দূতাবাসে অভিযানের হুমকি প্রত্যাহার করেছে ব্রিটেন
উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তারে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে অভিযান চালানোর হুমকি প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রিটেন। ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া গত শনিবার এ কথা জানিয়েছেন। এর ফলে অ্যাসাঞ্জকে ঘিরে ব্রিটেন ও ইকুয়েডরের মধ্যকার কূটনৈতিক বিবাদের অবসান হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত শনিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট কোরেয়া বলেন, 'এটা খুশির কথা, যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।' দূতাবাসে ঢুকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করা হবে_ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ কথা বলা ভুল ছিল মন্তব্য করে কোরেয়া বলেন, 'আলোচনার মাধ্যমেই অ্যাসাঞ্জের ব্যাপারে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, এ নিয়ে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির অবসান হয়েছে।' দুই দেশের আলোচনার টেবিলে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন কোরেয়া।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর আঞ্চলিক সংস্থা অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) গত শুক্রবার ব্রিটেনের এ হুমকির নিন্দা জানায়। পরদিন শনিবার ব্রিটেনের হুমকি প্রত্যাহারের কথা জানালেন কোরেয়া।
৪১ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে সুইডেনে। যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে সুইডেন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে চায়। তবে অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, সুইডিশ সরকার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে পারে। গত ১৯ জুন লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি। তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইকুয়েডর সরকার। কিন্তু ব্রিটেন অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করতে দূতাবাসে ঢোকার হুমকি দেয় এবং দূতাবাসের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় ইকুয়েডর। তাদের বক্তব্য, অ্যাসাঞ্জকে বিচারের মুখোমুখি করার ব্যাপারে সুইডিশ সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করছে না তারা। তবে অ্যাসাঞ্জকে তৃতীয় কোনো দেশে প্রত্যর্পণ করা হবে না_এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে অ্যাসাঞ্জ সুইডেন যেতে রাজি আছেন। গত সপ্তাহে ইকুয়েডর দূতাবাসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন অ্যাসাঞ্জ। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকেসহ উইকিলিকসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বাগে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : এএফপি।
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর আঞ্চলিক সংস্থা অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) গত শুক্রবার ব্রিটেনের এ হুমকির নিন্দা জানায়। পরদিন শনিবার ব্রিটেনের হুমকি প্রত্যাহারের কথা জানালেন কোরেয়া।
৪১ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে সুইডেনে। যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে সুইডেন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে চায়। তবে অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, সুইডিশ সরকার তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে পারে। গত ১৯ জুন লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি। তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইকুয়েডর সরকার। কিন্তু ব্রিটেন অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করতে দূতাবাসে ঢোকার হুমকি দেয় এবং দূতাবাসের বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করে। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় ইকুয়েডর। তাদের বক্তব্য, অ্যাসাঞ্জকে বিচারের মুখোমুখি করার ব্যাপারে সুইডিশ সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করছে না তারা। তবে অ্যাসাঞ্জকে তৃতীয় কোনো দেশে প্রত্যর্পণ করা হবে না_এ ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে অ্যাসাঞ্জ সুইডেন যেতে রাজি আছেন। গত সপ্তাহে ইকুয়েডর দূতাবাসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন অ্যাসাঞ্জ। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকেসহ উইকিলিকসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বাগে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : এএফপি।
No comments