আতঙ্কের জনপদ পাবনাঃ বাড় বেড়েছে অপরাধীদের
জমিদার মহাজন আর নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বজ্রনির্ঘোষে ফুঁসে ওঠা ব্রিটিশ বাংলার অনন্য জনপদ পাবনার সুনাম আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল তাঁতের শাড়ি, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, ইসমাইল হোসেন শিরাজী আর সুচিত্রা সেনের স্মৃতি নিয়ে। সেই পাবনার মৃত্তিকা ও আকাশ থেকে, জনজীবনের দেহ ও অন্তর থেকে কর্পূরের মতো উধাও হয়ে গেছে সব প্রকারের নিরাপত্তা, শান্তি, স্বস্তি ও সুখ। জেলা পাবনা এখন আতঙ্কের জনপদ।
ভয়াল বিভীষিকাময় রক্তহিম করা সন্ত্রাসের নৃশংস খড়গের নিচে প্রতিনিয়ত লুটিয়ে পড়ছে জীবন। পাবনা মানেই এখন লোভের লালসায় উন্মত্ত, জিঘাংসার ক্রুর একদল মত্ত মাতঙ্গের নিয়ন্ত্রণহীন বধ্যভূমি। এক মৃত্যু উপত্যকা।
ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, হুমকি, খুন, ছিনতাই, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চর দখল, জমি দখল, টেন্ডারবাজির কবলে ভয়াবহ রকমভাবে উত্পীড়িত পাবনার মজলুম মানুষের বক্ষফাটা আর্তনাদ শোনার কেউ নেই। ঘাতকের বুলেট, বোমা, রক্তপিপাসু ছুরিকা থেকে তাদের রক্ষার কেউ নেই। যাদের কাজ ছিল জনগণকে রক্ষা করা, তারা গ্যালারিতে বসে হম্বিতম্বি করে, ক্ষেত্রবিশেষে এই দেখছি, দেখে নেবো ইত্যাদি মহাজন বাক্য ব্যবহার করেই কর্তব্য শেষ করছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি, তাদের নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে থানা মামলা নেয় না। ভুক্তভোগীরা মামলা করতে যায় না। প্রবাসী, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, চাকরিজীবী, ইজারাদার, কৃষক, নারী কাউকেই রেহাই দেয়া হচ্ছে না। এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীদেরও বাঁচার উপায় নেই। দরিদ্র পরিবারের স্কুল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েরা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে গণধর্ষণের। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্বনাশা মাদকের প্রাণঘাতী বিস্তার। আধিপত্য বিস্তার এবং মাদক ব্যবসার দোজগ গুলজার করা হিংস্র প্রতাপে খুন হচ্ছে মানুষ। সব মিলিয়ে পাবনা এখন সত্যিকার অর্থেই এক প্রতিকারহীন অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। চরমপন্থীরা এই অরণ্যের পরিধি সম্প্রসারণে চালাচ্ছে নানা অপতত্পরতা।
পাবনার দাপুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মণ্ডলের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই সুজানগর ও সাঁথিয়ার ২০টি বাড়িতে হয়েছে গণডাকাতি। শহরের ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণ করে হাঁকানো হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। আওয়ামী লীগের সাঁথিয়া উপজেলার নেতা ফাটা সামাদের ৫ পুত্র গড়ে তুলেছে ফাইভ স্টার বাহিনী। আহম্মদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী আজাদ এই বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক। শামসুল হক টুকু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর এই বাহিনী হয়ে পড়েছে মারাত্মক বেপরোয়া। এহেন পাপ ও অপকর্ম নেই, যা এই বাহিনীর সন্ত্রাসীরা করে না। পাবনা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি শামসুর রহমান দিলু এবং তার ভাইয়ের নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে পদ্মার চরে ১০ হাজার একর জমি দখল হয়ে গেছে। শহীদ চেয়ারম্যানের বাহিনীর হাতে নিজ দলের লোকজনও হচ্ছে নিগৃহীত। পুরাতন ঈশ্বরদী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান স্বপনের নেতৃত্বে পদ্মা নদীর বিশাল এলাকা দখল করে নেয়া হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে একথা পরিষ্কার, সরকারি দলের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় এসব জঘন্য সমাজবিরোধী কাজকর্ম হচ্ছে বলেই আইন-শৃংখলা বাহিনী বসে আছে হাত-পা গুটিয়ে। পার পেয়ে যাচ্ছে দাগি অপরাধীরা।
শুধু পাবনা নয়, খোদ রাজধানীসহ সারা দেশেই তো কমবেশী একই চিত্র। সর্বত্র ন্যায়নীতি, বিচার বিবেচনা জলাঞ্জলি দিয়ে ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভয়ানক বাড় বেড়েছে অপরাধীদের। কোথাও কেউ আজ আর নিরাপদ নয়। জনমনে শান্তি হয়েছে অন্তর্হিত। এ অবস্থা চলতে থাকলে, এই সন্ত্রাস নামের ভয়াবহ ভাইরাসের বংশ ধ্বংস করা না গেলে, আখেরে যে সরকারই বেশি বেকায়দায় পড়বে তা বলাই বাহুল্য। আমরা সরকার এবং সরকারের আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করব, এখনও সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, এখনও সময় আছে। ‘সময় থাকতে হও না হুশিয়ার’। নইলে এই আপদ বুমেরাং হয়ে সরকারের ঘাড়েই পতিত হবে। পাবনার জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসুক। ফিরে আসুক জানমালের নিরাপত্তা। পাশাপাশি সারা দেশও রাহুমুক্ত হোক—এটাই এ সময়ের সবচেয়ে বড় চাওয়া।
ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, হুমকি, খুন, ছিনতাই, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চর দখল, জমি দখল, টেন্ডারবাজির কবলে ভয়াবহ রকমভাবে উত্পীড়িত পাবনার মজলুম মানুষের বক্ষফাটা আর্তনাদ শোনার কেউ নেই। ঘাতকের বুলেট, বোমা, রক্তপিপাসু ছুরিকা থেকে তাদের রক্ষার কেউ নেই। যাদের কাজ ছিল জনগণকে রক্ষা করা, তারা গ্যালারিতে বসে হম্বিতম্বি করে, ক্ষেত্রবিশেষে এই দেখছি, দেখে নেবো ইত্যাদি মহাজন বাক্য ব্যবহার করেই কর্তব্য শেষ করছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি, তাদের নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে থানা মামলা নেয় না। ভুক্তভোগীরা মামলা করতে যায় না। প্রবাসী, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, চাকরিজীবী, ইজারাদার, কৃষক, নারী কাউকেই রেহাই দেয়া হচ্ছে না। এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীদেরও বাঁচার উপায় নেই। দরিদ্র পরিবারের স্কুল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েরা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে গণধর্ষণের। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্বনাশা মাদকের প্রাণঘাতী বিস্তার। আধিপত্য বিস্তার এবং মাদক ব্যবসার দোজগ গুলজার করা হিংস্র প্রতাপে খুন হচ্ছে মানুষ। সব মিলিয়ে পাবনা এখন সত্যিকার অর্থেই এক প্রতিকারহীন অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। চরমপন্থীরা এই অরণ্যের পরিধি সম্প্রসারণে চালাচ্ছে নানা অপতত্পরতা।
পাবনার দাপুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মণ্ডলের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই সুজানগর ও সাঁথিয়ার ২০টি বাড়িতে হয়েছে গণডাকাতি। শহরের ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণ করে হাঁকানো হয়েছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ। আওয়ামী লীগের সাঁথিয়া উপজেলার নেতা ফাটা সামাদের ৫ পুত্র গড়ে তুলেছে ফাইভ স্টার বাহিনী। আহম্মদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী আজাদ এই বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক। শামসুল হক টুকু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর এই বাহিনী হয়ে পড়েছে মারাত্মক বেপরোয়া। এহেন পাপ ও অপকর্ম নেই, যা এই বাহিনীর সন্ত্রাসীরা করে না। পাবনা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি শামসুর রহমান দিলু এবং তার ভাইয়ের নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে পদ্মার চরে ১০ হাজার একর জমি দখল হয়ে গেছে। শহীদ চেয়ারম্যানের বাহিনীর হাতে নিজ দলের লোকজনও হচ্ছে নিগৃহীত। পুরাতন ঈশ্বরদী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান স্বপনের নেতৃত্বে পদ্মা নদীর বিশাল এলাকা দখল করে নেয়া হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে একথা পরিষ্কার, সরকারি দলের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় এসব জঘন্য সমাজবিরোধী কাজকর্ম হচ্ছে বলেই আইন-শৃংখলা বাহিনী বসে আছে হাত-পা গুটিয়ে। পার পেয়ে যাচ্ছে দাগি অপরাধীরা।
শুধু পাবনা নয়, খোদ রাজধানীসহ সারা দেশেই তো কমবেশী একই চিত্র। সর্বত্র ন্যায়নীতি, বিচার বিবেচনা জলাঞ্জলি দিয়ে ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভয়ানক বাড় বেড়েছে অপরাধীদের। কোথাও কেউ আজ আর নিরাপদ নয়। জনমনে শান্তি হয়েছে অন্তর্হিত। এ অবস্থা চলতে থাকলে, এই সন্ত্রাস নামের ভয়াবহ ভাইরাসের বংশ ধ্বংস করা না গেলে, আখেরে যে সরকারই বেশি বেকায়দায় পড়বে তা বলাই বাহুল্য। আমরা সরকার এবং সরকারের আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করব, এখনও সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি, এখনও সময় আছে। ‘সময় থাকতে হও না হুশিয়ার’। নইলে এই আপদ বুমেরাং হয়ে সরকারের ঘাড়েই পতিত হবে। পাবনার জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসুক। ফিরে আসুক জানমালের নিরাপত্তা। পাশাপাশি সারা দেশও রাহুমুক্ত হোক—এটাই এ সময়ের সবচেয়ে বড় চাওয়া।
No comments