ডিজিটাল বাংলাদেশ ও তার চার বছর
॥ পাঁচ ॥ অবকাঠামো উন্নয়ন : ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো হিসেবে আমরা যদি টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামোর কথা ভাবি তবে দেখা যাবে যে, এই সময়ে এইসব খাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাটি অত্যন্ত প্রবল ছিল।
ইন্টারনেটের প্রধানবাহন ব্যান্ডউইথের প্রসার ঘটানো ছাড়াও এর দাম ২৭ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। ২০০৮ সালের ৪৪.৪ জিবি ব্যান্ডউইথ এখন ১৪৪.৬ জিবি হয়েছে। এটি খুব সহসাই ১৬০ জিবি এবং অদূর ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়। অন্যদিকে ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বাড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প আন্তর্জাতিক সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি টেরিস্টিরিয়াল সংযোগের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। দুয়েকটি চালুও হয়েছে। এ ছাড়া আরেকটি সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ নেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ শুরু হয়েছে।দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হয়েছে জাতীয় ডাটা সেন্টার। এটিই প্রথম থ্রি টায়ার সনদপ্রাপ্ত ডাটা সেন্টার যাতে সরকারের সকল ডিজিটাল ডাটা সংরক্ষণ করা যাবে।
দেশের ভেতরে একাধিক নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষা নেটওয়ার্ক নামে সরকার ৬৭৫ কোটি টাকার একটি নেটওয়ার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এটি উচ্চশিক্ষার ডিজিটাল যুগের বাহন হতে পারে। সরকার বাংলা গভ. নেটওয়ার্ক প্রকল্পের হাজ শুরু করেছে। ইনফোবাহন নামক আরেকটি নেটওয়ার্ক প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করছে। এই দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরকারের সব অংশ ফাইবার অপটিক্স নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। ঢাকার জনতা টাওয়ারে এসটিপি চালুর কাজ হচ্ছে। সামনের বছরের শুরুতেই এটি চালু হতে পারে। কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কের কাজ এগিয়েছে। আগামী বছরের মাঝে সেটিও চালু হতে পারে। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিজি চালু হয়েছে। জানুয়ারিতে লাইসেন্সের নিলাম হবে।
ই. জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো : বাংলাদেশের জন্য এটি এক সৌভাগ্যবান অর্জন যে, আমরা এখন তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ। ২০০৯ সাল থেকে এই সেবাখাতের এমন বিকাশ ঘটেছে যে, আমরা এজন্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্মাননা পেয়েছি ও পুরস্কৃত হয়েছি। বাংলাদেশের মতো একটি দেশের এ ধরনের অর্জন মাইলফলক হিসেবেই গণ্য হতে পারে।
২০০৯ সালের পর সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করাটা সেই সফলতারই বহির্প্রকাশ। সরকার একদিকে কৃষকের পুজিকে ডিজিটাল করেছে, অন্যদিকে কৃষি তথ্য, স্বাস্থ্য তথ্য, শিক্ষা তথ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও পরীক্ষার ফলাফলসহ অন্যান্য সেবা ইউনিয়ন ও ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। দেশের ৪৫৯৮টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র চালু হয়েছে। এই সেবাকেন্দ্রগুলো একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে চলছে। দুনিয়ার কোন দেশ একসঙ্গে এতটা তৃণমূল পর্যায়ে আইসিটির সেবা পৌঁছানোর সাহস করেনি। এসব প্রতিষ্ঠানে সরকার আইসিটি সামগ্রীর যোগান দিয়েছে এবং ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলাকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছে। গড়ে ৪ জন হিসেবে এই খাতে প্রায় ১৮ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এদের কেউ কেউ কেবল দেশের ভেতরের সেবাই প্রদান করছে না-বাইরের দেশের আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছে। ময়মনসিংহের নান্দাইলের রফিকুল ইসলাম মার্চ ১২ সময়ে ৭১৬৩ মার্কিন ডলার আয় করেছে যা দুনিয়ার কাছে আমাদের অর্জনকে মহিমান্বিত করেছে। এরই মাঝে সব জেলায় তৈরি হয়েছে জেলা তথ্য বাতায়ন ও জেলা ওয়ানস্টপ সেবাকেন্দ্র। ওয়ানস্টপ সেবা কেন্দ্র থেকে কোন ধরনের কালক্ষেপণ ও হয়রানি ছাড়া প্রদান করা হচ্ছে ভূমিসংক্রান্ত সেবা। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কম্পিউটার প্রদান ছাড়াও গড়ে তোলা হয়েছে তথ্যভা-ার। ৮০০ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। পোস্ট অফিসগুলোকেও ডিজিটাল সেবাদানকেন্দ্র হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে।
২০ ডিসেম্বর ১২ প্রধানমন্ত্রী যশোর জেলাকে ডিজিটাল বলে ঘোষণা করেছেন। যশোর জেলার সব অফিসকে ডিজিটাল করা হয়েছে। প্রশাসন, শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল হয়েছে।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে জরুরী একটি বিষয় হলো ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি নিবন্ধন ডিজিটাল করা। সরকার আগামী জুলাই মাস থেকে বিদ্যমান ভূমি রেকর্ড ডিজিটাল করার কাজ শুরু করছে। একই সাথে চলতি বছরেই কোরীয় সহায়তায় ডিজিটাল ভূমি জরিপের কাজ শুরু হচ্ছে। ভূমি নিবন্ধন ডিজিটাল করার বিষয়েও কাজ শুরু হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকেই এসএসসির ফলাফল মোবাইল এবং ইন্টারনেটে দেয়া ছাড়াও ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুত, গ্যাস ও ফোন বিল মোবাইলে প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেলের সময়সূচী মোবাইলে জানা যায়। রেলের টিকেটও মোবাইলে কেনা যায়। ই-টেন্ডার চালু হয়েছে। ব্যাংকিং সেবা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল হয়েছে। একই সাথে ব্যাংকের চেক ক্লিয়ারেন্স ডিজিটাল হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পেমেন্ট গেটওয়ের কাজ করছে। ব্যাংকের ক্রেডিট রিপোর্ট অনলাইন হয়েছে। চালু হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে।
যদিও বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরেপেক্ষ রাষ্ট্র তথাপি এটি বাস্তবতা যে এটি একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের মানুষেরা ধর্মপ্রাণ এবং তাদের ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অবদানকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। এই বিষয়টি ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণাকারী সরকারের ভাবনার বাইরে থাকেনি। এজন্যই পবিত্র কোরান শরিফের ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি হচ্ছে। এর ফলে পবিত্র কোরান শরিফ যেমন করে ডিজিটাল ফরমাটে পাওয়া যাবে তেমনি এর বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণ এবং তার উচ্চারণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাওয়া যাবে।
ঈ. ডিজিটাল শিক্ষা : বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে; সেই বিষয়ে এমনকি সরকারের নিন্দুকেরাও প্রশ্ন তোলেন না। এই প্রথম দেশের একটি শিক্ষানীতি নিয়ে তেমন কোন বিতর্ক হয়নি এবং সব স্তরের মানুষের কাছে সেটি গৃহীত হয়েছে। প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের পাবলিক পরীক্ষার প্রচলন করা ছাড়াও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদানের সরকারী সিদ্ধান্ত পুরো দেশের মানুষের প্রশংসা পেয়েছে। একই সাথে একটি ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনে সরকারের আন্তরিকতা সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। সরকার তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা ও শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে একটি নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং তার বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক কর্মকা- গ্রহণ করেছে।
সরকারের হাতে শিক্ষার ডিজিটাল যাত্রার সবচেয়ে বড় যে প্রকল্পটি এখন রয়েছে সেটি হলো; ২০ হাজার ৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর প্রদান করে স্মার্ট ক্লাসরুম গড়ে তোলা। ৩ হাজার ৫৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এখন বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এরই মাঝে সরকার এই ধারণার প্রাথমিক প্রয়োগের কাজটি শুরু করেছে। দেশের সর্বত্র শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে ইন্টারএ্যাকটিভ ও ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্টস তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকেরা ডিজিটাল কনটেন্টস তৈরি করছেন এবং সেইসব তথ্যাবলি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ করা হয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ক্লাসরুম ডিজিটাল করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিজয় ডিজিটাল নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রি স্কুল পর্যায়ের পাঠ্য বিষয়কে ডিজিটাল কনটেন্টে রূপান্তর করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্য বিষয়কে সফটওয়্যারে রূপান্তর করেছে। ২০১৩ সালে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন সমাপ্ত হলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তককে ডিজিটাল রূপান্তর করা হবে বলে আশা করা যায়। এরই মাঝে সরকার ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব গড়ে তুলেছে। বিগত তিন বছর যাবতই এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগামীতেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়। সরকার ২০১২ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। ২০১৩ সালে ৭ম-৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ঢাকার কাছে গাজীপুরে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শাহজালাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত পর্যায়ের ওয়াইম্যাক্স চালু করা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকেই এনসিটিবির সব পাঠ্যপুস্তক ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী-বেসরকারী গ্রন্থাগারের ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল করার পাশাপাশি ডিজিটাল লাইব্রেরি ও ই-তথ্যভা-ার গড়ে তোলা হচ্ছে যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের সহায়ক হয়েছে।
উ. সচেতনতা বৃদ্ধি : এ বিষয়ে সবাই একমত যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণাটি নিজেই একটি বড় ধরনের অর্জন ও বিরাট রকমের সচেতনতা কর্মসূচী। আমরা মনে করি, ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণাটিই হচ্ছে একটি বড় অর্জন। এর ফলে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ তার ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, এই সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতামূলক কাজ হয়েছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, বেসিস ও অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি সরকার ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলাকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছে। এই সময়ের একটি বড় ঘটনা ছিল ২০০৯ সালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি কর্তৃক ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিটের আয়োজন করা এবং ২০১১ সালে ই-এশিয়ার মতো বিশাল একটি সম্মেলনের আয়োজন করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার জন্য এসোসিও নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ পুরস্কারও প্রদান করে।
গ. ডিজিটাল জীবনধারার সূচনা : বাংলাদেশের মানুষ এরই মাঝে একটি ডিজিটাল যুগের বাসিন্দা হবার স্বাদ নিতে শুরু করেছে। ডিজিটাল জীবনধারা হচ্ছে একটি জাতিগোষ্ঠীর সার্বিক জীবনধারাকে ডিজিটাল রূপান্তরের মাঝে নিয়ে যাওয়া। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলার মানেই হচ্ছে সেই জীবনধারা গড়ে তোলা। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আমাদের দেশের মানুষের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস বেশ দ্রুতগতিতে পৌঁছাচ্ছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর হাতে মোবাইল ফোন আছে। আছে ইন্টারনেট এবং আরও ডিজিটাল প্রযুক্তি। এখন মানুষ যে পরিমাণ কাগজে যোগাযোগ করে তার চাইতে অনেক বেশি যোগাযোগ করে ইন্টারনেটে। ই-মেইল এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছেও নতুন কিছু নয়। তারা দেশের ভেতরে ও বাইরে টেক্সট, ছবি, অডিও-ভিডিও আদান-প্রদান করে। স্কাইপের মতো এ্যাপ্লিকেশন দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং করা বা কথা বলা খবুই সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। আমরা এরই মাঝে ই-কমার্স, মোবাইল কমার্স ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যুগে প্রবেশ করেছি। অনলাইনে লেখাপড়া করা, বিনোদন পাওয়া, টিভি দেখা বা খবর পড়া বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর ২০১২ ॥ লেখক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচির প্রণেতা ॥ ই-মেইল : সঁংঃধভধলধননধৎ@মসধরষ.পড়স, ওয়েবপেজ: িি.িনরলড়ুবশঁংযব.হবঃ
No comments