ঈদের ছবি ॥ মোস্ট ওয়েলকাম by ইমরান হোসেন খান
আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল ছবি “মোস্ট ওয়েলকাম”। এম, এ, জলিল অনন্ত প্রযোজিত ও অভিনীত “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবিটির কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। সারাদেশের প্রায় পঁচিশটি সিনেমা হলে এবারের ঈদে একযোগে মুক্তি পাবে ‘মোস্ট ওয়েলকাম’।
সিনেমাটিতে সর্বাধুনিক গ্রাফিক্স এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলে নির্মাত সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই ছবির গানের দৃশ্যায়ন করা হয়েছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং মুম্বাইয়ের মনোরম লোকেশনে। এই ছবিতে অনন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয় করেছেন। ছবিতে দেখা যায় দুর্নীতিবাজরা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নিয়ে আর ফেরত দেয় না। তারা সব টাকা বিদেশে পাচার করে। একটি কেসের তদন্ত করতে গিয়ে শুরু হয় তাদের সাথে অনন্তর দ্বন্দ্ব। এ্যাকশননির্ভর এই সিনেমায় বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে মুম্বাইয়ের ‘লাকী’ সিনেমার নাায়িকা ¯েœহা উলাল। ‘মোস্ট্ওয়েলকাম’ সিনেমায় একটি আইটেম সং এ অংশ নিয়েছেন তিনি। এই ছবি করতে গিয়ে স্টান্টম্যান ব্যবহার না করে এগারো তলা থেকে লাফ দিয়েছেন হিরো অনন্ত। পুরো ছবির শুটিং চলেছে নয় মাস। এ ছবির প্রযোজক অনন্ত জানান, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের ছবি বানানো আসলে সম্ভব নয়। কারণ এরকম ছবি বানানো খুবই ব্যয়বহুল। বেশিরভাগই প্রযোজকই বিগ বাজেটের ছবি বানাতে চায় না। কারণ লগ্নির টাকা উঠে আসে না। আমি একটা ঝুঁকি নিয়েছি। আমি দর্শককে হলে ফিরিয়ে আনতে চাই।”
এবারের ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত সব ছবির মাঝে “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবিটি সবার আগেই অর্জন করে নিয়েছে সেন্সর ছাড়পত্র। সেন্সরে ছবিটির প্রশংসা ছিল সবার মুখে, মুখে। ছবিটি নিয়ে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ, দুর্ধর্ষ অভিনেতা সোহেল রানা বলেন, বাংলা চলচ্চিত্র আজ অনেক বছর পাড়ি দিয়ে এসেছে, কিন্তু এবারই প্রথম এমন একটা ছবি নির্মিত হলো যা দীর্ঘ ৪০ বছরে হয়নি। এমন ছবি আমরা এতদিন শুধু বলিউড আর হলিউডে দেখেছি, কিন্তু আজ আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রে এমন কিছু নির্মিত হলো। আসলে একটা ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যা সাপোর্ট দরকার তার পুরোটাই এম, এ, জলিল অনন্ত দিয়েছেন এই ছবিতে। আর তাই ছবিটি সেন্সরে ছাড়পত্র পাওয়ার পর পরই আমি ছুটে গিয়ে অনন্তকে ধন্যবাদ জানাই তার এই ভাল কিছু উপহার দেয়ার অবিরাম চেষ্টার জন্য। “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবির অভিনয়শিল্পীরা হলেন এ্যাকশন হিরো অনন্ত, অভিনেত্রী বর্ষা, সোহেল রানা, বাপ্পারাজ, মুম্বাই “লাকী” চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী স্নেহা উলাল (মুম্বাই), রাধিকা (মুম্বাই), মিশা সওদাগর, কাবিলা, আহমেদ শরীফ ও নায়করাজ রাজ্জাক। ছবিটির চিত্রগ্রহণ করেছেন তাইগু (চেন্নাই), আসাদুজ্জামান মজনু (বাংলাদেশ); নৃত্য পরিচালক শংকর আন্নাই (চেন্নাই), মাসুম বাবুল ও হাবিব (বাংলাদেশ)। ফাইট ডিরেক্টর হর্স বাবু (চেন্নাই), জাইকা ও মনজ্ (থাইল্যান্ড) এবং আরমান (বাংলাদেশ)। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আরেফিন রুমি, হৃদয় খান, শওকত আলী ইমন, মাহমুদ সানী ও সুমন কল্যাণ। কণ্ঠশিল্পীরা হলেন আরেফিন রুমি, হৃদয় খান, ন্যান্সী, নির্ঝর, মিলা, এস আই টুটুল, কিশোর, পড়শী, আহমেদ তওসিফ ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফি গায়ক ক্লৈাশ খের। গীতিকার জাহিদ আকবর, রবিউল ইসলাম জীবন, গুঞ্জন চৌধুরী। ছবিটির কস্টিউম, লোকেশন, থিম এবং সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন প্রযোজক ও এ্যাকশন হিরো অনন্ত।
ছবিটি নিয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সবাই প্রচ- আশাবাদী। ছবিটি নিয়ে অভিনেতা অনন্ত বলেন, ‘আমার সব সময়ের চেষ্টা আমার দর্শকদের ভাল কিছু উপহার দেওয়ার আর এ কারনেই আমার অক্লান্ত পরিশ্রম। মোস্ট ওয়েলকাম ছবিটি আমার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি এবং এই ছবিতে খুব সুক্ষ কারিগিরি কাজ আছে যা এই প্রথম আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবিতে সর্বোচ্চ কারিগরি কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। আমি আমার প্রতিটি ছবিতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট, টেকনিশিয়ানদের ব্যবহার করি, শুধু তাই নয় মূলত আমাদের দেশের টেকনিশিয়ান এবং আন্তর্জাতিক টেকনিশিয়ানদের মাঝে একটা সমন্বয় ঘটিয়ে আমি আমার প্রতিটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করি। আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই যে আমার “মোস্ট ওয়ালকাম” ছবিটি পরিপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক পরিম-লে উপস্থাপনের একটি ছবি এবং “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবিটি আমাদের দর্শকদের অবশ্যই ভাল লাগবে। আমি আমার দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলব যে আপনারা ভাল চলচ্চিত্র দেখুন এবং হলে গিয়ে পরিবারের সবাই মিলে ভাল চলচ্চিত্র উপভোগ করুন। অনন্ত এরপর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার পরবর্তী ছবি ‘হোয়াট ইজ লাইফ’ বা নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য । খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে এই সিনেমার। অনন্তর প্রত্যাশা সব শ্রেণীর দর্শক যেন আবার হলে ফিরে যায়। শিক্ষিত দর্শককে হলমুখী করতেই তার এই প্রচেষ্টা।
এই ছবির গানের দৃশ্যায়ন করা হয়েছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং মুম্বাইয়ের মনোরম লোকেশনে। এই ছবিতে অনন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয় করেছেন। ছবিতে দেখা যায় দুর্নীতিবাজরা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নিয়ে আর ফেরত দেয় না। তারা সব টাকা বিদেশে পাচার করে। একটি কেসের তদন্ত করতে গিয়ে শুরু হয় তাদের সাথে অনন্তর দ্বন্দ্ব। এ্যাকশননির্ভর এই সিনেমায় বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে মুম্বাইয়ের ‘লাকী’ সিনেমার নাায়িকা ¯েœহা উলাল। ‘মোস্ট্ওয়েলকাম’ সিনেমায় একটি আইটেম সং এ অংশ নিয়েছেন তিনি। এই ছবি করতে গিয়ে স্টান্টম্যান ব্যবহার না করে এগারো তলা থেকে লাফ দিয়েছেন হিরো অনন্ত। পুরো ছবির শুটিং চলেছে নয় মাস। এ ছবির প্রযোজক অনন্ত জানান, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের ছবি বানানো আসলে সম্ভব নয়। কারণ এরকম ছবি বানানো খুবই ব্যয়বহুল। বেশিরভাগই প্রযোজকই বিগ বাজেটের ছবি বানাতে চায় না। কারণ লগ্নির টাকা উঠে আসে না। আমি একটা ঝুঁকি নিয়েছি। আমি দর্শককে হলে ফিরিয়ে আনতে চাই।”
এবারের ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত সব ছবির মাঝে “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবিটি সবার আগেই অর্জন করে নিয়েছে সেন্সর ছাড়পত্র। সেন্সরে ছবিটির প্রশংসা ছিল সবার মুখে, মুখে। ছবিটি নিয়ে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ, দুর্ধর্ষ অভিনেতা সোহেল রানা বলেন, বাংলা চলচ্চিত্র আজ অনেক বছর পাড়ি দিয়ে এসেছে, কিন্তু এবারই প্রথম এমন একটা ছবি নির্মিত হলো যা দীর্ঘ ৪০ বছরে হয়নি। এমন ছবি আমরা এতদিন শুধু বলিউড আর হলিউডে দেখেছি, কিন্তু আজ আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রে এমন কিছু নির্মিত হলো। আসলে একটা ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যা সাপোর্ট দরকার তার পুরোটাই এম, এ, জলিল অনন্ত দিয়েছেন এই ছবিতে। আর তাই ছবিটি সেন্সরে ছাড়পত্র পাওয়ার পর পরই আমি ছুটে গিয়ে অনন্তকে ধন্যবাদ জানাই তার এই ভাল কিছু উপহার দেয়ার অবিরাম চেষ্টার জন্য। “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবির অভিনয়শিল্পীরা হলেন এ্যাকশন হিরো অনন্ত, অভিনেত্রী বর্ষা, সোহেল রানা, বাপ্পারাজ, মুম্বাই “লাকী” চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী স্নেহা উলাল (মুম্বাই), রাধিকা (মুম্বাই), মিশা সওদাগর, কাবিলা, আহমেদ শরীফ ও নায়করাজ রাজ্জাক। ছবিটির চিত্রগ্রহণ করেছেন তাইগু (চেন্নাই), আসাদুজ্জামান মজনু (বাংলাদেশ); নৃত্য পরিচালক শংকর আন্নাই (চেন্নাই), মাসুম বাবুল ও হাবিব (বাংলাদেশ)। ফাইট ডিরেক্টর হর্স বাবু (চেন্নাই), জাইকা ও মনজ্ (থাইল্যান্ড) এবং আরমান (বাংলাদেশ)। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আরেফিন রুমি, হৃদয় খান, শওকত আলী ইমন, মাহমুদ সানী ও সুমন কল্যাণ। কণ্ঠশিল্পীরা হলেন আরেফিন রুমি, হৃদয় খান, ন্যান্সী, নির্ঝর, মিলা, এস আই টুটুল, কিশোর, পড়শী, আহমেদ তওসিফ ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফি গায়ক ক্লৈাশ খের। গীতিকার জাহিদ আকবর, রবিউল ইসলাম জীবন, গুঞ্জন চৌধুরী। ছবিটির কস্টিউম, লোকেশন, থিম এবং সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন প্রযোজক ও এ্যাকশন হিরো অনন্ত।
ছবিটি নিয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সবাই প্রচ- আশাবাদী। ছবিটি নিয়ে অভিনেতা অনন্ত বলেন, ‘আমার সব সময়ের চেষ্টা আমার দর্শকদের ভাল কিছু উপহার দেওয়ার আর এ কারনেই আমার অক্লান্ত পরিশ্রম। মোস্ট ওয়েলকাম ছবিটি আমার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি এবং এই ছবিতে খুব সুক্ষ কারিগিরি কাজ আছে যা এই প্রথম আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবিতে সর্বোচ্চ কারিগরি কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। আমি আমার প্রতিটি ছবিতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট, টেকনিশিয়ানদের ব্যবহার করি, শুধু তাই নয় মূলত আমাদের দেশের টেকনিশিয়ান এবং আন্তর্জাতিক টেকনিশিয়ানদের মাঝে একটা সমন্বয় ঘটিয়ে আমি আমার প্রতিটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করি। আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই যে আমার “মোস্ট ওয়ালকাম” ছবিটি পরিপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক পরিম-লে উপস্থাপনের একটি ছবি এবং “মোস্ট ওয়েলকাম” ছবিটি আমাদের দর্শকদের অবশ্যই ভাল লাগবে। আমি আমার দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলব যে আপনারা ভাল চলচ্চিত্র দেখুন এবং হলে গিয়ে পরিবারের সবাই মিলে ভাল চলচ্চিত্র উপভোগ করুন। অনন্ত এরপর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার পরবর্তী ছবি ‘হোয়াট ইজ লাইফ’ বা নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জন্য । খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে এই সিনেমার। অনন্তর প্রত্যাশা সব শ্রেণীর দর্শক যেন আবার হলে ফিরে যায়। শিক্ষিত দর্শককে হলমুখী করতেই তার এই প্রচেষ্টা।
No comments