ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪ লেন প্রকল্পের দুর্নীতি তদন্তে দুদক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নোটিস by মহিউদ্দিন আহমেদ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফোর লেন প্রকল্পে শত কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সংক্রান্ত গত তিন বছরের নথিপত্র তলব করেছে সংস্থাটি।
চলতি মাসের ২৪ তারিখ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নোটিস প্রেরণ করা হয়েছে। নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। খবর দুদক সূত্র।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রাস্তার দুই দিক দিয়ে দুইটি করে চারটি যান চলাচলের জন্য প্রায় পৌনে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। পুরো কাজ ১০টি ভাগে বিভক্ত করে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চীনের একটি ও বাংলাদেশী দুইটি প্রতিষ্ঠান কাজের অনুমতি পায়। ১০ ভাগে বিভক্ত কাজের মধ্যে দেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিডেট কাজ পায় দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে কুটুমবাড়ি পর্যন্ত। একই প্রতিষ্ঠান ধুমঘাট ব্রিজ থেকে মীরসরাই পর্যন্ত কাজের অনুমতি পায়। দেশী আরেকটি প্রতিষ্ঠান টিবিএল-এসবি জেবি কুমিরা বাইপাস থেকে চিটাগাং গেট পর্যন্ত কাজ পায়। বাকি অংশের কাজ পায় চীনা প্রতিষ্ঠান চিনহাইদরো কর্পোরেশন। কাজ শুরু করা হয় ২০০৯ সালে । ইতোমধ্যে কাজের অগ্রগতি হয়েছে। কয়েকভাগ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাটি বরাদ্দে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ আসে দুদক এ। দুদক অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুদক কর্মকর্তা সিনিয়র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। দুই মাস আগে অনুসন্ধান টিম গঠন করার পর অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে দুর্নীতির আলামত ধরা পড়ে। এর উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান কর্মকর্তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাটির কাজ বরাদ্দের টেন্ডার থেকে শুরু করে গত তিন বছরের আর্থিক লেনদেনের সকল নথিপত্র তলব করেছেন। চলতি মাসের ২৪ তারিখে সকল নথিপত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নথিপত্র প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। নোটিস পাঠানোর করার পর ৫দিন অতিবাহিত হলেও কোন নথিপত্র দুদকে প্রেরণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। নথিপত্র পাওয়ার পর পুরো দমে কাজ শুরু করবে অনুসন্ধান টিম। তারপর তলব করা হতে পারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের। দুদকের এ সংক্রান্ত এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, কাজ শেষ হওয়ার আগে অগ্রিম একশ কোটি টাকা বেশি লাগবে বলে চাহিদা পত্র দিয়েছে দেশী ২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, বাড়তি টাকা পাওয়ার জন্য তারা টেন্ডারে উল্লেখ থাকা অর্থ দ্রুত শেষ করতে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়েছে। কেনাকাটায়ও জালিয়াতি করেছে বলে দুদক প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মালপত্র কেনাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হালাল করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজে বিলম্ব করছে। দুদক থেকে বলা হয়, ২০১৩ সালে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও যেভাবে কাজ চলছে ২০১৫ সালের আগে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর কারণ হচ্ছে সময় বাড়লে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে দেখিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে। দুদকের আরেকটি সূত্র বলেছে আপাতত মাটি বরাদ্দের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করা হলেও এ প্রকল্পের অন্যান্য কাজে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তাও খুঁজে দেখা হবে। মাটি বরাদ্দ, পিচ ঢালাইসহ কাজের মান নির্ণয় করে দেখার পরিকল্পনা আছে দুদকের।
রামু সহিংসতার হোতারা তিন মাসেও গ্রেফতার হয়নি
বাংলা নিউজ ॥ রামু সহিংস ঘটনার তিন মাস পূর্ণ হলে আজও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগ, ঘটনার তিন মাসেও অভিযুক্তদের ব্যাপারে প্রশাসন নমনীয়ভাব দেখাচ্ছে। আবার জড়িতরা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক করা হচ্ছে না। একটি নির্ভরযোগ্য কক্সবাজারের রামুতে সংঘটিত সহিংসতায় জড়িত চিহ্নিত অপরাধীদের রক্ষার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে একটি শক্তিশালী চক্র। মিয়ানমারের বিদ্রোহী জঙ্গী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), আরাকান মুভমেন্ট, আরাকান পিপলস ফ্রিডম পার্টি, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এআরএনও), আরকান রোহিঙ্গা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের নেতারা এ মিশন নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে চক্রটি বিভিন্নভাবে সাংবাদিক-পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে চিহ্নিতদের মামলা থেকে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। আর এর কৌশল হিসেবে সরকার দলীয় নেতা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের কাছ থেকে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করে আদালতে দেখিয়ে জামিন নেয়ার চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছেন।
২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামে এক তরুণের ফেসবুক ওয়ালে তার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড কোরান অবমাননাকর একটি ছবি ট্যাগ করেন এবং তা শেয়ার করার পর রামুতে তাণ্ডব শুরু হয়। ওই রাতেই রামুর ১৩টি বৌদ্ধ বিহার ও প্রায় ৫০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনার পর রামুতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তি, বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। ঘটনায় জড়িত ২শ’ ৫ জনকে শনাক্ত করা হয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি, রামুতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে সময়কার সহিংতার ভয় এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বৌদ্ধপল্লীতে হামলার সময় প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে ২ থেকে ৩ জন যুবক ছিলেন।
এদের হাতে পেট্রোল, গানপাউডারসহ বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল। কক্সবাজার শহর থেকে শিবিরের সাবেক ক্যাডার ভিপি বাহাদুরের নেতৃত্বে এসব মোটরসাইকেল রামুর হামলায় অংশ নেয়। কিন্তু ভিপি বাহাদুরকে গ্রেফতার করা হলেও তার সহযোগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রাস্তার দুই দিক দিয়ে দুইটি করে চারটি যান চলাচলের জন্য প্রায় পৌনে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। পুরো কাজ ১০টি ভাগে বিভক্ত করে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চীনের একটি ও বাংলাদেশী দুইটি প্রতিষ্ঠান কাজের অনুমতি পায়। ১০ ভাগে বিভক্ত কাজের মধ্যে দেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিডেট কাজ পায় দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে কুটুমবাড়ি পর্যন্ত। একই প্রতিষ্ঠান ধুমঘাট ব্রিজ থেকে মীরসরাই পর্যন্ত কাজের অনুমতি পায়। দেশী আরেকটি প্রতিষ্ঠান টিবিএল-এসবি জেবি কুমিরা বাইপাস থেকে চিটাগাং গেট পর্যন্ত কাজ পায়। বাকি অংশের কাজ পায় চীনা প্রতিষ্ঠান চিনহাইদরো কর্পোরেশন। কাজ শুরু করা হয় ২০০৯ সালে । ইতোমধ্যে কাজের অগ্রগতি হয়েছে। কয়েকভাগ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাটি বরাদ্দে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ আসে দুদক এ। দুদক অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুদক কর্মকর্তা সিনিয়র উপ-পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। দুই মাস আগে অনুসন্ধান টিম গঠন করার পর অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ে দুর্নীতির আলামত ধরা পড়ে। এর উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান কর্মকর্তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাটির কাজ বরাদ্দের টেন্ডার থেকে শুরু করে গত তিন বছরের আর্থিক লেনদেনের সকল নথিপত্র তলব করেছেন। চলতি মাসের ২৪ তারিখে সকল নথিপত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নথিপত্র প্রেরণ করতে বলা হয়েছে। নোটিস পাঠানোর করার পর ৫দিন অতিবাহিত হলেও কোন নথিপত্র দুদকে প্রেরণ করা হয়নি বলে জানা গেছে। নথিপত্র পাওয়ার পর পুরো দমে কাজ শুরু করবে অনুসন্ধান টিম। তারপর তলব করা হতে পারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের। দুদকের এ সংক্রান্ত এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, কাজ শেষ হওয়ার আগে অগ্রিম একশ কোটি টাকা বেশি লাগবে বলে চাহিদা পত্র দিয়েছে দেশী ২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, বাড়তি টাকা পাওয়ার জন্য তারা টেন্ডারে উল্লেখ থাকা অর্থ দ্রুত শেষ করতে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়েছে। কেনাকাটায়ও জালিয়াতি করেছে বলে দুদক প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মালপত্র কেনাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হালাল করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজে বিলম্ব করছে। দুদক থেকে বলা হয়, ২০১৩ সালে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও যেভাবে কাজ চলছে ২০১৫ সালের আগে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর কারণ হচ্ছে সময় বাড়লে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে দেখিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেশি অর্থ আদায় করতে পারবে। দুদকের আরেকটি সূত্র বলেছে আপাতত মাটি বরাদ্দের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করা হলেও এ প্রকল্পের অন্যান্য কাজে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তাও খুঁজে দেখা হবে। মাটি বরাদ্দ, পিচ ঢালাইসহ কাজের মান নির্ণয় করে দেখার পরিকল্পনা আছে দুদকের।
রামু সহিংসতার হোতারা তিন মাসেও গ্রেফতার হয়নি
বাংলা নিউজ ॥ রামু সহিংস ঘটনার তিন মাস পূর্ণ হলে আজও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগ, ঘটনার তিন মাসেও অভিযুক্তদের ব্যাপারে প্রশাসন নমনীয়ভাব দেখাচ্ছে। আবার জড়িতরা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক করা হচ্ছে না। একটি নির্ভরযোগ্য কক্সবাজারের রামুতে সংঘটিত সহিংসতায় জড়িত চিহ্নিত অপরাধীদের রক্ষার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে একটি শক্তিশালী চক্র। মিয়ানমারের বিদ্রোহী জঙ্গী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), আরাকান মুভমেন্ট, আরাকান পিপলস ফ্রিডম পার্টি, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এআরএনও), আরকান রোহিঙ্গা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের নেতারা এ মিশন নিয়ে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে চক্রটি বিভিন্নভাবে সাংবাদিক-পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে চিহ্নিতদের মামলা থেকে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। আর এর কৌশল হিসেবে সরকার দলীয় নেতা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের কাছ থেকে প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করে আদালতে দেখিয়ে জামিন নেয়ার চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছেন।
২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামে এক তরুণের ফেসবুক ওয়ালে তার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড কোরান অবমাননাকর একটি ছবি ট্যাগ করেন এবং তা শেয়ার করার পর রামুতে তাণ্ডব শুরু হয়। ওই রাতেই রামুর ১৩টি বৌদ্ধ বিহার ও প্রায় ৫০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
এ ঘটনার পর রামুতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তি, বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। ঘটনায় জড়িত ২শ’ ৫ জনকে শনাক্ত করা হয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে।
সম্প্রতি, রামুতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে সময়কার সহিংতার ভয় এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বৌদ্ধপল্লীতে হামলার সময় প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে ২ থেকে ৩ জন যুবক ছিলেন।
এদের হাতে পেট্রোল, গানপাউডারসহ বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল। কক্সবাজার শহর থেকে শিবিরের সাবেক ক্যাডার ভিপি বাহাদুরের নেতৃত্বে এসব মোটরসাইকেল রামুর হামলায় অংশ নেয়। কিন্তু ভিপি বাহাদুরকে গ্রেফতার করা হলেও তার সহযোগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়।
No comments