আজ জাতীয় কবির ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী

বাংলা কবিতার বিদ্রোহী ও গানের বুলবুল বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৭ আগস্ট। ‘গাহি সাম্যের গান,/ মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাহি, নহে কিছু মহীয়ান’ মানবতার জয়গানে তিনি ছিলেন এমনি উচ্চকণ্ঠ, দ্রোহে ও প্রেমে, কোমলে, কঠোরে বাংলা সাহিত্য, সংগীতে দিয়েছেন নতুনতর মাত্রা।


১৯৭৬ সালের এই দিনে (১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র) তিনি ঢাকায় তদানীন্তন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জাতীয় কবির চেতনা ও আদর্শ চিরভাস্বর হয়ে আছে আমাদের জীবনে। দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়েও তিনি কখনো আপস করেননি। মাথানত করেননি লোভ-লালসা, খ্যাতি, অর্থবিত্তের বৈভবের কাছে। ‘চির উন্নত মম শীর’ বলে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধেও ছিলেন সোচ্চার। মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার পক্ষে কলম ধরেছেন নির্ভীক চিত্তে। তাঁর রচিত ‘চল চল চল’ গানটি আমাদের রণসংগীত।
উপমহাদেশের স্বাধীনতা ও নবজাগরণের অন্যতম অগ্রনায়ক কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ সালের ১৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। বাবা কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। ১৯৭২ সালের ২৪ মে তৎকালীন সরকার তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে সপরিবারে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। ১৯৭৬ সালে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
কর্মসূচি: জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, ফাতিহা পাঠ ও আলোচনা। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সকাল সাড়ে নয়টায় কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন এবং ফাতিহা পাঠ করবে। বাংলা একাডেমী বিকেল চারটায় তাদের সেমিনারকক্ষে আয়োজন করেছে একক বক্তৃতার। ‘নজরুল ইসলাম: একটি আদর্শ জীবনীর খোঁজে’ শীর্ষক বক্তৃতা দেবেন অধ্যাপক গোলাম মুর্শিদ। স্বাগত বক্তৃতা দেবেন একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ জেলার তেওতায় বেলা ১১টায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতীয় কবি মৃত্যুবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটি।

No comments

Powered by Blogger.