দুর্নীতি দমন কমিশন এবং আটটি প্রদেশ করা সম্পর্কে কিছু কথা by শাহ আবদুল হান্নান
দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত আইনগুলো রিভিউ করার জন্য গঠিত মন্ত্রী পরিষদ কমিটি তাদের রিপোর্টে বলেছে, সরকারের অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। মন্ত্রী পরিষদ কমিটির খসড়া সুপারিশের ওপর দুর্নীতি দমন কমিশন যেসব আপত্তি জানিয়েছিল তার অধিকাংশই গ্রহণ করা হয়নি।
এই মন্ত্রী পরিষদ কমিটি বিগত বছরের মার্চ মাসে গঠন করা হয়েছিল। পত্রিকার রিপোর্টে দেখা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের খসড়া সুপারিশের ওপর ২৩টি মন্তব্য দিয়েছিল, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন মনে করে, মন্ত্রী পরিষদ কমিটি যে রিপোর্ট দিচ্ছে তার ফলে কমিশনের স্বাধীনতা হ্রাস পাবে।
কমিশনের মন্তব্যে দেখা যায়, ‘আমরা মন্ত্রী পরিষদ কমিটিকে অনুরোধ করেছিলাম তাদের রিপোর্টের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মন্তব্যগুলো সংযুক্ত করার জন্য যাতে মন্ত্রী পরিষদ আমাদের কথাগুলো বিবেচনা করতে পারে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে।’
দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান গোলাম রহমান একটি দৈনিক পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ গ্রহণ না করা হলে কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করা সম্ভব হবে না।’
মন্ত্রী পরিষদ কমিটি তাদের সুপারিশে বলেছে, কতগুলো বিশেষ পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। একই কথা তারা সরকারি কর্মচারীদের ব্যাপারে বলেছেন যা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি। মন্ত্রী পরিষদ কমিটি বলেছে, তাদের এই সুপারিশের কারণ সাধারণভাবে সরকারি কর্মকর্তারা সত্ নিয়তে কাজ করে থাকে, তাই তাদের নিরাপত্তা দরকার যাতে দুর্নীতি দমন কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে। দুর্নীতি দমন কমিশন মনে করে, এটা করা হলে তা হবে পক্ষপাতমূলক। অর্থাত্ তার ফলে পরিস্থিতি এই দাঁড়াবে—কারও ক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে, কারও ক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে না। এর ফলে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি আরও বাড়বে। বর্তমানে এই ধরনের অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই। মন্ত্রী পরিষদ কমিটির আরেকটি সুপারিশে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকবে।
কমিশন মনে করে, এর ফলে তারা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অধীন হয়ে যাবে, কেননা সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতি কেবল প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। বর্তমানে বলা হয়েছে, কমিশন একটি বার্ষিক রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির কাছে দাখিল করবে।
আমি মনে করি, মন্ত্রী পরিষদ কমিটির উপরোক্ত সুপারিশগুলো সঠিক নয়। এসব পরিবর্তন কমিশনকে পূর্ববর্তী দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে রূপান্তরিত করবে। আগের মতো যদি আবার সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধান করা হয়, এক্ষেত্রে বিষয়টির রাজনৈতিককরণ হয়ে যাবে। শুধু সেসব ক্ষেত্রেই অনুমতি পাওয়া যাবে, যেসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চান, অন্যান্য ক্ষেত্রে নয়।
আমি নিজে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর প্রধান কর্মকর্তা ছিলাম, সেই হিসেবে আমার নিজের অভিজ্ঞতাও তাই যা দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে। সরকারের অনুমতি পাওয়া দুরূহ ব্যাপার। তাতে অনেক সময় লেগে যায় এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বিলম্বিত হয়। তেমনিভাবে আমি মনে করি, কমিশনকে রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করার বিধান করার প্রয়োজন নেই। বর্তমানে যে বার্ষিক রিপোর্ট প্রদান করা হয় তাই যথেষ্ট। আমি সরকারকে অনুরোধ করি, আপনারা গাড়িকে আবার পেছনের দিকে ঠেলে দেবেন না, কেননা কমিশনের মন্তব্যগুলো খুবই সঠিক।
আটটি প্রদেশ প্রসঙ্গ
বিডিনিউজ২৪ডটকম রিপোর্ট করেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, তিনি বাংলাদেশে ফেডারেল সরকারের পক্ষপাতী এবং দেশকে তিনি আটটি ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব করেছেন। গত শনিবার রাজধানীর এক সেমিনারে তিনি বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।
প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্র হবে যুক্তরাষ্ট্রীয় ধরনের। এ প্রস্তাবের শর্তানুযায়ী রাষ্ট্রপতি হবেন যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন সংসদীয় সরকারের প্রধান। ওই সেমিনারে এরশাদ সাহেব বলেন, আমি পার্টির প্রধান হিসেবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করছি, কিন্তু এটি পার্টির মতামত নয়। তিনি আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বেকারত্ব কমবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে। প্রত্যেক প্রদেশে একটি হাইকোর্ট থাকবে যা সুপ্রিমকোর্টের অধীনে কাজ করবে। এরশাদ সাহেব আগে যখন ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮২-৯০ সালে তখন বিচার ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আপাতত এরশাদ সাহেবের প্রস্তাব আকর্ষণীয় মনে হলেও আমরা বাংলাদেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তার এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। বাংলাদেশ এরই মধ্যে অনেক সমস্যার সম্মুখীন! এ সময় সংবিধানের ব্যাপক পরিবর্তন—প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা এবং সংবিধানকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করা অনেক নতুন সমস্যা ও বিবাদের সৃষ্টি করবে। এসব সমস্যা দেখা দেবে—যে কোনো প্রদেশের সীমা কী হবে সে সম্পর্কে, স্বায়ত্তশাসনের পরিমাণ সম্পর্কে, যেসব নদী আন্তঃপ্রাদেশিক হবে সেসব নদীর পানির অংশ নিয়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আদায়কৃত রাজস্ব কতটুকু প্রদেশ পাবে সে সম্পর্কে। আমরা দেখেছি, সাবেক পাকিস্তানে কী হয়েছিল এবং তার ফলাফল কী হয়েছিল। এই সমস্যা এখনও ভারতে বিরাজ করছে। সেখানে বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, বিভিন্ন প্রদেশ ভাগ করার আন্দোলন রয়েছে। আমরা মনে করি, এই সমস্যায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা যা করতে পারি—শক্তিশালী জেলা সরকার ও উপজেলা সরকার। উপজেলা আছে কিন্তু তাকে আরও শক্তিশালী করা।
জেলা সরকারকে নতুন করে গঠন করতে হবে। তাদের পর্যাপ্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতা দিতে হবে। একইসঙ্গে সংবিধান সংশোধন করে প্রধান প্রধান শহরে কয়েকটি হাইকোর্ট স্থাপন করা যেতে পারে। সংবিধান সংশোধন করেই তা করতে হবে। এত জনবহুল দেশের জন্য একটি হাইকোর্ট বিভাগ যথেষ্ট নয়।
লেখক : সাবেক সচিব
কমিশনের মন্তব্যে দেখা যায়, ‘আমরা মন্ত্রী পরিষদ কমিটিকে অনুরোধ করেছিলাম তাদের রিপোর্টের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মন্তব্যগুলো সংযুক্ত করার জন্য যাতে মন্ত্রী পরিষদ আমাদের কথাগুলো বিবেচনা করতে পারে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে।’
দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান গোলাম রহমান একটি দৈনিক পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ গ্রহণ না করা হলে কমিশনের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করা সম্ভব হবে না।’
মন্ত্রী পরিষদ কমিটি তাদের সুপারিশে বলেছে, কতগুলো বিশেষ পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। একই কথা তারা সরকারি কর্মচারীদের ব্যাপারে বলেছেন যা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি। মন্ত্রী পরিষদ কমিটি বলেছে, তাদের এই সুপারিশের কারণ সাধারণভাবে সরকারি কর্মকর্তারা সত্ নিয়তে কাজ করে থাকে, তাই তাদের নিরাপত্তা দরকার যাতে দুর্নীতি দমন কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে। দুর্নীতি দমন কমিশন মনে করে, এটা করা হলে তা হবে পক্ষপাতমূলক। অর্থাত্ তার ফলে পরিস্থিতি এই দাঁড়াবে—কারও ক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে, কারও ক্ষেত্রে অনুমতি লাগবে না। এর ফলে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি আরও বাড়বে। বর্তমানে এই ধরনের অনুমতির কোনো প্রয়োজন নেই। মন্ত্রী পরিষদ কমিটির আরেকটি সুপারিশে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকবে।
কমিশন মনে করে, এর ফলে তারা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অধীন হয়ে যাবে, কেননা সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতি কেবল প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। বর্তমানে বলা হয়েছে, কমিশন একটি বার্ষিক রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির কাছে দাখিল করবে।
আমি মনে করি, মন্ত্রী পরিষদ কমিটির উপরোক্ত সুপারিশগুলো সঠিক নয়। এসব পরিবর্তন কমিশনকে পূর্ববর্তী দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে রূপান্তরিত করবে। আগের মতো যদি আবার সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নেয়ার বিধান করা হয়, এক্ষেত্রে বিষয়টির রাজনৈতিককরণ হয়ে যাবে। শুধু সেসব ক্ষেত্রেই অনুমতি পাওয়া যাবে, যেসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চান, অন্যান্য ক্ষেত্রে নয়।
আমি নিজে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর প্রধান কর্মকর্তা ছিলাম, সেই হিসেবে আমার নিজের অভিজ্ঞতাও তাই যা দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে। সরকারের অনুমতি পাওয়া দুরূহ ব্যাপার। তাতে অনেক সময় লেগে যায় এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বিলম্বিত হয়। তেমনিভাবে আমি মনে করি, কমিশনকে রাষ্ট্রপতির কাছে জবাবদিহি করার বিধান করার প্রয়োজন নেই। বর্তমানে যে বার্ষিক রিপোর্ট প্রদান করা হয় তাই যথেষ্ট। আমি সরকারকে অনুরোধ করি, আপনারা গাড়িকে আবার পেছনের দিকে ঠেলে দেবেন না, কেননা কমিশনের মন্তব্যগুলো খুবই সঠিক।
আটটি প্রদেশ প্রসঙ্গ
বিডিনিউজ২৪ডটকম রিপোর্ট করেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, তিনি বাংলাদেশে ফেডারেল সরকারের পক্ষপাতী এবং দেশকে তিনি আটটি ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব করেছেন। গত শনিবার রাজধানীর এক সেমিনারে তিনি বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।
প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্র হবে যুক্তরাষ্ট্রীয় ধরনের। এ প্রস্তাবের শর্তানুযায়ী রাষ্ট্রপতি হবেন যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন সংসদীয় সরকারের প্রধান। ওই সেমিনারে এরশাদ সাহেব বলেন, আমি পার্টির প্রধান হিসেবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করছি, কিন্তু এটি পার্টির মতামত নয়। তিনি আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বেকারত্ব কমবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে। প্রত্যেক প্রদেশে একটি হাইকোর্ট থাকবে যা সুপ্রিমকোর্টের অধীনে কাজ করবে। এরশাদ সাহেব আগে যখন ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮২-৯০ সালে তখন বিচার ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আপাতত এরশাদ সাহেবের প্রস্তাব আকর্ষণীয় মনে হলেও আমরা বাংলাদেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তার এই প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। বাংলাদেশ এরই মধ্যে অনেক সমস্যার সম্মুখীন! এ সময় সংবিধানের ব্যাপক পরিবর্তন—প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা এবং সংবিধানকে যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করা অনেক নতুন সমস্যা ও বিবাদের সৃষ্টি করবে। এসব সমস্যা দেখা দেবে—যে কোনো প্রদেশের সীমা কী হবে সে সম্পর্কে, স্বায়ত্তশাসনের পরিমাণ সম্পর্কে, যেসব নদী আন্তঃপ্রাদেশিক হবে সেসব নদীর পানির অংশ নিয়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আদায়কৃত রাজস্ব কতটুকু প্রদেশ পাবে সে সম্পর্কে। আমরা দেখেছি, সাবেক পাকিস্তানে কী হয়েছিল এবং তার ফলাফল কী হয়েছিল। এই সমস্যা এখনও ভারতে বিরাজ করছে। সেখানে বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, বিভিন্ন প্রদেশ ভাগ করার আন্দোলন রয়েছে। আমরা মনে করি, এই সমস্যায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা যা করতে পারি—শক্তিশালী জেলা সরকার ও উপজেলা সরকার। উপজেলা আছে কিন্তু তাকে আরও শক্তিশালী করা।
জেলা সরকারকে নতুন করে গঠন করতে হবে। তাদের পর্যাপ্ত দায়িত্ব ও ক্ষমতা দিতে হবে। একইসঙ্গে সংবিধান সংশোধন করে প্রধান প্রধান শহরে কয়েকটি হাইকোর্ট স্থাপন করা যেতে পারে। সংবিধান সংশোধন করেই তা করতে হবে। এত জনবহুল দেশের জন্য একটি হাইকোর্ট বিভাগ যথেষ্ট নয়।
লেখক : সাবেক সচিব
No comments