টাকা ছড়িয়ে দাম বাড়ানোর অভিযোগঃ সরকার তাহলে শুধু ঘাসই কাটছে!
কথা শোনানোয় আসলেও জুড়ি নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদেও তিনি অনেক কথা শুনিয়েছেন। বলেছেন, বিরোধী দল নাকি তাদের দুর্নীতি আর লুটপাটের টাকা ছড়িয়ে এবং সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে! পাঁচশ’ বা হাজার কোটি টাকা খরচ করলেও নাকি বিরোধী দলের কিছুই যায় আসে না! বিরোধী দলকে তুলোধুনো করার পাশাপাশি নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতেও কসুর করেননি প্রধানমন্ত্রী।
রীতিমত তথ্য-পরিসংখ্যানের উল্লেখ করে বলেছেন, তারা ৪০-৪৫ টাকার মোটা চালের দাম কমিয়ে ১৮ টাকায় এনেছিলেন; কিন্তু পরে কৃষকের স্বার্থে নির্ধারণ করেছেন ২২ টাকা। নির্বাচনী ইশতেহারে এক বছরে যে কাজ করার অঙ্গীকার ছিল তার চেয়ে অনেক বেশিই নাকি করে ফেলেছেন তারা! এই ভাষণেও প্রধানমন্ত্রী জোট সরকারের দুর্নীতি নিয়ে ব্যঙ্গ-তামাশা করেছেন। কিন্তু ‘হাজার হাজার কোটি টাকা’ সহযোগে ঢালাও মন্তব্যের বাইরে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যের উল্লেখ করতে পারেননি। ভাষণে জনগণকে ভয়ও দেখিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক কেজি চাল কিনতে হবে ৭০-৮০ টাকায়!
আরও অনেক প্রসঙ্গেই চুটিয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু মানুষের কানে বেশি বেজেছে জিনিসপত্রের দাম সংক্রান্ত কথাগুলো। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে হাজার দুঃখের মধ্যেও না হেসে পারেনি তারা। কারণ, মোটা চালের দাম কখনও ৪০-৪৫ টাকায় উঠেছিল—এমন তথ্য শুধু প্রধানমন্ত্রী ও তার অনুসারীরাই জানিয়ে থাকেন। বাস্তবে মোটা চালের নয়, সরু চালের দাম উঠেছিল ৪০-৪৫ টাকায়—সেটাও আবার আওয়ামী লীগের ‘আন্দোলনের ফসল’ হিসেবে ক্ষমতা দখলকারী জরুরি সরকারের সময়। লক্ষণীয় বিষয় হলো, প্রধানমন্ত্রী কিন্তু ভুলেও কখনও বলেন না যে, তিনি ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। বৃহস্পতিবারের ভাষণে ১০ টাকার কথাটা অবশ্য বলেছেন তিনি, তবে অন্যভাবে : তারা নাকি ২০০১ সালে বিদায় নেয়ার সময় চালের দাম ১০ টাকায় রেখে গিয়েছিলেন, কিন্তু ২০০৯ সালে এসে পেয়েছেন ৪৫ টাকা! চারদলীয় জোট সরকার চলে যাওয়ার পর মাঝখানে যে উদ্দিন সাহেবদের অসাংবিধানিক সরকার দু’দুটি বছর ক্ষমতায় ছিল এবং জিনিসপত্রের দামও যে সে সরকারই বাড়িয়ে রেখে গেছে, সেকথা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ভুলেও বলেন না। পরিবর্তে বৃহস্পতিবারও তিনি এমনভাবেই বলেছেন যেন ২০০৬ সালের অক্টোবরের পর একলাফে ২০০৯ সালের জানুয়ারি এসে হাজির হয়েছিল! বিএনপি ক্ষমতায় এলে ৭০-৮০ টাকা দরে চাল কিনতে হবে বলেও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী!
সব মিলিয়েই কথা শুনিয়েছেন বটে প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতায় রয়েছেন তারা আর সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে বিরোধী দল—এমন আজগুবি কথা তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু মুশকিল হলো, এদেশের মানুষ ততটা বোকা নয় যতটা ভাবা হচ্ছে। মানুষের বরং জানতে ইচ্ছা করে, সবই যখন জানেন এবং মানুষের কষ্ট দেখে তার ঘুমও যখন হারামই হয়ে গেছে, তাহলে তিনি কেন ওইসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? এখানে শেখ হাসিনার মিলিটারি মেজাজের বাণিজ্যমন্ত্রীর কথাও স্মরণ করা দরকার। কারণ, বহুবার তিনি দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের প্রতি হুকুম জারি করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই দাম উল্টো বেড়ে গেছে। বাণিজ্যমন্ত্রীকে তাই বলে লজ্জিত হতে দেখা দেখা যায়নি। এই সেদিনও তিনি বরং বলে বসেছেন, জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মানুষের চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে নাকি ‘খুব একটা তফাত্ নেই’! তারপরও তারা চান, দ্রব্যমূল্য ‘অ্যাকচুয়াল’ বা প্রকৃত জায়গায় ফিরে আসুক। এই ‘অ্যাকচুয়াল’ জায়গাটা কী—তা শুধু ফারুক খান নন, প্রধানমন্ত্রীও খুলে বলেননি। কথাটার সঙ্গে যদি ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই মানুষের সুখের অবধি থাকবে না! প্রধানমন্ত্রীর উচিত আসলে সে লক্ষ্যেই একটু চেষ্টা করা। একথাও তার বোঝা উচিত, কেবলই কলের গানের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে আর বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপিয়ে বেশিদিন সুখে ও নিরাপদে থাকা যাবে না। কারণ, মানুষ খোঁজ করে দেখবে, সরকার ঠিক কোন্ ময়দানে ঘাস কাটার কাজে ব্যস্ত রয়েছে!
আরও অনেক প্রসঙ্গেই চুটিয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু মানুষের কানে বেশি বেজেছে জিনিসপত্রের দাম সংক্রান্ত কথাগুলো। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে হাজার দুঃখের মধ্যেও না হেসে পারেনি তারা। কারণ, মোটা চালের দাম কখনও ৪০-৪৫ টাকায় উঠেছিল—এমন তথ্য শুধু প্রধানমন্ত্রী ও তার অনুসারীরাই জানিয়ে থাকেন। বাস্তবে মোটা চালের নয়, সরু চালের দাম উঠেছিল ৪০-৪৫ টাকায়—সেটাও আবার আওয়ামী লীগের ‘আন্দোলনের ফসল’ হিসেবে ক্ষমতা দখলকারী জরুরি সরকারের সময়। লক্ষণীয় বিষয় হলো, প্রধানমন্ত্রী কিন্তু ভুলেও কখনও বলেন না যে, তিনি ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। বৃহস্পতিবারের ভাষণে ১০ টাকার কথাটা অবশ্য বলেছেন তিনি, তবে অন্যভাবে : তারা নাকি ২০০১ সালে বিদায় নেয়ার সময় চালের দাম ১০ টাকায় রেখে গিয়েছিলেন, কিন্তু ২০০৯ সালে এসে পেয়েছেন ৪৫ টাকা! চারদলীয় জোট সরকার চলে যাওয়ার পর মাঝখানে যে উদ্দিন সাহেবদের অসাংবিধানিক সরকার দু’দুটি বছর ক্ষমতায় ছিল এবং জিনিসপত্রের দামও যে সে সরকারই বাড়িয়ে রেখে গেছে, সেকথা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ভুলেও বলেন না। পরিবর্তে বৃহস্পতিবারও তিনি এমনভাবেই বলেছেন যেন ২০০৬ সালের অক্টোবরের পর একলাফে ২০০৯ সালের জানুয়ারি এসে হাজির হয়েছিল! বিএনপি ক্ষমতায় এলে ৭০-৮০ টাকা দরে চাল কিনতে হবে বলেও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী!
সব মিলিয়েই কথা শুনিয়েছেন বটে প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতায় রয়েছেন তারা আর সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে বিরোধী দল—এমন আজগুবি কথা তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু মুশকিল হলো, এদেশের মানুষ ততটা বোকা নয় যতটা ভাবা হচ্ছে। মানুষের বরং জানতে ইচ্ছা করে, সবই যখন জানেন এবং মানুষের কষ্ট দেখে তার ঘুমও যখন হারামই হয়ে গেছে, তাহলে তিনি কেন ওইসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? এখানে শেখ হাসিনার মিলিটারি মেজাজের বাণিজ্যমন্ত্রীর কথাও স্মরণ করা দরকার। কারণ, বহুবার তিনি দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের প্রতি হুকুম জারি করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই দাম উল্টো বেড়ে গেছে। বাণিজ্যমন্ত্রীকে তাই বলে লজ্জিত হতে দেখা দেখা যায়নি। এই সেদিনও তিনি বরং বলে বসেছেন, জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মানুষের চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে নাকি ‘খুব একটা তফাত্ নেই’! তারপরও তারা চান, দ্রব্যমূল্য ‘অ্যাকচুয়াল’ বা প্রকৃত জায়গায় ফিরে আসুক। এই ‘অ্যাকচুয়াল’ জায়গাটা কী—তা শুধু ফারুক খান নন, প্রধানমন্ত্রীও খুলে বলেননি। কথাটার সঙ্গে যদি ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর সম্পর্ক থেকে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই মানুষের সুখের অবধি থাকবে না! প্রধানমন্ত্রীর উচিত আসলে সে লক্ষ্যেই একটু চেষ্টা করা। একথাও তার বোঝা উচিত, কেবলই কলের গানের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে আর বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপিয়ে বেশিদিন সুখে ও নিরাপদে থাকা যাবে না। কারণ, মানুষ খোঁজ করে দেখবে, সরকার ঠিক কোন্ ময়দানে ঘাস কাটার কাজে ব্যস্ত রয়েছে!
No comments