অক্সফোর্ডে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

অক্সফোর্ডে পড়ছেন অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। তাঁদের কয়েকজন জানিয়েছেন তাঁদের অভিজ্ঞতা আর নতুনদের জন্য পরামর্শ। ই-মেইলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন শিখ্তী সানী মন্ময় জাফর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে।


দ্বিতীয়বার স্নাতকোত্তর পাস করেন অস্ট্রেলীয় সরকারের বৃত্তির মাধ্যমে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত ভাষাতত্ত্ব বিভাগে। ব্রিটিশ কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি করছেন অক্সফোর্ডে। বিষয় ‘উত্তর ঔপনিবেশিক সাহিত্য ও রাজনীতি’।
মন্ময় জাফর বলেন, ‘অক্সফোর্ডে যাঁরা পড়তে চান, তাঁদের প্রয়োজন ভালো শিক্ষাগত ফল, সুলিখিত গবেষণা প্রস্তাব এবং নিজের লেখা ভালো কিছু গবেষণা প্রবন্ধ। দেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল এ ব্যাপারে আগ্রহী প্রার্থীদের সহযোগিতা করতে পারে।’

সামিনা লুৎফা কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ডের সেন্ট ক্রস কলেজে সমাজবিদ্যা বিভাগে পিএইচডি করছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ফুলবাড়ি কয়লা খনি গড়ে তোলার বিরুদ্ধে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তদেশীয় একতা ও সংহতি। সামিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক। অক্সফোর্ডে পড়ার পাশাপাশি একটি থিয়েটারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি অভিনয়, পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন সেখানে।
অক্সফোর্ডে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য বলেন, ‘শুধু স্বপ্ন দেখলেই চলবে না, স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম। অক্সফোর্ডে পড়ুয়া সবাই কিন্তু তোমার-আমার মতো মানুষই।’

তাতা জাফর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করে বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি ব্র্যাকের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে গবেষণার অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যা পরবর্তীকালে তাঁকে গবেষণাবিষয়ক উচ্চতর শিক্ষায় অক্সফোর্ডে পড়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।
তাতা বলেন, ‘অক্সফোর্ডে আমাকে সবচেয়ে আকর্ষণ করে সেখানকার শিক্ষাদানের মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচ। প্রতিদিনই নানা বিষয়ে সেমিনার, বক্তব্য ও আলোচনা চলতে থাকে। সেখানে সবার উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার। অসাধারণ তার পাঠাগার এবং বিশ্ববরেণ্য অধ্যাপকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি।’

সাকিব আহমেদ ২০১১ সালে এমবিএতে ভর্তি হন অক্সফোর্ডের সেইড বিজনেস স্কুলে। ‘ক্লাসরুমে নানা দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণই আমার কাছে অক্সফোর্ডের অসাধারণত্ব মনে হয়। আমার ক্লাসেই আছে ৫২ দেশের শিক্ষার্থী। ক্লাসের পাশাপাশি টক শো, বক্তৃতা ও বিতর্ক তো চলতে থাকেই।’ বলেন সাকিব।
নতুনদের ভর্তির প্রসঙ্গে সাকিব জানান, আবেদনপত্র জমার শেষ তারিখের আগেই আবেদন করা ভালো। অক্সফোর্ড স্বল্পোন্নত বিশ্বের, বিশেষ করে নারীদের ভর্তির ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে দুটি রচনা লিখতে হয়। রচনা ও সুপারিশপত্রগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তৈরি করতে হবে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণে আইইএলটিএস দিতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.