অনেক সেবার পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এখন ৬০০ ডাকঘরে by শুভংকর কর্মকার
দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আর্থিক লেনদেন—এই স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের নতুন সেবা পোস্টাল ক্যাশ কার্ড। ব্যাংকের এটিএম কার্ডের মতো এটি ব্যবহার করে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়।
গত এক বছরের মধ্যে সারা দেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলার ৬০০ ডাকঘরে সেবাটি সম্প্রসারিত হয়েছে।
গত এক বছরের মধ্যে সারা দেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলার ৬০০ ডাকঘরে সেবাটি সম্প্রসারিত হয়েছে।
বছর শেষে তা পৌঁছে যাবে আরও ৮২৮টি ডাকঘরে। তা ছাড়া শিগগিরই এই ক্যাশ কার্ড দিয়ে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের বিল পরিশোধের মতো নিত্যনতুন সেবা পাওয়া যাবে।
তবে এত সুযোগ-সুবিধার এই সেবাটি প্রচারের অভাবে সাধারণের কাছে অজানাই থাকছে। সম্প্রতি সদরঘাট, ওয়ারী ও দিলকুশা ডাকঘরে গিয়ে দেখা যায়, শুধু একটি করে ফেস্টুন লাগিয়ে এ বিষয়ে গ্রাহকদের জানানোর চেষ্টা করছে ডাক বিভাগ।
আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর প্রথম বছরই সেবাটি দিয়ে ১৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে ডাক বিভাগ। বর্তমানে সারা দেশে ৪০ হাজার গ্রাহক এই কার্ডের সেবা নিচ্ছেন। মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করে নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে ডাকঘর থেকে পোস্টাল ক্যাশ কার্ড ক্রয় করতে পারবেন যে কেউ। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের এটিএম কার্ডের মতো মাসিক বা বার্ষিক কোনো চার্জ কর্তন করা হবে না।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে ২০১০ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের উদ্বোধন করেন। তবে সব প্রস্তুতি শেষ করে গত বছর জুলাই মাসে এটি বাজারে নিয়ে আসে ডাক বিভাগ।
জানা যায়, গত এক বছরে এই সেবার মাধ্যমে প্রায় সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই ক্যাশ কার্ড দিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা প্রদান করছে ডাক বিভাগ। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের আওতায় ১৪ হাজার ১২৭ জনকে এই ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
জিপিওর সহকারী পোস্টমাস্টার মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘ধীরে হলেও ক্যাশ কার্ডের গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে।’ তিনি জানান, জিপিওতে গত জুলাই মাসে ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে সাড়ে তিন লাখ টাকা জমা হয়েছে। উত্তোলন হয়েছে প্রায় পৌনে ছয় লাখ টাকা।
বর্তমানে ডাকঘরের নির্দিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে পয়েন্ট অব সেলস বা পিওএস মেশিনে ক্যাশ কার্ডটি ব্যবহার করতে হয়। তবে সোনালী ব্যাংকের সব এটিএম বুথে পোস্টাল ক্যাশ কার্ড ব্যবহারের জন্য ডাক বিভাগ ব্যাংকটির সঙ্গে চুক্তি করবে। চুক্তিটি সম্পন্ন হলে ব্যাংকটির যেকোনো এটিএম বুথে ক্যাশ কার্ড ব্যবহার করে সেবা নিতে পারবেন গ্রাহকেরা। এ ছাড়া কিউ ক্যাশের অন্যান্য এটিএম বুথেও কার্ডটি একইভাবে ব্যবহার করা যাবে শিগগিরই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. জাকির হাসান নূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী মাসের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তখন টাকা তোলা ছাড়া অন্যান্য সেবা চালু করা সম্ভব হবে।’ এ ছাড়া জিপিও, সদরঘাট, বনানী, উত্তরা ও মিরপুর ডাকঘরে এটিএম বুথ বসানোর কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
ডাক বিভাগ জানায়, নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের অনুলিপি জমা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাশ কার্ড প্রদান করা হয়। এ জন্য ফি বাবদ ৪৫ টাকা জমা দিতে হবে। এর মধ্য থেকে ১০ টাকা আবার গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকবে।
একজন গ্রাহক প্রতিবারে ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত কার্ডের হিসাবে জমা করতে পারবেন। তবে সর্বমোট পাঁচ লাখ টাকার বেশি কখনোই রাখতে পারবেন না। প্রতিবার একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। প্রতিবার টাকা জমা ও উত্তোলনে পাঁচ টাকা হারে মাশুল দিতে হবে। এ ছাড়া গ্রাহক নিজের কার্ড থেকে অন্য কারও কার্ডেও টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। এ জন্য মাশুল রাখা হবে ১০ টাকা।
জাকির হাসান নূর বলেন, ‘আমরা এই সেবাটি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য করার চেষ্টা করেছি। এ জন্য খুবই অল্প পরিমাণে চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে লুকায়িত কোনো চার্জ রাখা হয়নি।’
প্রচারের বিষয়ে ডাক বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, সীমাবদ্ধতার কারণে প্রচার করা সম্ভব হয়নি। তবে সেবাটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলেই আমরা ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা করছি।
যে কেউ ডাক বিভাগের ওয়েবসাইট (www.bangladeshpost.gov.bd) থেকে এই কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তবে এত সুযোগ-সুবিধার এই সেবাটি প্রচারের অভাবে সাধারণের কাছে অজানাই থাকছে। সম্প্রতি সদরঘাট, ওয়ারী ও দিলকুশা ডাকঘরে গিয়ে দেখা যায়, শুধু একটি করে ফেস্টুন লাগিয়ে এ বিষয়ে গ্রাহকদের জানানোর চেষ্টা করছে ডাক বিভাগ।
আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর প্রথম বছরই সেবাটি দিয়ে ১৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে ডাক বিভাগ। বর্তমানে সারা দেশে ৪০ হাজার গ্রাহক এই কার্ডের সেবা নিচ্ছেন। মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করে নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে ডাকঘর থেকে পোস্টাল ক্যাশ কার্ড ক্রয় করতে পারবেন যে কেউ। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের এটিএম কার্ডের মতো মাসিক বা বার্ষিক কোনো চার্জ কর্তন করা হবে না।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে ২০১০ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের উদ্বোধন করেন। তবে সব প্রস্তুতি শেষ করে গত বছর জুলাই মাসে এটি বাজারে নিয়ে আসে ডাক বিভাগ।
জানা যায়, গত এক বছরে এই সেবার মাধ্যমে প্রায় সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই ক্যাশ কার্ড দিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা প্রদান করছে ডাক বিভাগ। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের আওতায় ১৪ হাজার ১২৭ জনকে এই ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
জিপিওর সহকারী পোস্টমাস্টার মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘ধীরে হলেও ক্যাশ কার্ডের গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে।’ তিনি জানান, জিপিওতে গত জুলাই মাসে ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে সাড়ে তিন লাখ টাকা জমা হয়েছে। উত্তোলন হয়েছে প্রায় পৌনে ছয় লাখ টাকা।
বর্তমানে ডাকঘরের নির্দিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে পয়েন্ট অব সেলস বা পিওএস মেশিনে ক্যাশ কার্ডটি ব্যবহার করতে হয়। তবে সোনালী ব্যাংকের সব এটিএম বুথে পোস্টাল ক্যাশ কার্ড ব্যবহারের জন্য ডাক বিভাগ ব্যাংকটির সঙ্গে চুক্তি করবে। চুক্তিটি সম্পন্ন হলে ব্যাংকটির যেকোনো এটিএম বুথে ক্যাশ কার্ড ব্যবহার করে সেবা নিতে পারবেন গ্রাহকেরা। এ ছাড়া কিউ ক্যাশের অন্যান্য এটিএম বুথেও কার্ডটি একইভাবে ব্যবহার করা যাবে শিগগিরই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. জাকির হাসান নূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী মাসের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তখন টাকা তোলা ছাড়া অন্যান্য সেবা চালু করা সম্ভব হবে।’ এ ছাড়া জিপিও, সদরঘাট, বনানী, উত্তরা ও মিরপুর ডাকঘরে এটিএম বুথ বসানোর কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
ডাক বিভাগ জানায়, নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে তিন কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের অনুলিপি জমা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাশ কার্ড প্রদান করা হয়। এ জন্য ফি বাবদ ৪৫ টাকা জমা দিতে হবে। এর মধ্য থেকে ১০ টাকা আবার গ্রাহকের হিসাবে জমা থাকবে।
একজন গ্রাহক প্রতিবারে ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত কার্ডের হিসাবে জমা করতে পারবেন। তবে সর্বমোট পাঁচ লাখ টাকার বেশি কখনোই রাখতে পারবেন না। প্রতিবার একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন। প্রতিবার টাকা জমা ও উত্তোলনে পাঁচ টাকা হারে মাশুল দিতে হবে। এ ছাড়া গ্রাহক নিজের কার্ড থেকে অন্য কারও কার্ডেও টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। এ জন্য মাশুল রাখা হবে ১০ টাকা।
জাকির হাসান নূর বলেন, ‘আমরা এই সেবাটি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য করার চেষ্টা করেছি। এ জন্য খুবই অল্প পরিমাণে চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে লুকায়িত কোনো চার্জ রাখা হয়নি।’
প্রচারের বিষয়ে ডাক বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, সীমাবদ্ধতার কারণে প্রচার করা সম্ভব হয়নি। তবে সেবাটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলেই আমরা ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা করছি।
যে কেউ ডাক বিভাগের ওয়েবসাইট (www.bangladeshpost.gov.bd) থেকে এই কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
No comments