এইচএসবিসি তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা, হংকং- উদ্যোক্তার স্বীকৃতি by মারুফা ইসহাক
আহ্ কী স্বস্তি! ‘স্বস্তি’ শব্দটার অনুভূতি কেমন হয়—জীবনে প্রথমবার তা টের পেলাম। নানা ধরনের চিন্তা ভিড় করেছিল মাথায়, যার বেশির ভাগই ছিল নেতিবাচক। কিন্তু যখন ডায়মন্ড অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হলো, সে মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ, কখনোই ভোলার নয়।
এমনি করেই নিজের অনুভূতির কথা বলছিল এইচএসবিসি তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা-২০১২-এর আঞ্চলিক চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রথম রানারআপ বাংলাদেশ দলের দলনেতা মাকামে মাহমুদ।
এইচএসবিসি ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ‘তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা’ আয়োজন করে আসছে। এ বছর জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চার সদস্যের দলটি হংকংয়ে আঞ্চলিক চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। ‘ফায়ারফ্লাইস’ নামের বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন—মাকামে মাহমুদ, সৈয়দা রিজওয়ানা জাফরী, রাকসান্দা জিহান ও আয়শা সুলতানা। তাঁরা প্রত্যেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) শিক্ষার্থী।
এইচএসবিসি তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা-২০১২-এর আঞ্চলিক চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় হংকং শহরে। বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, হংকংসহ বিভিন্ন দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা এতে অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় অন্য সব দেশের দলকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ অর্জন করে নেয় ডায়মন্ড অ্যাওয়ার্ড বা প্রথম রানারআপ পুরস্কার। শুধু তা-ই নয়, পুরস্কার হিসেবে তাঁরা আরও পেয়েছে ৩০ হাজার হংকং ডলার।
যে প্রকল্পটির মাধ্যমে বিশ্ব-পরিসরে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হলো, সে প্রকল্পের আগাগোড়া জানতে চাওয়া হলে মাকামে মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রকল্পের নাম হলো ‘হেলদিক্যাপস’। মাছের আঁশ ও পাখনা থেকে ঔষধি ক্যাপসুলের আবরণ তৈরি করাই হচ্ছে আমাদের পরিকল্পনা। সাধারণত ক্যাপসুলের আবরণ তৈরির জন্য গরুর হাড়, শিং অথবা চামড়ার তৈরি জিলাটিন ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের ক্যাপসুলের আবরণের একটা বিশাল অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যা আমাদের জন্য অতটা সহজলভ্যও নয়।
একটা পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, প্রতিবছর বাংলাদেশকে প্রায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় এ ধরনের আবরণ আমদানি করতে। অন্যদিকে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের আঁশ বা পাখনা থেকেও খুব ভালো মানের ক্যাপসুলের আবরণ তৈরি করা সম্ভব। আমাদের দেশ নদীপ্রধান বলে আমাদের পক্ষে এ প্রক্রিয়া সহজলভ্য ও সুলভ। আমরা মূলত এটাই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে এ পরিকল্পনা কীভাবে ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরকে সাহায্য করবে, সেটাও দেখানো হয়েছে।
প্রকল্পটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দলের সবাই। অন্য অনেক দারুণ প্রকল্পের পরিকল্পনা থাকলেও আমাদের প্রকল্পটা নিয়েই সবার মধ্যে বেশি আগ্রহ ছিল। বললেন দলের আরেক সদস্য আয়শা সুলতানা। আমাদের প্রেজেন্টেশনের কিছু আগে এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও আন্ড্রু টিক বললেন, আমাদের ওপর তাঁর আস্থা আছে। আমরা অবশ্যই ভালো করব। তাঁর কথাগুলো আমাদের সেদিন ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতে এ প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে।
প্রতিযোগিতার দিনটিতে অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? মৃদু হেসে সৈয়দা রিজওয়ানা জাফরী বললেন, ‘৫ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টায় রওনা হলেও ট্রানজিট জটিলতায় আমরা প্রতিযোগিতার দিন সকালে হংকং পৌঁছাই। ভ্রমণ-ক্লান্তিকে কোনো রকম পাত্তা না দিয়েই আমাদের প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ৬ আগস্ট দুপুরের পর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতার সময়টুকু যেন একটা ঘোরের মধ্যে কেটে গেল। বারবার মনে হচ্ছিল, এখানে আমরা আমাদের দেশকে উপস্থাপন করছি। এক ধরনের অস্থিরতা ও চাপ কাজ করছিল মনে।’
এর সঙ্গে রাকসান্দা জিহান বললেন, ‘এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা! সবাই আমাদেরকে আমাদের নিজেদের নামে না চিনে দেশের নামে চিনছে। যারা এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়নি তারা আসলে বুঝবে না, এর অনুভূতি কত্ত দারুণ ও চমৎকার। এ রকম একটা প্রতিযোগিতায় নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এবং লাল-সবুজ পতাকাকে তুলে ধরা ভীষণ গৌরবের।’
প্রতিযোগিতায় রানারআপ হতে পেরে ভীষণ খুশি দলের সবাই। যদিও প্রথম হতে না পারায় খানিকটা আক্ষেপ রয়ে গেছে। তবে সবাই মনে করে এ ধরনের প্রতিযোগিতা তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা তৈরিতে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
এইচএসবিসি ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ‘তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা’ আয়োজন করে আসছে। এ বছর জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চার সদস্যের দলটি হংকংয়ে আঞ্চলিক চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। ‘ফায়ারফ্লাইস’ নামের বাংলাদেশ দলের সদস্যরা হলেন—মাকামে মাহমুদ, সৈয়দা রিজওয়ানা জাফরী, রাকসান্দা জিহান ও আয়শা সুলতানা। তাঁরা প্রত্যেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) শিক্ষার্থী।
এইচএসবিসি তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা-২০১২-এর আঞ্চলিক চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় হংকং শহরে। বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, হংকংসহ বিভিন্ন দেশের তরুণ উদ্যোক্তারা এতে অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় অন্য সব দেশের দলকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ অর্জন করে নেয় ডায়মন্ড অ্যাওয়ার্ড বা প্রথম রানারআপ পুরস্কার। শুধু তা-ই নয়, পুরস্কার হিসেবে তাঁরা আরও পেয়েছে ৩০ হাজার হংকং ডলার।
যে প্রকল্পটির মাধ্যমে বিশ্ব-পরিসরে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হলো, সে প্রকল্পের আগাগোড়া জানতে চাওয়া হলে মাকামে মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রকল্পের নাম হলো ‘হেলদিক্যাপস’। মাছের আঁশ ও পাখনা থেকে ঔষধি ক্যাপসুলের আবরণ তৈরি করাই হচ্ছে আমাদের পরিকল্পনা। সাধারণত ক্যাপসুলের আবরণ তৈরির জন্য গরুর হাড়, শিং অথবা চামড়ার তৈরি জিলাটিন ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের ক্যাপসুলের আবরণের একটা বিশাল অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যা আমাদের জন্য অতটা সহজলভ্যও নয়।
একটা পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, প্রতিবছর বাংলাদেশকে প্রায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করতে হয় এ ধরনের আবরণ আমদানি করতে। অন্যদিকে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের আঁশ বা পাখনা থেকেও খুব ভালো মানের ক্যাপসুলের আবরণ তৈরি করা সম্ভব। আমাদের দেশ নদীপ্রধান বলে আমাদের পক্ষে এ প্রক্রিয়া সহজলভ্য ও সুলভ। আমরা মূলত এটাই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে এ পরিকল্পনা কীভাবে ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরকে সাহায্য করবে, সেটাও দেখানো হয়েছে।
প্রকল্পটি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দলের সবাই। অন্য অনেক দারুণ প্রকল্পের পরিকল্পনা থাকলেও আমাদের প্রকল্পটা নিয়েই সবার মধ্যে বেশি আগ্রহ ছিল। বললেন দলের আরেক সদস্য আয়শা সুলতানা। আমাদের প্রেজেন্টেশনের কিছু আগে এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও আন্ড্রু টিক বললেন, আমাদের ওপর তাঁর আস্থা আছে। আমরা অবশ্যই ভালো করব। তাঁর কথাগুলো আমাদের সেদিন ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতে এ প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে।
প্রতিযোগিতার দিনটিতে অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? মৃদু হেসে সৈয়দা রিজওয়ানা জাফরী বললেন, ‘৫ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টায় রওনা হলেও ট্রানজিট জটিলতায় আমরা প্রতিযোগিতার দিন সকালে হংকং পৌঁছাই। ভ্রমণ-ক্লান্তিকে কোনো রকম পাত্তা না দিয়েই আমাদের প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ৬ আগস্ট দুপুরের পর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতার সময়টুকু যেন একটা ঘোরের মধ্যে কেটে গেল। বারবার মনে হচ্ছিল, এখানে আমরা আমাদের দেশকে উপস্থাপন করছি। এক ধরনের অস্থিরতা ও চাপ কাজ করছিল মনে।’
এর সঙ্গে রাকসান্দা জিহান বললেন, ‘এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা! সবাই আমাদেরকে আমাদের নিজেদের নামে না চিনে দেশের নামে চিনছে। যারা এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়নি তারা আসলে বুঝবে না, এর অনুভূতি কত্ত দারুণ ও চমৎকার। এ রকম একটা প্রতিযোগিতায় নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এবং লাল-সবুজ পতাকাকে তুলে ধরা ভীষণ গৌরবের।’
প্রতিযোগিতায় রানারআপ হতে পেরে ভীষণ খুশি দলের সবাই। যদিও প্রথম হতে না পারায় খানিকটা আক্ষেপ রয়ে গেছে। তবে সবাই মনে করে এ ধরনের প্রতিযোগিতা তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা তৈরিতে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
No comments