লিটারে এক লাফে ৫ টাকা বাড়িয়ে আবার দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি-ভোজ্যতেল নিয়ে ব্যবসায়ীদের নাটক
লিটারপ্রতি এক লাফে ৫ টাকা বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভোজ্যতেল সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নিলেন। সোমবার প্রতিলিটার লুজ সয়াবিনের মূল্য ছিল ১১৮ টাকা থেকে ১২০ টাকা। মঙ্গলবার সকালে দাম বেড়ে প্রতিলিটারের মূল্য ওঠে ১২৩ টাকা থেকে ১২৪ টাকা। দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক অংশ নেয়।
অবশ্য ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীরাই আবার প্রতিশ্রুতি দিলেন, রোজা, ভোজ্যতেলের অযৌক্তিক দাম বাড়াবেন না। রোজা উপলক্ষে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতি জানতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে রিফাইনারি মিল মালিকরা অংশ নেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, বৈঠকে ব্যবসায়ীরা বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতি ভাল। রোজায় সরবরাহের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা হবে না। ফলে অযৌক্তিক দাম বাড়বে না বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আশ্বাস দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসির পরিসংখ্যানের সর্বশেষ তথ্য মতে মে মাসে ভোজ্যতেল আমদানির জন্য এলসি খোলা হয় ৭৯ হাজার মেট্রিক টন এবং একই মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয় ৫৮ হাজার মেট্রিক টন। জুন মাসে ২৪ তারিখ পর্যন্ত ভোজ্যতেল আমদানির এলসি খোলা হয় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন এবং এলসি নিষ্পত্তি হয় ৩০ হাজার মেট্রিক টনের। এসব তথ্যও ওই বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কাস্টমসের হিসাবের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দেয়া হিসাব খুব বেশি গরমিল হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলেছে সরবরাহের কোন সমস্যা হবে না। তারা রোজায় অযৌক্তিক দাম বাড়াবে না। আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে পরিস্থিতি ভাল আছে। ব্যবসায়ীদের মিলে মজুদ পরিস্থিতিও সন্তোষজনক।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ সময় অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হলে সরকারের পক্ষ থেকে দাম বেঁধে দেয়া হবে। তবে আপাতত দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এটি ব্যবসায়ীদের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নয়, গোয়েন্দা সংস্থাও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের কর্মকা-ের ওপর নজর রাখছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা এমন সময় মূল্য না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন, যে দিন লিটারে ৫ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। রোজা আসার আগে সর্বশেষ মঙ্গলবার আরেক দফা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হলো। প্রতিলিটার সয়াবিনের দাম বেড়ে এখন ১২৩ টাকা থেকে ১২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা একদিন আগে সোমবার বিক্রি হয় ১১৮ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
তবে বাজারে সয়াবিনের পাঁচ লিটারের বোতল ও পামতেলের দাম একই রয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিনের মূল্য হচ্ছে ৬৬৫ টাকা থেকে ৬৭০ টাকা এবং পামতেলের লিটার হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৬ টাকা। রোজা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুই দফা দাম বাড়ানো হলো।
জানা গেছে, দাম বাড়ানো ও ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি হচ্ছে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ ধরনের গোয়েন্দা প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে মিল মালিকরা রোজা সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন কৌশলে দাম বাড়ানো হচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্টকে অবশ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে গোয়েন্দা প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যবসায়ীরা অবশ্য বুঝতে পেরেছে তাদের কর্মকা-ের ওপর গোয়েন্দা প্রতিবেদন হচ্ছে। এর মধ্যে যদি বাজার অস্থির হয় তাহলে সরকার তেলের দাম বেঁধে দেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কাস্টমসের হিসাবের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দেয়া হিসাব খুব বেশি গরমিল হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলেছে সরবরাহের কোন সমস্যা হবে না। তারা রোজায় অযৌক্তিক দাম বাড়াবে না। আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে পরিস্থিতি ভাল আছে। ব্যবসায়ীদের মিলে মজুদ পরিস্থিতিও সন্তোষজনক।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ সময় অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হলে সরকারের পক্ষ থেকে দাম বেঁধে দেয়া হবে। তবে আপাতত দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এটি ব্যবসায়ীদের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নয়, গোয়েন্দা সংস্থাও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের কর্মকা-ের ওপর নজর রাখছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা এমন সময় মূল্য না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন, যে দিন লিটারে ৫ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। রোজা আসার আগে সর্বশেষ মঙ্গলবার আরেক দফা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হলো। প্রতিলিটার সয়াবিনের দাম বেড়ে এখন ১২৩ টাকা থেকে ১২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা একদিন আগে সোমবার বিক্রি হয় ১১৮ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
তবে বাজারে সয়াবিনের পাঁচ লিটারের বোতল ও পামতেলের দাম একই রয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিনের মূল্য হচ্ছে ৬৬৫ টাকা থেকে ৬৭০ টাকা এবং পামতেলের লিটার হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৬ টাকা। রোজা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুই দফা দাম বাড়ানো হলো।
জানা গেছে, দাম বাড়ানো ও ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি হচ্ছে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ ধরনের গোয়েন্দা প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে মিল মালিকরা রোজা সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন কৌশলে দাম বাড়ানো হচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্টকে অবশ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে গোয়েন্দা প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যবসায়ীরা অবশ্য বুঝতে পেরেছে তাদের কর্মকা-ের ওপর গোয়েন্দা প্রতিবেদন হচ্ছে। এর মধ্যে যদি বাজার অস্থির হয় তাহলে সরকার তেলের দাম বেঁধে দেবে।
No comments