ধর্ষণ, আত্মহত্যা ও হত্যার চক্র ভাঙতে হবে- সংগীতা ও রিক্তা
ধর্ষণের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার দায় কার কতটা? ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ, কিন্তু বিচার না করা কি অপরাধ নয়? যশোরের অভয়নগর উপজেলায় স্কুলছাত্রী সংগীতার আত্মহত্যা এই প্রশ্নগুলো জাগিয়ে দিয়েছে। সংগীতাকে কেউ চিনত না। তার বিচারের ফরিয়াদও কেউ শোনেনি।
ধর্ষণের ভয়াবহতা এবং এই নিষ্ঠুর উপেক্ষা তার ছোট্ট মন মেনে নিতে পারেনি। দশম শ্রেণীর ছাত্রী সংগীতা তাই আত্মহত্যা করে। এই খবর শুক্রবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত হলে সাড়া পড়ে। শিক্ষামন্ত্রী শনিবার মুঠোফোনে সংগীতার পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদের হুইপ, যশোরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, অভয়নগরের ইউএনওসহ গণ্যমান্য অনেকেই সংগীতার বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানান। স্থানীয় ছাত্রলীগও প্রতিবাদ সভা করে। বেঁচে থাকতে কেউ এমন অভয়বাণী শোনালে সংগীতাকে হয়তো আত্মহত্যা করতে হতো না।
সারা দেশেই বখাটেদের উৎপাত আর নির্যাতনের প্রধান শিকার হয় স্কুলগামী মেয়েরা। তাদের মনে এসব ঘটনা চরম অভিমান আর ঘৃণার জন্ম দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীর বিচারের বদলে অপরাধের শিকারকেই ধিক্কার দেওয়া হয়। নিজের শক্তিতে নির্যাতনের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টারত একটি মেয়েকে এভাবে আরও দুর্বল করে দেওয়ার পরই নিপীড়নের চূড়ান্ত ফল হিসেবে সে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। অথচ যদি বিচার হতো, যদি সবাই তার পাশে সমবেদনা নিয়ে দাঁড়াত, তা হলে এই মেয়েরা বুঝত, আত্মহত্যা সমাধান নয়। নারী নির্যাতন রোধে সবার আগে তাই জোর দিতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ এবং আইনি বিচারের ওপর।
সংগীতা যেদিন আত্মহত্যা করে, ঠিক সেদিনই ঢাকার মিরপুরের তরুণী গৃহবধূ রিক্তার লাশ হাসপাতালে রেখে তাঁর স্বামী মঞ্জুরুল হক সটকে পড়েন। রিক্তার মায়ের মামলার অভিযোগ এবং পুলিশের সন্দেহ এটা খুন। এ ধরনের আত্মহত্যা আর খুনের মধ্যে খুব বেশি তফাত নেই। যথাযথ তদন্ত ও বিচার না হলে সংগীতার আত্মহত্যা এবং রিক্তা হত্যার দায় মুছে ফেলে অপরাধীরা দিব্যি সুনাগরিকের বেশে ঘুরে বেড়াবে। হত্যা এবং বিচারহীনতা এভাবে পরস্পরকে টিকিয়ে রাখবে আর কত দিন?
সারা দেশেই বখাটেদের উৎপাত আর নির্যাতনের প্রধান শিকার হয় স্কুলগামী মেয়েরা। তাদের মনে এসব ঘটনা চরম অভিমান আর ঘৃণার জন্ম দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীর বিচারের বদলে অপরাধের শিকারকেই ধিক্কার দেওয়া হয়। নিজের শক্তিতে নির্যাতনের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টারত একটি মেয়েকে এভাবে আরও দুর্বল করে দেওয়ার পরই নিপীড়নের চূড়ান্ত ফল হিসেবে সে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। অথচ যদি বিচার হতো, যদি সবাই তার পাশে সমবেদনা নিয়ে দাঁড়াত, তা হলে এই মেয়েরা বুঝত, আত্মহত্যা সমাধান নয়। নারী নির্যাতন রোধে সবার আগে তাই জোর দিতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ এবং আইনি বিচারের ওপর।
সংগীতা যেদিন আত্মহত্যা করে, ঠিক সেদিনই ঢাকার মিরপুরের তরুণী গৃহবধূ রিক্তার লাশ হাসপাতালে রেখে তাঁর স্বামী মঞ্জুরুল হক সটকে পড়েন। রিক্তার মায়ের মামলার অভিযোগ এবং পুলিশের সন্দেহ এটা খুন। এ ধরনের আত্মহত্যা আর খুনের মধ্যে খুব বেশি তফাত নেই। যথাযথ তদন্ত ও বিচার না হলে সংগীতার আত্মহত্যা এবং রিক্তা হত্যার দায় মুছে ফেলে অপরাধীরা দিব্যি সুনাগরিকের বেশে ঘুরে বেড়াবে। হত্যা এবং বিচারহীনতা এভাবে পরস্পরকে টিকিয়ে রাখবে আর কত দিন?
No comments