ঈদে তারুণ্যের পোশাক by তৌফিক অপু
উৎসব মানেই আনন্দ। আর এ উৎসব যদি হয় সার্বজনীন তাহলে তো কথাই নেই। উৎসবকে আনন্দঘন করে তুলতে থাকে পরিকল্পনা। বাঙালী মুসলমানের সবচেয়ে বড় আনন্দ উৎসব ঈদ। ঈদ-উল-ফিতরকে ঘিরে বাঙালী মুসলমান আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। একমাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদ-উল-ফিতর।
দীর্ঘ সিয়াম সাধনার পর যে উৎসব তাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ বেশি। আর যেহেতু এই ঈদ-উল-ফিতর আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব, তাই মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনাও বেশি। সেই উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে কেনাকাটায়। শুধু পরনের পোশাকে নয়, এই কেনাকাটা ছড়িয়ে পরে তৈজসপত্র থেকে শুরু করে আসবাবপত্রেও। তবে রমজানের ঈদে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে কাপড়ের বাজারে। এ সময় রীতিমতো কেনার হিড়িক পড়ে যায়। পাড়ার ছোট ছোট শপিংমল থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণীবিতান সবখানেই নামে মানুষের ঢল। মানুষের এই আগ্রহ এবং আস্থার প্রতিদান দিতেই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোও রুচি, চাহিদা এবং সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করে নিয়ে আসে নতুন নতুন পোশাক। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস, বুটিক শপের ডিজাইনাররা মানুষের চাহিদা এবং আগ্রহের কথা বিবেচনা করে নিত্যনতুন ডিজাইন তৈরিতে মনোযোগী হয়।
এই সময়ের এমনি একটি জনপ্রিয় পোশাক শর্ট পাঞ্জাবি। এর প্রচলন খুব বেশিদিনের নয়। খুব অল্প সময়েই জয় করে নিয়েছে তারুণ্যের হৃদয়। সাধারণ পাঞ্জাবির তুলনায় একটু শর্ট বিধায় এর নাম শর্ট পাঞ্জাবি। বাকি সব বৈশিষ্ট্য সাধারণ পাঞ্জাবির মতোই। শর্ট পাঞ্জাবির দামও হাতের নাগালেই। শর্ট পাঞ্জাবি ৬৫০ থেকে শুরু করে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের রয়েছে। ছেলেদের যেমন শর্ট পাঞ্জাবি তেমনি মেয়েদের বেলায় এখন চলছে শর্ট কামিজ। এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় রয়েছে শর্ট কামিজ। এই গরমে সবচেয়ে মানানসই পোশাক শর্ট কামিজ। শর্ট কামিজ এখন হয়ে উঠেছে তারুণ্যের প্রতীক। রং, ডিজাইন এবং কাপড়ের মানের ওপর ভিত্তি করে শর্ট কামিজের দাম পড়বে ১,০৫০ টাকা থেকে ৩,২০০ টাকার মধ্যে। শর্ট পাঞ্জাবি এবং শর্ট কামিজের মতো ফতুয়ারও কদর তরুণ-তরুণীর কাছে। ফতুয়া এখন বেশ জনপ্রিয়। ঘরে-বাইরে এমনকি উৎসব অনুষ্ঠানের হরহামেশা ফতুয়া পরিহিত তরুণ-তরুণীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ডিজাইন এবং কাপড় ভেদে লেডিস এবং জেন্টস ফতুয়ার মূল্য পড়বে ৪৫০ টাকা থেকে ১,২৫০ টাকা। তবে শর্ট পাঞ্জাবি, শর্ট কামিজ বা ফতুয়া যাই কিনুন না কেন, ভাদ্র মাসের এই গরমে উৎসবের আনন্দ যেন ম্লান না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে পোশাক নির্বাচন করতে হবে। এ সময়টায় ভাপসা গরম, সে কারণে যাই কেনা হোক না কেন কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতি এবং এন্ডিকটনকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত।
তরুণদের শার্ট এবং টি শার্টের পসরা সাজানো হয়েছে ব্যাপকভাবে। বর্তমান সময়ে তরুণরা একেবারে ভিন্নতা চায়। তারা শর্ট শার্ট পরতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্য পায়। বিভিন্ন ধরনের চেক, স্টাইপ, কলারের আলাদা ধরন, হাতায় বাড়তি কাজ এবং ভিন্ন রংয়ের বা সুতির মাধ্যমে পুরো শার্টে আলাদা শেড তৈরি করা হয়েছে। নতুন মাত্রায় এই শর্ট শার্টগুলো ক্রেতার বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। শর্ট শার্টগুলো ফুল হাতা এবং হাফ হাতা দুই ধরনের আছে। যাতে ডিজাইন ৭০টির বেশি করা হয়েছে। নতুন মাত্রার যে শার্টগুলো বাজারে এসেছে তার প্রত্যেকটিতেই পকেটের ডিজাইন একটু ভিন্ন রকম। সম্পূর্ণ সুতির ওপর তৈরি এ শার্টগুলো এই গরমে পরতে বেশি আরাম পাওয়া যাবে। বাজার ঘুরে বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন স্টাইলের শার্ট একেক ব্র্যান্ড বাজারে এনেছে। শার্টগুলো কিনতে ক্রেতার বেশি বেগ পেতে হবে না। শর্ট শার্টের পাশাপাশি পলো ও টি-শার্টেও এসেছে নতুন আঙ্গিক। বাহারি রং এবং ডিজাইনের জন্য আলাদা করে কষ্ট করতে হবে না। এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শার্ট যেখানে প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে ঠিক সেখানেই পলো এবং টি-শার্টও পাওয়া যাবে। সময়ের সঙ্গে বদলেছে তরুণদের মন, রুচি। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই আমরা নতুন ডিজাইনের পলো ও টি-শার্টের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
কোথায় যাওয়া যাবেÑশর্ট শার্ট, পলো এবং টি-শার্ট? পাওয়া যাবে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায়। মালিবাগ, মগবাজার রোডের বিভিন্ন শো-রুমে। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, নিউমার্কেট, গ্লোব শপিং সেন্টার, মিরপুর-১০, এলিফ্যান্ট রোড এবং বিভিন্ন অভিজাত শপিং মলগুলোতে।
দাম- নিউমার্কেটে শর্ট শার্ট হাফ হাতা এবং ফুল হাতার দাম পড়বে যথাক্রমে ৩৫০-৭০০ টাকা। ইজি-৬৫০-৯০০ টাকা। ক্রে-ক্যাফ্ট ৬০০-১২০০ টাকা। প্লাস পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে ৭০০-১০০০ টাকা। ক্যাটস আই-১২০০ টাকা। টি শার্টগুলো বিভিন্ন জায়গায় বা শো-রুমে কম বেশি ১৮০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায় পাওয়া যাবে। পলো শার্ট ৩৫০ টাকা থেকে ১২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
ঈদের কেনাকাটার আগে অবশ্য আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। আর শিশুদের পোশাক নির্বাচনের বেলায় এ বিষয়টি তো আরও জরুরী। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। এই খুশি যেন ম্লান না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পোশাক নির্বাচন জরুরী। ঈদের আনন্দ রঙিন পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে হয়ে উঠুক সেই প্রত্যাশা।
মডেল : নায়লা, আরেফিন শুভ, শেখ মিলন ও সোহাগ
এই সময়ের এমনি একটি জনপ্রিয় পোশাক শর্ট পাঞ্জাবি। এর প্রচলন খুব বেশিদিনের নয়। খুব অল্প সময়েই জয় করে নিয়েছে তারুণ্যের হৃদয়। সাধারণ পাঞ্জাবির তুলনায় একটু শর্ট বিধায় এর নাম শর্ট পাঞ্জাবি। বাকি সব বৈশিষ্ট্য সাধারণ পাঞ্জাবির মতোই। শর্ট পাঞ্জাবির দামও হাতের নাগালেই। শর্ট পাঞ্জাবি ৬৫০ থেকে শুরু করে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের রয়েছে। ছেলেদের যেমন শর্ট পাঞ্জাবি তেমনি মেয়েদের বেলায় এখন চলছে শর্ট কামিজ। এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় রয়েছে শর্ট কামিজ। এই গরমে সবচেয়ে মানানসই পোশাক শর্ট কামিজ। শর্ট কামিজ এখন হয়ে উঠেছে তারুণ্যের প্রতীক। রং, ডিজাইন এবং কাপড়ের মানের ওপর ভিত্তি করে শর্ট কামিজের দাম পড়বে ১,০৫০ টাকা থেকে ৩,২০০ টাকার মধ্যে। শর্ট পাঞ্জাবি এবং শর্ট কামিজের মতো ফতুয়ারও কদর তরুণ-তরুণীর কাছে। ফতুয়া এখন বেশ জনপ্রিয়। ঘরে-বাইরে এমনকি উৎসব অনুষ্ঠানের হরহামেশা ফতুয়া পরিহিত তরুণ-তরুণীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ডিজাইন এবং কাপড় ভেদে লেডিস এবং জেন্টস ফতুয়ার মূল্য পড়বে ৪৫০ টাকা থেকে ১,২৫০ টাকা। তবে শর্ট পাঞ্জাবি, শর্ট কামিজ বা ফতুয়া যাই কিনুন না কেন, ভাদ্র মাসের এই গরমে উৎসবের আনন্দ যেন ম্লান না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে পোশাক নির্বাচন করতে হবে। এ সময়টায় ভাপসা গরম, সে কারণে যাই কেনা হোক না কেন কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতি এবং এন্ডিকটনকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত।
তরুণদের শার্ট এবং টি শার্টের পসরা সাজানো হয়েছে ব্যাপকভাবে। বর্তমান সময়ে তরুণরা একেবারে ভিন্নতা চায়। তারা শর্ট শার্ট পরতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্য পায়। বিভিন্ন ধরনের চেক, স্টাইপ, কলারের আলাদা ধরন, হাতায় বাড়তি কাজ এবং ভিন্ন রংয়ের বা সুতির মাধ্যমে পুরো শার্টে আলাদা শেড তৈরি করা হয়েছে। নতুন মাত্রায় এই শর্ট শার্টগুলো ক্রেতার বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। শর্ট শার্টগুলো ফুল হাতা এবং হাফ হাতা দুই ধরনের আছে। যাতে ডিজাইন ৭০টির বেশি করা হয়েছে। নতুন মাত্রার যে শার্টগুলো বাজারে এসেছে তার প্রত্যেকটিতেই পকেটের ডিজাইন একটু ভিন্ন রকম। সম্পূর্ণ সুতির ওপর তৈরি এ শার্টগুলো এই গরমে পরতে বেশি আরাম পাওয়া যাবে। বাজার ঘুরে বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন স্টাইলের শার্ট একেক ব্র্যান্ড বাজারে এনেছে। শার্টগুলো কিনতে ক্রেতার বেশি বেগ পেতে হবে না। শর্ট শার্টের পাশাপাশি পলো ও টি-শার্টেও এসেছে নতুন আঙ্গিক। বাহারি রং এবং ডিজাইনের জন্য আলাদা করে কষ্ট করতে হবে না। এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শার্ট যেখানে প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে ঠিক সেখানেই পলো এবং টি-শার্টও পাওয়া যাবে। সময়ের সঙ্গে বদলেছে তরুণদের মন, রুচি। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই আমরা নতুন ডিজাইনের পলো ও টি-শার্টের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
কোথায় যাওয়া যাবেÑশর্ট শার্ট, পলো এবং টি-শার্ট? পাওয়া যাবে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায়। মালিবাগ, মগবাজার রোডের বিভিন্ন শো-রুমে। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, নিউমার্কেট, গ্লোব শপিং সেন্টার, মিরপুর-১০, এলিফ্যান্ট রোড এবং বিভিন্ন অভিজাত শপিং মলগুলোতে।
দাম- নিউমার্কেটে শর্ট শার্ট হাফ হাতা এবং ফুল হাতার দাম পড়বে যথাক্রমে ৩৫০-৭০০ টাকা। ইজি-৬৫০-৯০০ টাকা। ক্রে-ক্যাফ্ট ৬০০-১২০০ টাকা। প্লাস পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে ৭০০-১০০০ টাকা। ক্যাটস আই-১২০০ টাকা। টি শার্টগুলো বিভিন্ন জায়গায় বা শো-রুমে কম বেশি ১৮০ টাকা থেকে ২৮০ টাকায় পাওয়া যাবে। পলো শার্ট ৩৫০ টাকা থেকে ১২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
ঈদের কেনাকাটার আগে অবশ্য আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। আর শিশুদের পোশাক নির্বাচনের বেলায় এ বিষয়টি তো আরও জরুরী। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। এই খুশি যেন ম্লান না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পোশাক নির্বাচন জরুরী। ঈদের আনন্দ রঙিন পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে হয়ে উঠুক সেই প্রত্যাশা।
মডেল : নায়লা, আরেফিন শুভ, শেখ মিলন ও সোহাগ
No comments