে তা বাস্তবায়ন করে ঘরে ফেরে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি পরিবার। যখনই আওয়ামী লীগ এক হয় পৃথিবীর কোন শক্তি নেই তখন আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাঁর ওপর অর্পিত গুরুদায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, অতীতের মতো আগামীতেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। শুরু থেকেই শেখ হাসিনা নিজেই অধিবেশন পরিচালনা করেছেন। কাউন্সিলে প্রথমে বক্তব্য রাখার সুযোগ পান রাজশাহী বিভাগের পক্ষে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি। এরপর খুলনা বিভাগের পক্ষে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এস আকবর এমপি, বরিশাল বিভাগের পক্ষে মহানগরের সভাপতি মেয়র শওকত হোসেন হীরন, চট্টগ্রামের বিভাগের পক্ষে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সিলেট বিভাগের পক্ষে মেয়র বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান, ঢাকা বিভাগের পক্ষে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার পক্ষে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে এবং রংপুর বিভাগের পক্ষে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
ফেনীর আবদুর রহমান সরকারের প্রচারের দুর্বলতার কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকারের অনেক সাফল্য আছে, কিন্তু তেমন কোন প্রচার নেই। প্রচার সেল মনে হয় দুর্বল। মন্ত্রীরাও সরকারের উন্নয়নের কথা বলেন না। টিভি খুললে দেখি বিএনপির প্রচার বেশি, তারা মিথ্যা কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। এছাড়া দলে কিছুটা বিভেদ ও দূরত্ব আছে। আগামী নির্বাচনের আগেই তা ঘোচাতে হবে। দেশের স্বার্থে আগামীতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতেই হবে।
মেয়র বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান বলেন, সামনে আমাদের দুটি চ্যালেঞ্জ। এক আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করা, দ্বিতীয়টি হচ্ছে যুদ্ধারাধীদের বিচার সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা।
নরসিংদীর এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানও দলের মধ্যে দূরত্ব ও বিচ্ছিন্নতা থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, দলে কিছুটা বিভেদ আছে, বিচ্ছিন্নতাও আছে। মন্ত্রীদের সঙ্গে নেতাকর্মীর দূরত্বও রয়েছে। দেশের জনগণ আমাদের পক্ষে থাকলেও এসব বিভেদ আর বিচ্ছিন্নতায় সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত তা নিরসন করতে হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সপ্তাহে ৫ দিন সরকার পরিচালনা এবং দু’দিন সভানেত্রী হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রতিটি কথার উত্তর দেন।
দলের ঘোষণাপত্র অনুমোদন ॥ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাপক সংশোধিত আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র কাউন্সিলদের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ঘোষণাপত্রে যেসব সংশোধন আনা হয়েছে তা কাউন্সিলে তুলে ধরেন। তিনি জানান, সংশোধিত ঘোষণাপত্রে ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের ৫ বছরের দুঃশাসন, নিপীড়ন-নির্যাতন’, বর্তমান মহাজোট সরকারের ৪ বছরের উন্নয়ন ও সাফল্য এবং জাতিসংঘে গৃহীত শান্তির মডেল বিস্তারিতভাবে সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া সংসদে পাস হওয়া পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনের আলোকেও ঘোষণাপত্রের অনেক জায়গায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ঘোষণাপত্র ছাপিয়ে সারাদেশের নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এরপর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাবেও অনুমোদন নেয়া হয়। দলের কোষাধ্যক্ষ এএইচএন আশিকুর রহমান এমপি আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরে বলেন, ব্যাংকে দলীয় ফ্যান্ডে ৮ কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা গচ্ছিত রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে দলের জন্য ৪ শতাংশ জায়গা কেনা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকাশনা ও তা বিক্রি বাবদ এক কোটি ৪২ লাখ টাকা, দান থেকে ৫ কোটি ৫ লাখ এবং চাঁদা আদায় বাবদ এক কোটি ৩৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে।
বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তমবারের মতো সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান উদ্দিন আহমেদ রাজা, শামছুল কাওনাইন কুতুব, মাহমুদুল হক, মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিনসহ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু স্বাক্ষরিত এক অভিনন্দন বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। পৃথক বিবৃতিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ আবু কাওছার ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, বাংলাদেশ টিএ্যান্ডটি শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়ন- সিবিএ।
No comments