ছয় বছর পর আবারও অনুদানের ছবিতে সিমলা
২০০৬ সালে নূর-উল আলম পরিচালিত ‘পরমপ্রিয়’ ছবিতে অভিনয় করার মধ্যদিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা সিমলা প্রথমবারের মতো সরকারী অনুদানের কোন ছবিতে কাজ করেন। এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
এরপর মাঝে ছয়টি বছর কেটে গেলেও নতুন করে আর কোন অনুদানের ছবিতে কাজ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি সিমলার। ছয় বছর পর আবারও তিনি নতুন একটি অনুদানের ছবিতে কাজ করছেন। মাসুদ পথিক পরিচালিত সরকারী অনুদানের ছবি ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ছবিতে সিমলা গত ৫ আগস্ট থেকে অভিনয় শুরু করেছেন। শূটিং চলছে ছবির পরিচালকের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরাতে। পরিচালক মাসুদ পথিক জানান, এই ছবিতে সিমলা ফাতেমা চরিত্রে অভিনয় করছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যাকে পাক সেনারা ধরে নিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের পর তার ঘরে জন্ম নেয় এক যুদ্ধশিশু। শিশুটি জন্ম দিয়েই ফাতেমা মারা যায়। সিমলার অভিনয় সম্পর্কে পরিচালক মাসুদ পথিক বলেন, ‘সত্যি বলতে কী আমাদের মিডিয়াতে অভিনয়ে সিদ্ধহস্ত শিল্পীর সংখ্যা খুবই কম। যারা আছেন তাদের মধ্যে সিমলা একজন। অনেক ভাল এবং গুণী একজন অভিনেত্রী তিনি। চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করে তিনি অভিনয় করছেন।’ নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ছবিটিতে সিমলার বিপরীতে অভিনয় করছেন বৃত্তনাট্য সংসদের নাট্যকর্মী জুয়েল জহির। মূলত জুয়েল জহির অভিনয় করেছেন নেকাব্বরের তরুণ বেলার চরিত্রে। আর বৃদ্ধ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কারক নাট্য সম্প্রদায়ের বাদল শহীদ। আবারও সরকারী অনুদানের ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে সিমলা বলেন, ‘সবসময়ই আমি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সেই ভাললাগা থেকেই মূলত এই ছবিটিতে কাজ করা। আমার বিশ্বাস ছবিটি দর্শকের ভাললাগবে।’ নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ছবির কাহিনী মূলত নির্মলেন্দু গুণের নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ কবিতার ছায়া অবলম্বনে রচিত। এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন পরিচালক নিজেই। উল্লেখ্য, সিমলা প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় পর কোন নাটকে অভিনয় করলেন। অনিমেষ আইচ পরিচালিত সে নাটকের নাম ‘রূপজান’। এছাড়া তার অভিনীত দুটি ছবির কাজও চলছে এখন। ছবি দুটি হচ্ছে অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘না মানুষ’ এবং হাবিবুর রহমান হাবিব পরিচালিত ‘রূপগাওয়াল’। রূপগাওয়াল ছবিটিতে তার বিপরীতে আছেন সুপার হিরো নিলয়। প্রাসঙ্গিক উল্লেখ্য, মাসুদ পথিক ‘চলচ্চিত্রের ভাষা’ বিষয়ে পিএইচডি করছেন। এটিই তার প্রথম চলচ্চিত্র।
অভি মঈনুদ্দীন
অভি মঈনুদ্দীন
No comments