টিপাইমুখ প্রকল্পের নথি বাংলাদেশকে দিয়েছে ভারত
ভারতের মণিপুর রাজ্যের বরাক নদের ওপর টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের মনে যাতে কোনো 'সংশয় সন্দেহ' না থাকে, সেজন্য প্রকল্পটির নথিপত্র বাংলাদেশের কাছে তুলে দিয়েছে ভারত। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।
তখবরে বলা হয়, গত সোমবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের অধীনে যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির টিপাইমুখ-সংক্রান্ত বৈঠক শুরু হয়। ওই বৈঠকে এ প্রকল্প-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ঢাকার হাতে তুলে দিয়েছে দিল্লি। প্রকল্প প্রতিবেদনটি ছয় খণ্ডের (ভল্যুম) বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
আনন্দবাজার জানায়, বাংলাদেশ চাইলে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। বিষয়টি নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ঢাকাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে যৌথ অংশীদারির ভিত্তিতে প্রকল্পটি তৈরি করা হবে।
টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। এ প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশে পানির সংকট দেখা দিতে পারে বলে শুরু থেকেই সন্দেহ করে আসছে বাংলাদেশ। গত অক্টোবর মাসে যখন এ প্রকল্পের জন্য যৌথ উদ্যোগ সংস্থা তৈরির জন্য মণিপুর সরকার, ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ শক্তি সংস্থা বা এনএইচপিসি এবং শতদ্রু জলবিদ্যুৎ নিগম একটি 'প্রোমোটারস অ্যাগ্রিমেন্ট' সই করে তখন বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আরো বাড়ে। কিন্তু দিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বার্থ বিপন্ন হয়- এমন কোনো পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করবে না।
আনন্দবাজারের খবরে আরো বলা হয়, সোমবারের বৈঠকেও বাংলাদেশকে বলা হয়েছে, মনমোহন সরকার এমন কিছু করতে চাইছে না- যাতে হাসিনার সরকার বিপদে পড়ে। ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যে অগ্রগতি হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর হয়েছে, তা কোনেঅ কারণে বাধাগ্রস্ত হোক- এটা দিল্লি মোটেও চায় না।
এদিকে বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য সোমবার মুঠোফোনে একটি দৈনিককে জানিয়েছেন, প্রকল্পের সমীক্ষার জন্য কী কী তথ্য-উপাত্ত লাগবে, সে-সংক্রান্ত একটি তালিকা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ কিভাবে সমীক্ষা পরিচালনা করবে, সে সম্পর্কেও ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আনন্দবাজার জানায়, বাংলাদেশ চাইলে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। বিষয়টি নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ঢাকাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে যৌথ অংশীদারির ভিত্তিতে প্রকল্পটি তৈরি করা হবে।
টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। এ প্রকল্পের ফলে বাংলাদেশে পানির সংকট দেখা দিতে পারে বলে শুরু থেকেই সন্দেহ করে আসছে বাংলাদেশ। গত অক্টোবর মাসে যখন এ প্রকল্পের জন্য যৌথ উদ্যোগ সংস্থা তৈরির জন্য মণিপুর সরকার, ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুৎ শক্তি সংস্থা বা এনএইচপিসি এবং শতদ্রু জলবিদ্যুৎ নিগম একটি 'প্রোমোটারস অ্যাগ্রিমেন্ট' সই করে তখন বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আরো বাড়ে। কিন্তু দিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বার্থ বিপন্ন হয়- এমন কোনো পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করবে না।
আনন্দবাজারের খবরে আরো বলা হয়, সোমবারের বৈঠকেও বাংলাদেশকে বলা হয়েছে, মনমোহন সরকার এমন কিছু করতে চাইছে না- যাতে হাসিনার সরকার বিপদে পড়ে। ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যে অগ্রগতি হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর হয়েছে, তা কোনেঅ কারণে বাধাগ্রস্ত হোক- এটা দিল্লি মোটেও চায় না।
এদিকে বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য সোমবার মুঠোফোনে একটি দৈনিককে জানিয়েছেন, প্রকল্পের সমীক্ষার জন্য কী কী তথ্য-উপাত্ত লাগবে, সে-সংক্রান্ত একটি তালিকা বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ কিভাবে সমীক্ষা পরিচালনা করবে, সে সম্পর্কেও ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
No comments