শাহজালালে ফের ৫৯ লাখ ভারতীয় রুপীর চালান ধরা পড়েছে- পাকিস্তানী নাগরিক গ্রেফতার
আবারও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রার চালান ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তান থেকে আগত যাত্রী হাশিমের কাছ থেকে এসব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত মুদ্রার পরিমাণ ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার রুপী।
তাকে তাৎক্ষণিক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিমানবন্দর থানায় পাঠানো হয়। আজ তাকে রিমান্ডে আনা হবে।
জানা যায়, কাস্টমস এসি সুলতানুল আলমের শিফটে এ চালান ধরা পড়ে। ভোরে করাচী থেকে আগত ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পাকিস্তানী নাগরিক হাশিম কাস্টমস হলে অবতরণ করেন। তিনি একটি লাগেজ নিয়ে দ্রুত চলে যাবার চেষ্টা করেন। এ সময় তার লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে দেয়া হয়। তাতে দেখা যায় লাগেজের ভিতরে এসব মুদ্রা। পরে কর্তব্যরত কাস্টমস কর্মকর্তা তার লাগেজ খুলে দেখতে পান চকোলেটের প্যাকেটে মোড়ানো এসব মুদ্রা। লাগেজের ফলস বটমের নিচে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কায়দায় প্যাকেটগুলো লুকানো ছিল।
কাস্টমস এসি সাদিয়া আফরোজ জানান, মুদ্রাগুলো ধরার পরই যথারীতি বিমানবন্দরে কর্মরত সকল গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গোনা হয়। কাস্টমস বিধি মোতাবেক সেগুলো গুদামে রাখা হয়। দু-একদিনের মধ্যে এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করা হবে। কাস্টমস বিভাগ মুদ্রাগুলো জব্দ করে থানায় মামলা দেয়। হাশিম পাকিস্তানী নাগরিক হলেও তিনি নিয়মিত ঢাকায় যাতায়াত করেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার মুদ্রা পাচার করেছেন। আটকের পর হাশিম জানান, তিনি করাচী থেকে এসব মুদ্রা এনেছেন। তিনি শুধু ক্যারিয়ার। ঢাকায় এক ব্যক্তির কাছে টাকাগুলো পৌঁছে দেয়াই ছিল তাঁর কাজ। তিনি সে ব্যক্তির নাম ঠিকানা কিছুই জানেন না। হাশিম পেশাদার মুদ্রা পাচারকারী বলে মনে হচ্ছে। তার পাসপোর্ট নং বিএ ৬৮৪৩৫৮১ (পিএকে)। তার বাবার নাম পীর মোহাম্মদ। পাসপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, তিনি এর আগেও চারবার পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। সে সময় তিনি গার্মেন্টসের মাল বহন করে এনেছেন বলে স্বীকারও করেছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার জাকিয়া সুলতানা জানান, আটক মুদ্রা পাচারকারী সম্পর্কে পূর্ব তথ্য ছিল না। তবে পাকিস্তান থেকে আগত প্রতিটি ফ্লাইটই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কাস্টমস হলে বেশ কড়াকড়ি করা হয়। ব্যাগেজ রুলে শতকরা ৫ ভাগ যাত্রীর লাগেজ স্ক্যান করার নিয়ম থাকলেও পাকিস্তানের বিমানে আগত বেশির ভাগ যাত্রীরই লাগেজ স্ক্যান করা হয়। কাস্টমস বিভাগ এ ব্যাপারে বেশ সতর্ক ও সজাগ থাকে। কারণ প্রায়ই দেখা যায় পাকিস্তান থেকে ভারতীয় মুদ্রার বড় বড় চালান আসে এবং ধরা পড়ে।
পাকিস্তান থেকে ভারতীয় মুদ্রা আসার প্রবণতা কেন জানতে চাইলে জাকিয়া সুলতানা বলেন, এ রহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব পুলিশের। কাস্টমস তার রুটিন কাজ হিসেবে সন্দেহজনক লাগেজ চেক করে এবং মুদ্রাগুলো আটক করে। মুদ্রাগুলো যদি ঘোষণা করা হতোÑ তাহলে সেটা বৈধ করারও বিধান ছিল। কিন্তু সেটা না করাতেই অবৈধ মাল হিসেবে জব্দ করা হয়। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
বিমানবন্দর থানার পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে উপপরিদর্শক নাসিরকে। এখনও হাশিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তবে তিনি বাংলা ও ইংরেজী কোন ভাষাই বোঝেন না। যে কারণে তদন্তে জটিলতা দেখা দেবে। আজ তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।
জানা যায়, কাস্টমস এসি সুলতানুল আলমের শিফটে এ চালান ধরা পড়ে। ভোরে করাচী থেকে আগত ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পাকিস্তানী নাগরিক হাশিম কাস্টমস হলে অবতরণ করেন। তিনি একটি লাগেজ নিয়ে দ্রুত চলে যাবার চেষ্টা করেন। এ সময় তার লাগেজ স্ক্যানিং মেশিনে দেয়া হয়। তাতে দেখা যায় লাগেজের ভিতরে এসব মুদ্রা। পরে কর্তব্যরত কাস্টমস কর্মকর্তা তার লাগেজ খুলে দেখতে পান চকোলেটের প্যাকেটে মোড়ানো এসব মুদ্রা। লাগেজের ফলস বটমের নিচে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কায়দায় প্যাকেটগুলো লুকানো ছিল।
কাস্টমস এসি সাদিয়া আফরোজ জানান, মুদ্রাগুলো ধরার পরই যথারীতি বিমানবন্দরে কর্মরত সকল গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গোনা হয়। কাস্টমস বিধি মোতাবেক সেগুলো গুদামে রাখা হয়। দু-একদিনের মধ্যে এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করা হবে। কাস্টমস বিভাগ মুদ্রাগুলো জব্দ করে থানায় মামলা দেয়। হাশিম পাকিস্তানী নাগরিক হলেও তিনি নিয়মিত ঢাকায় যাতায়াত করেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার মুদ্রা পাচার করেছেন। আটকের পর হাশিম জানান, তিনি করাচী থেকে এসব মুদ্রা এনেছেন। তিনি শুধু ক্যারিয়ার। ঢাকায় এক ব্যক্তির কাছে টাকাগুলো পৌঁছে দেয়াই ছিল তাঁর কাজ। তিনি সে ব্যক্তির নাম ঠিকানা কিছুই জানেন না। হাশিম পেশাদার মুদ্রা পাচারকারী বলে মনে হচ্ছে। তার পাসপোর্ট নং বিএ ৬৮৪৩৫৮১ (পিএকে)। তার বাবার নাম পীর মোহাম্মদ। পাসপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, তিনি এর আগেও চারবার পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। সে সময় তিনি গার্মেন্টসের মাল বহন করে এনেছেন বলে স্বীকারও করেছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার জাকিয়া সুলতানা জানান, আটক মুদ্রা পাচারকারী সম্পর্কে পূর্ব তথ্য ছিল না। তবে পাকিস্তান থেকে আগত প্রতিটি ফ্লাইটই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কাস্টমস হলে বেশ কড়াকড়ি করা হয়। ব্যাগেজ রুলে শতকরা ৫ ভাগ যাত্রীর লাগেজ স্ক্যান করার নিয়ম থাকলেও পাকিস্তানের বিমানে আগত বেশির ভাগ যাত্রীরই লাগেজ স্ক্যান করা হয়। কাস্টমস বিভাগ এ ব্যাপারে বেশ সতর্ক ও সজাগ থাকে। কারণ প্রায়ই দেখা যায় পাকিস্তান থেকে ভারতীয় মুদ্রার বড় বড় চালান আসে এবং ধরা পড়ে।
পাকিস্তান থেকে ভারতীয় মুদ্রা আসার প্রবণতা কেন জানতে চাইলে জাকিয়া সুলতানা বলেন, এ রহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব পুলিশের। কাস্টমস তার রুটিন কাজ হিসেবে সন্দেহজনক লাগেজ চেক করে এবং মুদ্রাগুলো আটক করে। মুদ্রাগুলো যদি ঘোষণা করা হতোÑ তাহলে সেটা বৈধ করারও বিধান ছিল। কিন্তু সেটা না করাতেই অবৈধ মাল হিসেবে জব্দ করা হয়। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
বিমানবন্দর থানার পুলিশ জানায়, মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে উপপরিদর্শক নাসিরকে। এখনও হাশিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তবে তিনি বাংলা ও ইংরেজী কোন ভাষাই বোঝেন না। যে কারণে তদন্তে জটিলতা দেখা দেবে। আজ তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।
No comments