মাত্রা কমলেও পরিমাণ উদ্বেগজনক- সেবা খাতে দুর্নীতি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ২০১২ সালের খানা জরিপে দেশের ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ সেবা গ্রহণকারী কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতির শিকার হন বলে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তাতে সরকার কিঞ্চিৎ স্বস্তি বোধ করলেও জনগণের শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
২০১০ সালে সেবা গ্রহণকারী ৮৪ শতাংশ লোকই দুর্নীতির শিকার হতেন, এখন ৬৪ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু উদ্বেগজনক হলো, সেবা খাতে দুর্নীতির মাত্রা কমলেও পরিমাণ বেড়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জরিপভুক্ত প্রতিটি পরিবার গড়ে ছয় হাজার ৯০০ টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যয় করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে। জাতীয়ভাবে এই নিয়মবহির্ভূত অর্থের পরিমাণ ২১ হাজার ৯৮৮ দশমিক ৬ কোটি টাকা, যা ২০১১-১২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৪ শতাংশ। গত ১৫ মে থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে ৬৪ জেলার সাত হাজার ৯০৬টি খানা থেকে তথ্য নেওয়া হয়। আশা করি, সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সাংসদদের ওপর টিআইবি পরিচালিত জরিপের মতো এর অসারতা প্রমাণের চেষ্টা না করে দুর্নীতির ফাঁকফোকরগুলো বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
টিআইবির খানা জরিপে শ্রম অভিবাসন খাতে যে সর্বোচ্চ দুর্নীতির (৭৭ শতাংশ) কথা বলা হয়েছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিদেশগামী প্রায় প্রতিটি মানুষই দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ঠিকমতো তদারক করলে অভিবাসীদের হয়রানি ও প্রতারিত হওয়ার মাত্রা অনেকটাই কমত। জরিপে অন্যান্য সেবা খাতে দুর্নীতি কমার কথা বলা হলেও স্বাস্থ্য খাতের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা ভয়াবহ। স্বাস্থ্যসেবা এমন একটি খাত, যেখানে সব নাগরিককেই যেতে হয়। ২০১০ সালে এই খাতে যেখানে দুর্নীতির শিকার মানুষের হার ছিল ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১২ সালে ৪০ দশমিক ২ শতাংশ হওয়া দুশ্চিন্তার কারণ বৈকি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণ মন্ত্রী, একজন অর্ধ মন্ত্রী এবং একজন উপদেষ্টা থাকার পরও এই বেহাল অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।
টিআইবির খানা জরিপে জাতীয় পর্যায়ের দুর্নীতির খতিয়ান নেই। জাতীয় পর্যায়ে যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হচ্ছে, হল-মার্কের ঋণ কেলেঙ্কারি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সরকারের দুর্নীতিনিরোধক সংস্থাগুলো সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা অসম্ভব নয়। দেরিতে হলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নড়েচড়ে বসেছে এবং কয়েকটি মামলায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দুর্নীতিবাজেরা যাতে কোনোভাবেই ছাড় না পায়, সে ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব নাগরিকদের সেবা দেওয়া। সেই সেবা রাষ্ট্র বা সরকার লিল্লাহ হিসেবে দেয় না, তার বিনিময়ে জনগণের কাছ থেকে কর নেয়। অতএব, সেই করের অর্থ ব্যয়ে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যে সরকারের দায়িত্ব, সে কথাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জরিপভুক্ত প্রতিটি পরিবার গড়ে ছয় হাজার ৯০০ টাকা নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যয় করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে। জাতীয়ভাবে এই নিয়মবহির্ভূত অর্থের পরিমাণ ২১ হাজার ৯৮৮ দশমিক ৬ কোটি টাকা, যা ২০১১-১২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং জিডিপির ২ দশমিক ৪ শতাংশ। গত ১৫ মে থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে ৬৪ জেলার সাত হাজার ৯০৬টি খানা থেকে তথ্য নেওয়া হয়। আশা করি, সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সাংসদদের ওপর টিআইবি পরিচালিত জরিপের মতো এর অসারতা প্রমাণের চেষ্টা না করে দুর্নীতির ফাঁকফোকরগুলো বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
টিআইবির খানা জরিপে শ্রম অভিবাসন খাতে যে সর্বোচ্চ দুর্নীতির (৭৭ শতাংশ) কথা বলা হয়েছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিদেশগামী প্রায় প্রতিটি মানুষই দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো ঠিকমতো তদারক করলে অভিবাসীদের হয়রানি ও প্রতারিত হওয়ার মাত্রা অনেকটাই কমত। জরিপে অন্যান্য সেবা খাতে দুর্নীতি কমার কথা বলা হলেও স্বাস্থ্য খাতের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা ভয়াবহ। স্বাস্থ্যসেবা এমন একটি খাত, যেখানে সব নাগরিককেই যেতে হয়। ২০১০ সালে এই খাতে যেখানে দুর্নীতির শিকার মানুষের হার ছিল ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ, ২০১২ সালে ৪০ দশমিক ২ শতাংশ হওয়া দুশ্চিন্তার কারণ বৈকি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণ মন্ত্রী, একজন অর্ধ মন্ত্রী এবং একজন উপদেষ্টা থাকার পরও এই বেহাল অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।
টিআইবির খানা জরিপে জাতীয় পর্যায়ের দুর্নীতির খতিয়ান নেই। জাতীয় পর্যায়ে যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হচ্ছে, হল-মার্কের ঋণ কেলেঙ্কারি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সরকারের দুর্নীতিনিরোধক সংস্থাগুলো সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা অসম্ভব নয়। দেরিতে হলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নড়েচড়ে বসেছে এবং কয়েকটি মামলায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দুর্নীতিবাজেরা যাতে কোনোভাবেই ছাড় না পায়, সে ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব নাগরিকদের সেবা দেওয়া। সেই সেবা রাষ্ট্র বা সরকার লিল্লাহ হিসেবে দেয় না, তার বিনিময়ে জনগণের কাছ থেকে কর নেয়। অতএব, সেই করের অর্থ ব্যয়ে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যে সরকারের দায়িত্ব, সে কথাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
No comments