ককটেলে দীপিকা-সাইফের অনবদ্য রসায়ন
হোমি আদাজানিয়া পরিচালিত রোমান্টিক কমেডি ছবি ককটেলে মূখ্য ভহমিকায় অভিনয় করেছেন সাইফ আলী খান, দীপিকা পাড়ুকোন এবং নবাগত ডায়ানা পেন্টি। আরো আছেন ডিম্পল কাবাডিয়া এবং বোমান ইরানি। সবার সবকিছু ছাপিয়ে বলিউডে ফিসফাস উঠেছে সাইফ এবং দীপিকার প্রাণবন্ত প্রেমরসায়ন নিয়ে।
ককটেল প্রেমকাহিনী এখন বলিউডের বাতাসে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। অগণিত দর্শকদের কৌতুহলের চাপা আগুনকে উসকে দিতে রঙবেরঙের কথা নিজে মুখেই জানাচ্ছেন খোদ দীপিকা। হুম! প্রেমের গুঞ্জন তবে কি সত্যি!
‘লাভ আজকাল’ এবং ‘আরক্ষন’র পর দীপিকা তৃতীয়বারের মতো অভিনয় করলেন সাইফ আলী খানের সাথে ককটেল ছবিতে। দীপিকা উচ্ছ্বাসের সাথে বলেছেন, “সাইফ আলী রোমান্টিক নায়ক হিসাবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে পারফেক্ট। সে আরো দীর্ঘদিন রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করার ক্ষমতা রাখে।”
৪১ বছর বয়সী পতৌদির ছোটে নবাব সাইফ আলী খান ভালোই প্লেবয় ইমেজ ধরে রেখেছেন বোঝা যাচ্ছে ! চল্লিশের পরে এসেও ২৬ বছর বয়সী দীপিকার কাছে পারফেক্ট রোমান্টিক ম্যান!
দীপিকা পিটিআই’র সাথে এক ইন্টারভিউতে বলেন, “অন্য যেকোনো উপাদানের চেয়ে দুটি চরিত্রের মধ্যে সার্বিক বোঝাপোড়ার জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো উত্তম রসায়ন। আমি যখন সাইফের সাথে ‘লাভ আজকাল’-এ অভিনয় করি তখন খেয়াল করেছি যে রসায়নটা আমাদের মধ্যে জোর করে আরোপ করতে হয় না এটি আপনা-আপনিই এসে যায়। কিছু একটা বিষয় আছে যেটা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটে।”
“ইলুমানতি প্রোডাকশনের ব্যানারে ককটেল আমাদের করা দ্বিতীয় কমেডি লাভ স্টোরি। যেকোনো লাভ স্টোরির জন্য প্রয়োজন বস্ত্তনিষ্ঠ আবেগের আদানপ্রদান। আমরা পর্দায় সেটা সম্পূর্ণভাবেই করতে সমর্থ হয়েছি।” দীপিকা জানাচ্ছেন।
দীপিকা আরো বলেন, “ককটেল ছবির মিরা এবং ভেরোনিকা এই দুই চরিত্রের যেকোনো একটি বেছে নেয়ার জন্য আমাকে অপশন দেয়া হয়েছিল। মিরা চরিত্রটি অনেকটাই ‘লাভ আজকাল’ ছবিতে আমি যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম তার অনুরুপ। আমি সবসময় রিস্ক নিতে পছন্দ করি এবং যেখানে চ্যালেঞ্জ এবং উত্তেজনাময় অভিজ্ঞতা থাকে সেটি করতে ভালো লাগে। আর তাই ভেরোনিকা চরিত্রটি নিজের জন্য পছন্দ করেছি।”
তিনি বলেন, “এটা সত্যি যে আমি প্রথমে মিরা চরিত্র করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম কিন্তু ভেরোনিকা চরিত্রটি ছিল আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং। ভেরোনিকা চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা আমার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। আমার মনে আছে দুই বছর আগে মরিশাসে থাকার সময় আমি ককটেল ছবির স্ক্রিপ্ট পাই। তখন থেকেই নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করছি। ভেরোনিকা চরিত্রটি এমন যে - বোঝার বিন্দুমাত্র ভুল হলেই চরিত্রটি খাপছাড়া হয়ে যেতে পারতো। সেজন্য অনেক শ্রম দিতে হয়েছে এর পেছনে। বিভিন্ন রকম ব্যায়াম এবং ডায়েটের মাধ্যমে নিজেকে ভেরোনিকার উপযুক্ত করে তৈরি করেছি। ভেরোনিকা চরিত্রের ভেতর এমনভাবে ঢুকে গেছি যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা আমার জন্য কষ্টসাধ্য ছিল।”
দীপিকা ককটেলের প্রেমে ভালোমতোই পড়েছেন, ফরফর করে কথার তুবড়ি ছুটিয়ে চলেছেন। একটি দুর্দান্ত কমেডি লাভস্টোরি দেখার পাশাপাশি দর্শক উপভোগ করবেন সাইফ-দীপিকার জটিল রসায়ন।
তবে সাবধান দীপিকা! বিষয়টা কারিনার কানে গেলে কী যে হবে! সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
No comments