১৩ জেলায় আবারও তত্পর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাঃ লাই দেয়ার ল্যাঠা সরকারকেই চুকাতে হবে
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আবারও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তত্পরতা বেড়ে গেছে। সর্বহারা ধরনের নানা বাহারি নামের সন্ত্রাসী গ্রুপের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডে বিপন্ন হয়ে পড়েছেন ১৩ জেলার মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছেন বিশেষ করে ইউপি নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। চিঠি ও মোবাইল ফোনে তাদের কাছে চাঁদার দাবি জানাচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
না দিলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। টাকার পরিমাণও কেবল বাড়ছেই। আমার দেশ-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এখনই প্রতিহত না করা হলে নির্বাচনের সময় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে উঠবে। অনেক প্রার্থীকে প্রাণ তো হারাতে হবেই, সন্ত্রাসীরা এমনকি নির্বাচনও ভণ্ডুল করতে পারে। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসীরা সে রকম পরিকল্পনাই নিয়েছে। পুলিশের গোপন রিপোর্টেও একই আশঙ্কার উল্লেখ রয়েছে। এর ভিত্তিতে ক’দিন আগে খুলনা সফরকালে পুলিশের আইজি সর্বহারা উপদ্রুত এলাকায় অভিযান পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু লোকবল, যানবাহন সঙ্কটসহ নানা কারণে পুলিশ নাকি অভিযান চালাতে পারছে না। এর ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিস্থিতিকে হাল্কাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, গত মাত্র এক বছরে সশস্ত্র গ্রুপগুলো ১৩ জেলায় তিনশ’রও বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের অতীত রেকর্ডও ভীতিকর। বর্তমান পর্যায়ে কথা ওঠার প্রধান কারণ হলো, মহাজোটের বাম দলগুলোর সঙ্গে তো বটেই, আওয়ামী লীগের সঙ্গেও এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনার প্রথম সরকার ১৯৯৯ সালে একবার এই সন্ত্রাসীদের দিয়ে আত্মসমর্পণের নাটক সাজিয়েছিল। এর উদ্দেশ্য যে মোটেও মহত্ ছিল না তার প্রমাণ পাওয়া গেছে বিভিন্ন উপলক্ষে। যেমন, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রতিহত করায় আওয়ামী অভিযানে ছয়টি সশস্ত্র গ্রুপকে খুবই সক্রিয় দেখা গেছে। তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই লগি-বৈঠার সন্ত্রাসে অংশ নিয়েছিল। সংসদ নির্বাচনেও গ্রুপগুলোকে আওয়ামী লীগ ও তার মহাজোটের পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। বিনিময়ে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারও সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে পুরস্কৃত করেছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মতো সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাও প্রথম থেকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়ে এসেছে। নিজেদের আধিপত্যেরও যথেষ্ট বিস্তার ঘটিয়েছে। কিন্তু পুলিশকে চোখ বুজে থাকতে হয়েছে। সব মিলিয়েই প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওই অঞ্চলের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্যই প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন ধরে সরকার যাদের লাই দিয়েছে ইউপি নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে এসে পুলিশের পক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে কিনা! সরকার নিজে কতটা আন্তরিকতা দেখাবে, সে প্রশ্নও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আমরা মনে করি, সন্ত্রাস-সহিংসতার পথে ক্ষমতায় আসার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সহজ না হলেও বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকারের উচিত অবিলম্বে সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে প্রতিহত করা, সম্ভব হলে নির্মূল করার চেষ্টা চালানো। ইউপি নির্বাচন যেহেতু গণতন্ত্রের প্রাথমিক স্তর, সেহেতু যে কোনোভাবে এই নির্বাচনকে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে আয়োজন করতে হবে। পুলিশ না পারলে সেনাবাহিনীকে দিয়ে অভিযান চালাতে হবে। এমন অবস্থা কল্পনা করা যায় না, যেখানে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্যও চাঁদা দিয়ে সন্ত্রাসীদের অনুমতি নিতে হবে, না নিলে মৃত্যুবরণ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র ও সরকারের কর্তৃত্বকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। এই বাড়াবাড়ি চলতে দেয়া যায় না। সুতরাং সরকারকেও যথেষ্ট কঠোর হতে হবে। বলা দরকার, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে খোদ রাজধানীতেও সন্ত্রাসীরা এরই মধ্যে চাঁদাবাজি ও হুমকি দেয়া শুরু করেছে। সরকার যদি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কঠোর পদক্ষেপ না নেয় কিংবা নিলেও যদি অসফল হয় তাহলে সারা দেশের মানুষকেই সন্ত্রাসীদের করুণার পাত্র হতে হবে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিস্থিতিকে হাল্কাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ, গত মাত্র এক বছরে সশস্ত্র গ্রুপগুলো ১৩ জেলায় তিনশ’রও বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের অতীত রেকর্ডও ভীতিকর। বর্তমান পর্যায়ে কথা ওঠার প্রধান কারণ হলো, মহাজোটের বাম দলগুলোর সঙ্গে তো বটেই, আওয়ামী লীগের সঙ্গেও এসব সন্ত্রাসী সংগঠনের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনার প্রথম সরকার ১৯৯৯ সালে একবার এই সন্ত্রাসীদের দিয়ে আত্মসমর্পণের নাটক সাজিয়েছিল। এর উদ্দেশ্য যে মোটেও মহত্ ছিল না তার প্রমাণ পাওয়া গেছে বিভিন্ন উপলক্ষে। যেমন, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রতিহত করায় আওয়ামী অভিযানে ছয়টি সশস্ত্র গ্রুপকে খুবই সক্রিয় দেখা গেছে। তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই লগি-বৈঠার সন্ত্রাসে অংশ নিয়েছিল। সংসদ নির্বাচনেও গ্রুপগুলোকে আওয়ামী লীগ ও তার মহাজোটের পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। বিনিময়ে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারও সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে পুরস্কৃত করেছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মতো সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাও প্রথম থেকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়ে এসেছে। নিজেদের আধিপত্যেরও যথেষ্ট বিস্তার ঘটিয়েছে। কিন্তু পুলিশকে চোখ বুজে থাকতে হয়েছে। সব মিলিয়েই প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওই অঞ্চলের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্যই প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন ধরে সরকার যাদের লাই দিয়েছে ইউপি নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে এসে পুলিশের পক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে কিনা! সরকার নিজে কতটা আন্তরিকতা দেখাবে, সে প্রশ্নও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আমরা মনে করি, সন্ত্রাস-সহিংসতার পথে ক্ষমতায় আসার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সহজ না হলেও বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সরকারের উচিত অবিলম্বে সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে প্রতিহত করা, সম্ভব হলে নির্মূল করার চেষ্টা চালানো। ইউপি নির্বাচন যেহেতু গণতন্ত্রের প্রাথমিক স্তর, সেহেতু যে কোনোভাবে এই নির্বাচনকে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে আয়োজন করতে হবে। পুলিশ না পারলে সেনাবাহিনীকে দিয়ে অভিযান চালাতে হবে। এমন অবস্থা কল্পনা করা যায় না, যেখানে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্যও চাঁদা দিয়ে সন্ত্রাসীদের অনুমতি নিতে হবে, না নিলে মৃত্যুবরণ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র ও সরকারের কর্তৃত্বকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। এই বাড়াবাড়ি চলতে দেয়া যায় না। সুতরাং সরকারকেও যথেষ্ট কঠোর হতে হবে। বলা দরকার, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে খোদ রাজধানীতেও সন্ত্রাসীরা এরই মধ্যে চাঁদাবাজি ও হুমকি দেয়া শুরু করেছে। সরকার যদি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কঠোর পদক্ষেপ না নেয় কিংবা নিলেও যদি অসফল হয় তাহলে সারা দেশের মানুষকেই সন্ত্রাসীদের করুণার পাত্র হতে হবে।
No comments