না ছড়িয়ে পড়ুক তরুণের অন্তরে by আহমেদ হেলাল
যতক্ষণ পর্যন্ত তরুণ প্রজন্ম কোনো কিছুকে আপন করে না নেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি আমাদের সত্তার অংশ হয় না; আবার তরুণেরা প্রত্যাখ্যান না করা পর্যন্ত প্রত্যাখ্যাত হয় না কিছুই। চারদিকে অনেক ‘হতাশা’ আর ‘না’- এর ভিড়ে সব সময় আশাবাদী হই এই তরুণদের দিকে তাকিয়েই। কিছু কিছু ‘না’ আমাদের সচকিত করে, উদ্বেলিত করে।
এমনই এক ‘না’ উচ্চারিত হলো তরুণের কণ্ঠে, চট্টগ্রামের ফয়’স লেকে মাদকবিরোধী কনসার্ট থেকে ৭ জুলাই শনিবার। প্রথম আলো আয়োজিত এই কনসার্টে গানের তালে তালে আনন্দ আর উল্লাসের পাশাপাশি সহস্র কণ্ঠ এক হয়ে মাদককে ‘না’ বলল।
মাদক কেবল তারুণ্যের সমস্যা নয়। একজন তরুণ মাদক গ্রহণ করা শুরু করলে তার পুরো পরিবার এতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে; শুরু হয় বিভীষিকাময় পথচলা। চিকিৎসা নিয়ে এ পথ থেকে ফিরে আসা যায় বৈকি! কিন্তু আসক্ত না হয়ে থাকতে পারা, জীবনের শুরু থেকেই মাদককে ‘না’ বলতে পারাটাই এই সময়ের তারুণ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ। তারুণ্য চ্যালেঞ্জ পছন্দ করে, তাই তারা এভারেস্টের চূড়ায় ওঠে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়, মহাকাশে পাড়ি দেয়; নিজের সবটুকু শক্তিকে একত্র করে রুখে দাঁড়ায় অপশক্তির বিরুদ্ধে। এই চ্যালেঞ্জ যারা নেয়, তারাই কিন্তু তারুণ্যের প্রকৃত প্রতিনিধি। আমরা অনেক সময় ভুল করি তরুণদের প্রকৃত প্রতিনিধিদের দিকে না তাকিয়ে, কিছু পথ হারানো তরুণদের মনে করি সময়ের প্রতিচ্ছবি। কথায় কথায় বলি, ‘এই প্রজন্ম দিয়ে কিচ্ছু হবে না’, ‘তরুণেরা গোল্লায় গেছে, এদের ওপর ভরসা করা যায় না’। এটি আমাদের ধারণাগত ভুল। তারুণ্যের একটি বিরাট অংশ কিন্তু মাদক নেয় না, তারা অন্যায় করে না, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না এবং তারাই কিন্তু পরিবর্তনের ডাক দেবে—তারা গোল্লায় যায়নি, তাদের ওপর ভরসা করা যায়।
যারা গান শোনার জন্য এই কনসার্টে এসেছিল, তারা সবাই কি মাদকমুক্ত? আমরা এমনটা বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি, সহস্র কণ্ঠের ‘না’ তাদের এই আসক্তির ভিতকে অবশ্যই কিছুটা হলেও নাড়াতে পেরেছে। আর যে তরুণ এখনো মাদকমুক্ত রয়েছে, এই ‘না’ তার মানসিক শক্তি হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়। রাজপথের স্লোগান যেমন মিছিলকারীদের কণ্ঠ ছাপিয়ে যারা মিছিলের বাইরে আছে তাদের হূদয়েও ঢেউ তোলে, তেমনি কনসার্টে উপস্থিত হওয়া সহস্র কণ্ঠের ‘না’ ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব তরুণের অন্তরে।
এই অস্থির সময়ে তারুণ্যের গতিপ্রবাহ সব সময় হয়তো ঋজু নয়, তার আকাশ হয়তো সব সময় ঝকঝকে উজ্জ্বল নয়, কিন্তু আমরা জানি সে উঠে দাঁড়াবেই, ঘুরে দাঁড়াবেই; কালো মেঘ সরিয়ে নতুন সূর্যকে সে ঠিকই টেনে নিয়ে আসবে। যাবতীয় অসত্য-অন্যায় আর অন্ধকারকে ‘না’ বলবেই। আর এ সত্যকে প্রমাণ করতেই বোধহয় ৭ জুলাই মাদকবিরোধী কনসার্টের শেষের দিকে ফয়’স লেকের আকাশে তারুণ্যের প্রতীক হয়ে দেখা দিল এক সাতরঙা রংধনু।
মাদক কেবল তারুণ্যের সমস্যা নয়। একজন তরুণ মাদক গ্রহণ করা শুরু করলে তার পুরো পরিবার এতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে; শুরু হয় বিভীষিকাময় পথচলা। চিকিৎসা নিয়ে এ পথ থেকে ফিরে আসা যায় বৈকি! কিন্তু আসক্ত না হয়ে থাকতে পারা, জীবনের শুরু থেকেই মাদককে ‘না’ বলতে পারাটাই এই সময়ের তারুণ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ। তারুণ্য চ্যালেঞ্জ পছন্দ করে, তাই তারা এভারেস্টের চূড়ায় ওঠে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়, মহাকাশে পাড়ি দেয়; নিজের সবটুকু শক্তিকে একত্র করে রুখে দাঁড়ায় অপশক্তির বিরুদ্ধে। এই চ্যালেঞ্জ যারা নেয়, তারাই কিন্তু তারুণ্যের প্রকৃত প্রতিনিধি। আমরা অনেক সময় ভুল করি তরুণদের প্রকৃত প্রতিনিধিদের দিকে না তাকিয়ে, কিছু পথ হারানো তরুণদের মনে করি সময়ের প্রতিচ্ছবি। কথায় কথায় বলি, ‘এই প্রজন্ম দিয়ে কিচ্ছু হবে না’, ‘তরুণেরা গোল্লায় গেছে, এদের ওপর ভরসা করা যায় না’। এটি আমাদের ধারণাগত ভুল। তারুণ্যের একটি বিরাট অংশ কিন্তু মাদক নেয় না, তারা অন্যায় করে না, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না এবং তারাই কিন্তু পরিবর্তনের ডাক দেবে—তারা গোল্লায় যায়নি, তাদের ওপর ভরসা করা যায়।
যারা গান শোনার জন্য এই কনসার্টে এসেছিল, তারা সবাই কি মাদকমুক্ত? আমরা এমনটা বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি, সহস্র কণ্ঠের ‘না’ তাদের এই আসক্তির ভিতকে অবশ্যই কিছুটা হলেও নাড়াতে পেরেছে। আর যে তরুণ এখনো মাদকমুক্ত রয়েছে, এই ‘না’ তার মানসিক শক্তি হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়। রাজপথের স্লোগান যেমন মিছিলকারীদের কণ্ঠ ছাপিয়ে যারা মিছিলের বাইরে আছে তাদের হূদয়েও ঢেউ তোলে, তেমনি কনসার্টে উপস্থিত হওয়া সহস্র কণ্ঠের ‘না’ ছড়িয়ে পড়ে দেশের সব তরুণের অন্তরে।
এই অস্থির সময়ে তারুণ্যের গতিপ্রবাহ সব সময় হয়তো ঋজু নয়, তার আকাশ হয়তো সব সময় ঝকঝকে উজ্জ্বল নয়, কিন্তু আমরা জানি সে উঠে দাঁড়াবেই, ঘুরে দাঁড়াবেই; কালো মেঘ সরিয়ে নতুন সূর্যকে সে ঠিকই টেনে নিয়ে আসবে। যাবতীয় অসত্য-অন্যায় আর অন্ধকারকে ‘না’ বলবেই। আর এ সত্যকে প্রমাণ করতেই বোধহয় ৭ জুলাই মাদকবিরোধী কনসার্টের শেষের দিকে ফয়’স লেকের আকাশে তারুণ্যের প্রতীক হয়ে দেখা দিল এক সাতরঙা রংধনু।
No comments