ইউনূস সেন্টার বিভিন্ন প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছে- গ্রামীণ ব্যাংক প্রসঙ্গ
সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ কোম্পানি ও প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বিভিন্ন মহলে এবং মিডিয়ায় নানা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে। তথ্য না জানার কারণে অনেকে কাল্পনিক তথ্য তৈরি করে তীব্র ভাষায় সমালোচনায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। এতে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে, সমালোচকদের আলোচনার সুবিধার্থে গ্রামীণ ব্যাংক, গ্রামীণ কোম্পানি ও প্রফেসর ইউনূস সম্পর্কে যেসব প্রশ্ন সম্প্রতি উত্থাপিত হয়েছে তার প্রকৃত তথ্যসহ ইউনূস সেন্টার থেকে মঙ্গলবার একটি ব্যাখ্যা পাঠানো হয়।
ব্যাখ্যায় বলা হয়, কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তদন্ত করা হয় যখন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয়। গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সেরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। এটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান বলেই সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ ব্যাংক ও দু’টি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অডিট ফার্মও গ্রামীণ ব্যাংক অডিট করে এসেছে। কোন অডিট টিম কোন অনিয়ম নিয়ে কোনদিন প্রশ্ন তোলেনি।
১৯৯৫ সালে গ্রামীণ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা আর বিদেশী ঋণ বা অনুদান নেবে না। চালু ঋণ/অনুদানগুলো ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চালু থাকে। এরপর থেকে গ্রামীণ ব্যাংক আজ পর্যন্ত কোন বিদেশী ঋণ বা অনুদান নেয়নি। সরকারী অনুদান গ্রামীণ ব্যাংক কোনকালেও নেয়নি।
গ্রামীণ ব্যাংকের অধিকাংশ সদস্য ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার। শেয়ার কিনেছেন এমন সদস্যের সংখ্যা ৫৫ লাখ। মোট সদস্য ৮৪ লাখ। যাঁরা শেয়ার এখনও কিনেননি তাঁরা ক্রমান্বয়ে কিনবেন। এজন্য কোন তাড়া দেয়া হয় না। সম্মিলিতভাবে সদস্যরা ৯৭% শেয়ারের মালিক। আরও সদস্য শেয়ার কিনতে থাকলে সদস্যদের মালিকানা ৯৭%-এর উপরে চলে যেতে থাকবে। গ্রামীণ ব্যাংক বরাবর শেয়ারহোল্ডারের ডিভিডেন্ড দিয়ে এসেছে।
এছাড়া ১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকের মালিকানা বিন্যাস পরিবর্তন হয়ে সরকারের মালিকানা ৬০% থেকে কমে ২৫% এবং ব্যাংকের সদস্যদের মালিকানা ৪০% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫%-এ উন্নীত হয় এবং মালিকানা বিন্যাস পরিবর্তন হয়ে সরকারের মালিকানা হ্রাস পাওয়ায় অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। সংশোধিত অধ্যাদেশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়ার পূর্বানুমতি দানের অনুরোধ জানিয়ে ১৪-০৮-১৯৯০ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫-০৮-১৯৯০ তারিখে চিঠি দিলে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগের বিষয়ে পূর্বানুমোদন দেয়। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক তার অনুমোদনপত্রে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগের বেলায় কোন বয়সসীমা উল্লেখ করেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনপত্রের ধারাবাহিকতায় কোন বয়সসীমা উল্লেখ না করে তাঁকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত অবস্থায় জুলাই ২০, ১৯৯৯ তারিখে অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালকম-লীর ৫২তম সভায় স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর অবসর গ্রহণের বিষয়টি সম্পর্কে বোর্ডকে অবহিত করেন। পরিচালকমণ্ডলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যতদিন পর্যন্ত পরিচালকমণ্ডলী অন্য কোন সিদ্ধান্ত না নেবে ততদিন পর্যন্ত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বহাল থাকবেন।
উল্লিখিত পর্ষদ সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ব্যাপারে একটি রেজুলেশন তৈরির
সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল তখনই প্রফেসর ইউনূসের বয়স ষাট বছর উর্ত্তীণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকার তাঁর বয়স নিয়ে কোন আপত্তি তোলেনি। (অসমাপ্ত)
ব্যাখ্যায় বলা হয়, কোন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তদন্ত করা হয় যখন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয়। গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সেরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। এটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান বলেই সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ ব্যাংক ও দু’টি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অডিট ফার্মও গ্রামীণ ব্যাংক অডিট করে এসেছে। কোন অডিট টিম কোন অনিয়ম নিয়ে কোনদিন প্রশ্ন তোলেনি।
১৯৯৫ সালে গ্রামীণ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা আর বিদেশী ঋণ বা অনুদান নেবে না। চালু ঋণ/অনুদানগুলো ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চালু থাকে। এরপর থেকে গ্রামীণ ব্যাংক আজ পর্যন্ত কোন বিদেশী ঋণ বা অনুদান নেয়নি। সরকারী অনুদান গ্রামীণ ব্যাংক কোনকালেও নেয়নি।
গ্রামীণ ব্যাংকের অধিকাংশ সদস্য ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার। শেয়ার কিনেছেন এমন সদস্যের সংখ্যা ৫৫ লাখ। মোট সদস্য ৮৪ লাখ। যাঁরা শেয়ার এখনও কিনেননি তাঁরা ক্রমান্বয়ে কিনবেন। এজন্য কোন তাড়া দেয়া হয় না। সম্মিলিতভাবে সদস্যরা ৯৭% শেয়ারের মালিক। আরও সদস্য শেয়ার কিনতে থাকলে সদস্যদের মালিকানা ৯৭%-এর উপরে চলে যেতে থাকবে। গ্রামীণ ব্যাংক বরাবর শেয়ারহোল্ডারের ডিভিডেন্ড দিয়ে এসেছে।
এছাড়া ১৯৯০ সালে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকের মালিকানা বিন্যাস পরিবর্তন হয়ে সরকারের মালিকানা ৬০% থেকে কমে ২৫% এবং ব্যাংকের সদস্যদের মালিকানা ৪০% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫%-এ উন্নীত হয় এবং মালিকানা বিন্যাস পরিবর্তন হয়ে সরকারের মালিকানা হ্রাস পাওয়ায় অধ্যাদেশ সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। সংশোধিত অধ্যাদেশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়ার পূর্বানুমতি দানের অনুরোধ জানিয়ে ১৪-০৮-১৯৯০ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫-০৮-১৯৯০ তারিখে চিঠি দিলে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগের বিষয়ে পূর্বানুমোদন দেয়। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক তার অনুমোদনপত্রে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগের বেলায় কোন বয়সসীমা উল্লেখ করেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনপত্রের ধারাবাহিকতায় কোন বয়সসীমা উল্লেখ না করে তাঁকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত অবস্থায় জুলাই ২০, ১৯৯৯ তারিখে অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালকম-লীর ৫২তম সভায় স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর অবসর গ্রহণের বিষয়টি সম্পর্কে বোর্ডকে অবহিত করেন। পরিচালকমণ্ডলী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যতদিন পর্যন্ত পরিচালকমণ্ডলী অন্য কোন সিদ্ধান্ত না নেবে ততদিন পর্যন্ত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বহাল থাকবেন।
উল্লিখিত পর্ষদ সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ব্যাপারে একটি রেজুলেশন তৈরির
সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল তখনই প্রফেসর ইউনূসের বয়স ষাট বছর উর্ত্তীণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকার তাঁর বয়স নিয়ে কোন আপত্তি তোলেনি। (অসমাপ্ত)
No comments