বন্যায় বিপর্যস্ত ভারত পাকিস্তান ও মিয়ানমার
মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারে। এর ফলে ইতিমধ্যেই তিন দেশের লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে মারা গেছে বহু মানুষ। পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অপ্রত্যাশিত টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে রাজধানী ইসলামাবাদ ও বেশ কয়েকটি প্রদেশে বন্যা
দেখা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ইফতিখার আহমেদ তাজ জানান, ইসলামাবাদ, পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান, কেন্দ্রশাসিত আদিবাসী এলাকা এবং পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সব এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাশ্মীরের মোজাফফরাবাদ এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে এবং ৩৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আটকা পড়েছে অনেক মানুষ। বন্যা ও ভূমিধসে কাশ্মীরের বাঘ এলাকায় সাতজন নিহত হয়েছে। আর কোটি এলাকায় শতাধিত ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজস্থান রাজ্যেও বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন-চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাত থেকেই আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বস্তিবাসী লোকজন।
এদিকে মিয়ানমারেও বন্যায় আড়াই লাখ হেক্টর ধানী জমি তলিয়ে গেছে। আর ৮৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য ২০০টি জরুরি ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার পানিতে ধানী জমি তলিয়ে যাওয়ায় আগামী বছরের ধান উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০০৮ সালে মিয়ানমারে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় নার্গিস আঘাত হানে। এতে দেশটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বন্যা এবং এর পরবর্তী অবস্থা মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার কিভাবে মোকাবিলা করে, সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাশ্মীরের মোজাফফরাবাদ এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে এবং ৩৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আটকা পড়েছে অনেক মানুষ। বন্যা ও ভূমিধসে কাশ্মীরের বাঘ এলাকায় সাতজন নিহত হয়েছে। আর কোটি এলাকায় শতাধিত ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজস্থান রাজ্যেও বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন-চার দিনের ভারী বৃষ্টিপাত থেকেই আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বস্তিবাসী লোকজন।
এদিকে মিয়ানমারেও বন্যায় আড়াই লাখ হেক্টর ধানী জমি তলিয়ে গেছে। আর ৮৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য ২০০টি জরুরি ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যার পানিতে ধানী জমি তলিয়ে যাওয়ায় আগামী বছরের ধান উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০০৮ সালে মিয়ানমারে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় নার্গিস আঘাত হানে। এতে দেশটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বন্যা এবং এর পরবর্তী অবস্থা মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার কিভাবে মোকাবিলা করে, সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন।
No comments