লন্ডনে আমার দেশ সম্পাদকের ওপর হামলাঃ স্থাপিত হলো এক কলঙ্কজনক নজির
আওয়ামী লীগ একটি পুরনো রাজনৈতিক দল হলেও মহাকালের প্রেক্ষাপটে ৬১ বছর (দলটির জন্ম ১৯৪৯ সালে) মোটেও দীর্ঘসময় নয়। ‘ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’—এই আপ্ত বাক্য যখন বাঙালি রপ্ত করে ফেলেছে তখন আওয়ামী লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল জন্ম নেবে তেমন চিন্তা এ জাতির কারও দূরতম কল্পনায়ও স্থান পায়নি।
অবশ্য দলটি জন্ম নিয়েছে, নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে এখন দোর্দণ্ড প্রতাপে বাংলাদেশের মানুষকে ‘গণতন্ত্র’ শেখাচ্ছে এবং ঢাকার পাশাপাশি সুদূর লন্ডনে গিয়েও ‘ধান ভানতে’ শুরু করেছে। আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এখন ব্যক্তিগত কাজে ব্রিটেনে অবস্থান করছেন। শুক্রবার বিকালে লন্ডনে তার ওপর একদল দুর্বৃত্ত হামলা করেছে। তিনি যখন লন্ডনের বাঙালিপাড়া ব্রিকলেনের একটি রেস্টুরেন্টে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে চলে আসছিলেন তখন চার-পাঁচ যুবক তার ওপর হামলা চালায়। তাদের চাকুর আঘাতে মাহমুদুর রহমানের শরীর ক্ষতবিক্ষত না হলেও পরনের স্যুট কেটে-ছিঁড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে দ্রুত লোকজন এসে পড়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। হামলাকারীরা যে বাংলাদেশী এবং আওয়ামী উত্তেজনায় উত্তেজিত, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রশাসনের অভ্যন্তরে চিঠি চালাচালির সূত্র ধরে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেভরনকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার সুবাদে জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রায় বিপুল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মন্তব্যবিহীন খবর আমার দেশ-এ ছাপা হয়েছিল। এতে ‘গণতান্ত্রিক’ মহাজোট সরকারের মাথা এমনভাবে বিগড়ে যায় যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বিদায়ী প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের নামে ডজন ডজন মানহানীর মামলা রুজু হয়ে যায়। পাশাপাশি ‘দেখে নেব, মেরে ফেলব, শেষ করে দেব’—এজাতীয় হুঙ্কারে সরব হয়ে ওঠে আওয়ামী ঘরানার প্রতিটি স্তর। মাহমুদুর রহমানের গাড়িতে হাতুড়ি হামলাসহ একাধিক হামলার ঘটনাও ঘটে। লন্ডনে মাহমুদুর রহমানের ওপর চাকু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া এরই ধারাবাহিকতা মাত্র। সেখানকার চাকুধারী আওয়ামী যুবকেরা হয়তো দেখাতে চেয়েছিল, তারাও হাতুড়িধারী স্বদেশিদের চেয়ে ‘বীরত্বে’ কম যায় না।
আওয়ামী অসহিষ্ণুতা এমন একসময় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে পা রাখল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক প্রতিবেদন বাংলাদেশে মানবাধিকার দলনের নিন্দায় মুখর। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের যেসব অপকর্ম তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য আমার দেশ এক বছর ধরে সরকারকে সতর্ক করে আসছিল। সেসব সতর্কবাণীতে কান দিলে আজ এভাবে বিশ্বদরবারে সরকারের নাক কাটা যেত না। অবশ্য সরকার যেভাবে বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকারের শেষ তলানিটুকুও মুছে ফেলতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তাতে মনে হয় না যে আওয়ামী লীগ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ধিক্কারে এতটুকু বিচলিত। বরং লন্ডনে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা, যশোরে তিন স্কুলশিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা এবং স্কুলটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের প্রাণনাশের হুমকি, সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ার এমপির বাসায় হামলাসহ এধরনের অবিশ্বাস্য বাড়াবাড়ি দেখে মনে হচ্ছে, বর্তমান সরকার চাইছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের পরবর্তী মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে যেন মানবাধিকার দলনকারী দেশের তালিকায় শীর্ষ শিরোপা দেয়া হয়। আসলে ফ্যাসিবাদ চরিত্রগতভাবে ভব্যতার মুখোশ বেশিদিন পড়ে থাকতে অক্ষম। উলঙ্গ তাণ্ডবেই ফ্যাসিবাদের আনন্দ। সে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে বর্তমান সরকার বোধহয় টের পাচ্ছে না যে তাদের পায়ের তলার মাটি অতিদ্রুত সরে যাচ্ছে।
প্রশাসনের অভ্যন্তরে চিঠি চালাচালির সূত্র ধরে, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেভরনকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার সুবাদে জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রায় বিপুল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মন্তব্যবিহীন খবর আমার দেশ-এ ছাপা হয়েছিল। এতে ‘গণতান্ত্রিক’ মহাজোট সরকারের মাথা এমনভাবে বিগড়ে যায় যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বিদায়ী প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের নামে ডজন ডজন মানহানীর মামলা রুজু হয়ে যায়। পাশাপাশি ‘দেখে নেব, মেরে ফেলব, শেষ করে দেব’—এজাতীয় হুঙ্কারে সরব হয়ে ওঠে আওয়ামী ঘরানার প্রতিটি স্তর। মাহমুদুর রহমানের গাড়িতে হাতুড়ি হামলাসহ একাধিক হামলার ঘটনাও ঘটে। লন্ডনে মাহমুদুর রহমানের ওপর চাকু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া এরই ধারাবাহিকতা মাত্র। সেখানকার চাকুধারী আওয়ামী যুবকেরা হয়তো দেখাতে চেয়েছিল, তারাও হাতুড়িধারী স্বদেশিদের চেয়ে ‘বীরত্বে’ কম যায় না।
আওয়ামী অসহিষ্ণুতা এমন একসময় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে পা রাখল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক প্রতিবেদন বাংলাদেশে মানবাধিকার দলনের নিন্দায় মুখর। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের যেসব অপকর্ম তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য আমার দেশ এক বছর ধরে সরকারকে সতর্ক করে আসছিল। সেসব সতর্কবাণীতে কান দিলে আজ এভাবে বিশ্বদরবারে সরকারের নাক কাটা যেত না। অবশ্য সরকার যেভাবে বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকারের শেষ তলানিটুকুও মুছে ফেলতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তাতে মনে হয় না যে আওয়ামী লীগ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ধিক্কারে এতটুকু বিচলিত। বরং লন্ডনে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা, যশোরে তিন স্কুলশিক্ষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা এবং স্কুলটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের প্রাণনাশের হুমকি, সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ার এমপির বাসায় হামলাসহ এধরনের অবিশ্বাস্য বাড়াবাড়ি দেখে মনে হচ্ছে, বর্তমান সরকার চাইছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের পরবর্তী মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে যেন মানবাধিকার দলনকারী দেশের তালিকায় শীর্ষ শিরোপা দেয়া হয়। আসলে ফ্যাসিবাদ চরিত্রগতভাবে ভব্যতার মুখোশ বেশিদিন পড়ে থাকতে অক্ষম। উলঙ্গ তাণ্ডবেই ফ্যাসিবাদের আনন্দ। সে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে বর্তমান সরকার বোধহয় টের পাচ্ছে না যে তাদের পায়ের তলার মাটি অতিদ্রুত সরে যাচ্ছে।
No comments