পুলিশ অফিসার্স হাউজিং প্রকল্প-৩৩ রিট মামলা খারিজ, জমি অধিগ্রহণ বৈধ
রাজধানীর জোয়ারা সাহারা এলাকায় পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির হাউজিং প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা ৩৩টি রিট মামলা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে পুলিশের আবাসনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা বৈধই রইল।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, আবদুল বাসেত মজুমদার, কে এম সাইফুদ্দিন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ। পুলিশের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মোহাম্মদ বশিরউল্লাহ ও নুশরাত জাহান।
পুলিশ সদস্যদের আবাসনের জন্য ২০০৬ সালে পুলিশ অফিসার্স সমিতি সরকারের কাছে জমি চেয়ে আবেদন করে। ২০০৮ সালে ১৪৩.৪৯ একর জমি পুলিশকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর জমির মালিকদের জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই প্রায় ৯৮ একর জমি পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সরকারের এ জমি অধিগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালে জমির মালিকরা হাইকোর্টে মোট ৩৫টি রিট আবেদন করেন। এরপর হাইকোর্ট থেকে রুল জারি করা হয়। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল ৩৩টি রিট মামলা আদালত খারিজ করে দেন। বাকি দুটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন আদালত।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জমি অধিগ্রহণে আইনগত কোনো ঝামেলা ছিল না। এর পরও অনেকে রিট আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে এমন অনেকে রিট আবেদন করেছেন যাঁদের জমির মালিকানাই নেই।
No comments