পবিত্র কোরআনের আলো-দুই ধরনের মানুষের পরিণতির বার্তা
৫. উলাইকা আলা হুদাম্মির রাবি্বহিম, ওয়াওলাইকা হুমুল মুফলেহুন। ৬. ইন্নাল্লাজিনা কাফারু ছাওয়াউন আলাইহিম আ'আনজারতাহুম আম-লাম-তুমজিরহুম লাইউ'মিনুন। ৭. খাতামাল্লাহু আলা কুলুবিহিম ওয়াআলা ছাম-ই-হিম ওয়াআলা আবছারিহিম গিসাওয়াতুন, ওয়ালাহুম আজাবুন আজিম।
(সুরা বাকারা, আয়াত-৫-৭)
অনুবাদ
৫. ওই সব লোক তাদের প্রভুর প্রদর্শিত সঠিক পথের ওপর রয়েছে এবং এরাই হচ্ছে সফলকাম।
৬. যারা কাফের বা প্রভুর পথকে অস্বীকারকারী হয়েছে, তাদের আপনি সাবধান করুন আর না করুন সমান কথা। এরা কখনো ইমান আনবে না।
৭. আল্লাহ তায়ালা তাদের মন-মগজ ও শ্রবণশক্তির ওপর মোহর মেরে দিয়েছেন। এদের দৃষ্টিশক্তির ওপরও আবরণ পড়ে আছে এবং তাদের জন্য পরিণামে কষ্টদায়ক শাস্তি রয়েছে।
ব্যাখ্যা
৫ নম্বর আয়াতে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে ওপরে (গত সংখ্যায়) উল্লিখিত মানুষদের জন্য। অর্থাৎ যারা এ কোরআনকে অনুসরণ করবে তাদের জন্য আল্লাহ-প্রদর্শিত সুপথ রয়েছে এবং তারা তাদের জীবনে সফলকাম।
৬ নম্বর আয়াতে এর বিপরীত চরিত্রের লোকদের ব্যাপারে বলা হয়েছে। যারা এই কোরআন এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ অস্বীকার করবে তারাই কাফের এবং তাদের আল্লাহর রাসুল (স.) সুপথ দেখালেও তারা তা খুঁজে পাবে না। তাদের সৎ পথ দেখানো আর না দেখানো সমান। অর্থাৎ তারা নিজেরা এতটাই বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত যে সুপথ দেখানোর পর তারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ফিরে আসতে পারবেন না।
৭ নম্বর আয়াতে উল্লিখিত মানুষগুলোর এমন খারাপ পরিণতির কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তঃকরণে, তাদের শ্রবণশক্তিতে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টিশক্তির ওপরও আবরণ তৈরি করে দিয়েছেন। এদের জন্যই আল্লাহ তায়ালা পরিণতিতে কঠোর শাস্তির সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আল্লাহ তায়ালা তাদের এই করুণ পরিণতি সৃষ্টি করেছেন তাদের কর্মফল হিসেবে। আল্লাহ তায়ালা রাহমানুর রাহিম। তিনি কারো প্রতি বিরূপ নন। তিনি কাউকে অপছন্দ করেন না। কিন্তু যারা তাদের বিশ্বাস ও কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর অপছন্দের পথে ধাবিত হতেই থাকে তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা এ রকম করুণ পরিণতি নির্ধারণ করেন। এ আয়াতগুলোর মাধ্যমে সত্য পথের অনুসন্ধানকারী ও সত্য পথকে অস্বীকারকারী এই দুই শ্রেণীর মানুষের চরিত্র ও পরিণতির কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরে এবং দৃষ্টিতে মোহর মেরে দিয়েছেন_এ কথাটির ব্যাপারে বিভিন্ন তাফসিরকার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক মোহর মেরে দেওয়ার অর্থ তাদের বিপথগামিতা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত_এ রকম অবশ্যই নয়। এটা তাদের ভাগ্য নয় বরং কর্মফল। যারা সত্যের বার্তা পাওয়ার পরও অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে সত্যকে অস্বীকার করেছে এবং আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি শত্রুতা শুরু করেছে তাদের ব্যাপারে অর্থাৎ জ্ঞানপাপীদের ব্যাপারে কোরআন মজিদে এ উক্তি করা হয়েছে। মহাগ্রন্থ কোরআন আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুল (সা.)-এর ওপর নাজিল করেছেন জাতি-বর্ণ-গোত্র-দেশ-কাল নির্বিশেষে সর্ব মানবের জন্য। কিন্তু মানুষ তাদের কর্ম ও আচরণের মাধ্যমে দুই ধরনের হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এক শ্রেণী দায়িত্বনিষ্ঠ ও সুপথের অনুসারী, অন্য শ্রেণী সত্যকে অস্বীকারকারী কাফের। কোরআন মজিদের সুরা বাকারায় ১-৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এই দুই শ্রেণীর মানুষের বৈশিষ্ট্য ও তাদের পরিণতির কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ
৫. ওই সব লোক তাদের প্রভুর প্রদর্শিত সঠিক পথের ওপর রয়েছে এবং এরাই হচ্ছে সফলকাম।
৬. যারা কাফের বা প্রভুর পথকে অস্বীকারকারী হয়েছে, তাদের আপনি সাবধান করুন আর না করুন সমান কথা। এরা কখনো ইমান আনবে না।
৭. আল্লাহ তায়ালা তাদের মন-মগজ ও শ্রবণশক্তির ওপর মোহর মেরে দিয়েছেন। এদের দৃষ্টিশক্তির ওপরও আবরণ পড়ে আছে এবং তাদের জন্য পরিণামে কষ্টদায়ক শাস্তি রয়েছে।
ব্যাখ্যা
৫ নম্বর আয়াতে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে ওপরে (গত সংখ্যায়) উল্লিখিত মানুষদের জন্য। অর্থাৎ যারা এ কোরআনকে অনুসরণ করবে তাদের জন্য আল্লাহ-প্রদর্শিত সুপথ রয়েছে এবং তারা তাদের জীবনে সফলকাম।
৬ নম্বর আয়াতে এর বিপরীত চরিত্রের লোকদের ব্যাপারে বলা হয়েছে। যারা এই কোরআন এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ অস্বীকার করবে তারাই কাফের এবং তাদের আল্লাহর রাসুল (স.) সুপথ দেখালেও তারা তা খুঁজে পাবে না। তাদের সৎ পথ দেখানো আর না দেখানো সমান। অর্থাৎ তারা নিজেরা এতটাই বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত যে সুপথ দেখানোর পর তারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ফিরে আসতে পারবেন না।
৭ নম্বর আয়াতে উল্লিখিত মানুষগুলোর এমন খারাপ পরিণতির কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তঃকরণে, তাদের শ্রবণশক্তিতে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং তাদের দৃষ্টিশক্তির ওপরও আবরণ তৈরি করে দিয়েছেন। এদের জন্যই আল্লাহ তায়ালা পরিণতিতে কঠোর শাস্তির সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আল্লাহ তায়ালা তাদের এই করুণ পরিণতি সৃষ্টি করেছেন তাদের কর্মফল হিসেবে। আল্লাহ তায়ালা রাহমানুর রাহিম। তিনি কারো প্রতি বিরূপ নন। তিনি কাউকে অপছন্দ করেন না। কিন্তু যারা তাদের বিশ্বাস ও কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর অপছন্দের পথে ধাবিত হতেই থাকে তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা এ রকম করুণ পরিণতি নির্ধারণ করেন। এ আয়াতগুলোর মাধ্যমে সত্য পথের অনুসন্ধানকারী ও সত্য পথকে অস্বীকারকারী এই দুই শ্রেণীর মানুষের চরিত্র ও পরিণতির কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা তাদের অন্তরে এবং দৃষ্টিতে মোহর মেরে দিয়েছেন_এ কথাটির ব্যাপারে বিভিন্ন তাফসিরকার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক মোহর মেরে দেওয়ার অর্থ তাদের বিপথগামিতা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত_এ রকম অবশ্যই নয়। এটা তাদের ভাগ্য নয় বরং কর্মফল। যারা সত্যের বার্তা পাওয়ার পরও অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে সত্যকে অস্বীকার করেছে এবং আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি শত্রুতা শুরু করেছে তাদের ব্যাপারে অর্থাৎ জ্ঞানপাপীদের ব্যাপারে কোরআন মজিদে এ উক্তি করা হয়েছে। মহাগ্রন্থ কোরআন আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুল (সা.)-এর ওপর নাজিল করেছেন জাতি-বর্ণ-গোত্র-দেশ-কাল নির্বিশেষে সর্ব মানবের জন্য। কিন্তু মানুষ তাদের কর্ম ও আচরণের মাধ্যমে দুই ধরনের হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এক শ্রেণী দায়িত্বনিষ্ঠ ও সুপথের অনুসারী, অন্য শ্রেণী সত্যকে অস্বীকারকারী কাফের। কোরআন মজিদের সুরা বাকারায় ১-৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত এই দুই শ্রেণীর মানুষের বৈশিষ্ট্য ও তাদের পরিণতির কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments