আমন নিয়ে শঙ্কা- পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই, লালচে হয়ে পড়ছে ধানগাছ
চলতি বর্ষায় চলনবিল এলাকায় রোপণ করা আমন ধানের গাছগুলো সতেজ ও বড় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ভাদ্র মাসের শুরু থেকেই নদ-নদীসহ চলনবিলের পানি দ্রুত নামতে শুরু করেছে। এ কারণে চলনবিলসংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার আমনের খেত পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।
ফুল ও থোড় হওয়া ধানের গাছগুলো লালচে হয়ে যাচ্ছে। এতে আমনের ফলনে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন ৯২৫ বর্গমাইল আয়তনের চলনবিল অঞ্চলের কৃষকেরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলনবিলে বন্যার পানি প্রায় ছয়-সাত মাস স্থায়ী থাকে। বন্যার পানি দিয়ে চলনবিল এলাকার অপেক্ষাকৃত উঁচু খেতগুলোতে ব্যাপক হারে আমনের আবাদ হয়ে থাকে। এ বছর চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনার নয়টি উপজেলায় প্রায় এক লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এবার বর্ষাকালে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় এবং বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আমন ধানের শিষ ছোট, ধান মরে যাওয়া, আগাছা বৃদ্ধি পাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিলের উত্তর ও পূর্বে যেখানে এ সময় থইথই পানি থাকত, সেখানে এখন হাঁটু থেকে কোমর পানি। বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই, নন্দকুঁজা ও গুমানী নদীগুলোতে পানি কমে যাওয়ায় বিলের পানি দ্রুত নামছে। এ কারণে ফসলি মাঠগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।
চলনবিলসংলগ্ন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সোনাপাতিল গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, গত মৌসুমে ১২ বিঘা জমিতে সেচপদ্ধতিতে ইরি-বোরো আবাদ করেছিলেন তিনি। উৎপাদনও হয়েছিল ভালো। কিন্তু দাম কম পাওয়ায় তিনি ঋণের দায় থেকে মুক্ত হতে পারেননি। ভেবেছিলেন বর্ষায় আমন চাষ করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু তাঁর সেই আশা আর পূরণ হচ্ছে না। পানি না থাকায় তাঁর জমির ফুল ও থোড় হওয়া ধানের গাছগুলো লালচে হয়ে যাচ্ছে।
পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক মোতাচ্ছের হোসেন প্রামাণিক জানান, যেভাবে বিল থেকে বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে, তাতে আমনের ফলনে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। বিলের পূর্ব মাঠের আমন খেতগুলোতে সেচযন্ত্র দিয়ে পানি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার কাউয়াটিকরি গ্রামের কৃষক মুকুল হোসেন জানান, ভাদ্রের প্রথমেই বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এবং অনাবৃষ্টির কারণে তাঁর খেতের ধান লালচে হয়ে যাচ্ছে এবং খেতে আগাছা বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ধানের ফলন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
দক্ষিণ চলনবিলের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা গ্রামের কৃষক রবিউল করিম জানান, এ বছর অনেক আন্দোলন করে স্লুইসগেট খুলে দেওয়ার পরও জমিতে পানি নেই। পানি না থাকায় পাশের চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা, হরিপুর, ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন, গুনাইগাছি, মুলগ্রাম ইউনিয়নের কৃষকেরা আমন আবাদ করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টিপাত হলে আমন ধানের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি বৃষ্টিপাত আর না হয়, তাহলে আগাছা বেড়ে যাবে এবং ফলন কমে যাবে। এসব ধানগাছে ফুল ও থোড় আসার সময় জমিতে পানি না থাকলে ধানে চিটা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলনবিলে বন্যার পানি প্রায় ছয়-সাত মাস স্থায়ী থাকে। বন্যার পানি দিয়ে চলনবিল এলাকার অপেক্ষাকৃত উঁচু খেতগুলোতে ব্যাপক হারে আমনের আবাদ হয়ে থাকে। এ বছর চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনার নয়টি উপজেলায় প্রায় এক লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এবার বর্ষাকালে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় এবং বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় আমন ধানের শিষ ছোট, ধান মরে যাওয়া, আগাছা বৃদ্ধি পাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিলের উত্তর ও পূর্বে যেখানে এ সময় থইথই পানি থাকত, সেখানে এখন হাঁটু থেকে কোমর পানি। বিলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই, নন্দকুঁজা ও গুমানী নদীগুলোতে পানি কমে যাওয়ায় বিলের পানি দ্রুত নামছে। এ কারণে ফসলি মাঠগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়ছে।
চলনবিলসংলগ্ন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সোনাপাতিল গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, গত মৌসুমে ১২ বিঘা জমিতে সেচপদ্ধতিতে ইরি-বোরো আবাদ করেছিলেন তিনি। উৎপাদনও হয়েছিল ভালো। কিন্তু দাম কম পাওয়ায় তিনি ঋণের দায় থেকে মুক্ত হতে পারেননি। ভেবেছিলেন বর্ষায় আমন চাষ করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু তাঁর সেই আশা আর পূরণ হচ্ছে না। পানি না থাকায় তাঁর জমির ফুল ও থোড় হওয়া ধানের গাছগুলো লালচে হয়ে যাচ্ছে।
পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক মোতাচ্ছের হোসেন প্রামাণিক জানান, যেভাবে বিল থেকে বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে, তাতে আমনের ফলনে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। বিলের পূর্ব মাঠের আমন খেতগুলোতে সেচযন্ত্র দিয়ে পানি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার কাউয়াটিকরি গ্রামের কৃষক মুকুল হোসেন জানান, ভাদ্রের প্রথমেই বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এবং অনাবৃষ্টির কারণে তাঁর খেতের ধান লালচে হয়ে যাচ্ছে এবং খেতে আগাছা বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ধানের ফলন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
দক্ষিণ চলনবিলের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা গ্রামের কৃষক রবিউল করিম জানান, এ বছর অনেক আন্দোলন করে স্লুইসগেট খুলে দেওয়ার পরও জমিতে পানি নেই। পানি না থাকায় পাশের চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা, হরিপুর, ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন, গুনাইগাছি, মুলগ্রাম ইউনিয়নের কৃষকেরা আমন আবাদ করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টিপাত হলে আমন ধানের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু যদি বৃষ্টিপাত আর না হয়, তাহলে আগাছা বেড়ে যাবে এবং ফলন কমে যাবে। এসব ধানগাছে ফুল ও থোড় আসার সময় জমিতে পানি না থাকলে ধানে চিটা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
No comments