নয়াদিল্লির ছাত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন
ভারতের নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার হয়ে প্রাণ হারানো মেডিকেল ছাত্রীর শেষকৃত্য আজ রোববার ভোরে শেষ হয়েছে। বার্তা সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই ছাত্রীর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তাঁর মরদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় তাঁরা ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন।
এরপর ওই ছাত্রীর মরদেহ তাঁদের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এমনকি সেখানে গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশাধিকারের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
ভারতের দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেলের ছাত্রী প্রায় দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল শনিবার সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় গতকাল নয়াদিল্লিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রাস্তায় মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার দাঙ্গা পুলিশ। অনেক সড়ক, বিপণিবিতান ও মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে পাঁচজনের বেশি একত্রে জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। শান্ত থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সোনিয়া।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর একটি বিশেষ বিমানে করে তাঁর লাশ দেশে আনা হয়।
১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে ছয়জন দুর্বৃত্ত মেডিকেলের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে তাঁকে ও তাঁর ছেলেবন্ধুকে পিটিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীকে দিল্লির সফদারজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচারের পরও অবস্থার অবনতি হতে থাকায় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর জানার পরপরই প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ। এ ছাড়া মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, অমৃতসর, শিলিগুড়িসহ বেশির ভাগ বড় বড় শহরে বিক্ষোভ হয়। কোথাও কোথাও সংঘর্ষ হয়। গতকাল ভারতজুড়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে শোক প্রকাশ করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে।
এরপর ওই ছাত্রীর মরদেহ তাঁদের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এমনকি সেখানে গণমাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশাধিকারের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
ভারতের দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেলের ছাত্রী প্রায় দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল শনিবার সকালে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে নয়াদিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় গতকাল নয়াদিল্লিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রাস্তায় মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার দাঙ্গা পুলিশ। অনেক সড়ক, বিপণিবিতান ও মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে পাঁচজনের বেশি একত্রে জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। শান্ত থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সোনিয়া।
ভারতীয় কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। এরপর একটি বিশেষ বিমানে করে তাঁর লাশ দেশে আনা হয়।
১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে ছয়জন দুর্বৃত্ত মেডিকেলের ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে তাঁকে ও তাঁর ছেলেবন্ধুকে পিটিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীকে দিল্লির সফদারজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচারের পরও অবস্থার অবনতি হতে থাকায় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর জানার পরপরই প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ। এ ছাড়া মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, অমৃতসর, শিলিগুড়িসহ বেশির ভাগ বড় বড় শহরে বিক্ষোভ হয়। কোথাও কোথাও সংঘর্ষ হয়। গতকাল ভারতজুড়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে শোক প্রকাশ করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে।
No comments