নতুনরূপে ঘাসের কোর্টের রানী by সায়মা শারমীন
ঘাসের কোর্টের রানী কে হবেন? উইম্বল্ডন ওপেন শুরুর আগে ঘুরেফিরে যাঁদের নাম সবচেয়ে বেশিবার উচ্চারিত হয়েছিল সেই মারিয়া শারাপোভা, ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, পেত্রা কেভিতোভা, ক্যারোলিন ওজনিয়াকিরা কেউ-ই শিরোপা নিজের করে নিতে পারেননি। যিনি পেরেছেন, তিনি আলোচনায় ছিলেন যৎসামান্য।
শেষ পর্যন্ত বাকিদের টেক্কা দিয়ে তিনিই করলেন বাজিমাত। হয়ে গেলেন ঘাসের কোর্টের রানী। পুরনো রানী আবিভূর্ত হলেন নতুন করে। তিনি সেরেনা জ্যামেকা উইলিয়ামস।
এমনিতে বাস্তবে ‘ফিনিক্স’ বলে কোন পাখির অস্তিত্ব নেই। তবে আছে রূপকথায়। এটা এমনই এক পাখি, যে পাখির আয়ু শেষ হয়ে গেলে আচমকা নিজের গায়ে নিজেই আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই ভস্মীভূত ছাই থেকেই আবার নতুন করে জন্ম নেয় ফিনিক্স। মেয়েদের পাওয়ার টেনিসের অন্যতম প্রবক্তা সেরেনা উইলিয়ামস যেন এমনই এক ফিনিক্স পাখি। নতুন করে যেন জন্ম হয়েছে তাঁর। ইনজুরি এবং অফফর্ম মিলিয়ে হারিয়েই যেতে বসেছিলেন। গত বছরটা ছিল রীতিমতো হতাশার চাদরে ঢাকা। অব্যাহত ইনজুরি ও বাজে ফর্মের দরুন অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়ে ভেবেছিলেন, হয়ত অতলেই চলে গেলেন সেরেনা। কিন্তু তা হয়নি। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে হতে দেননি। অদম্য দৃঢ় মানসিকতার সেরেনা হাল ছেড়ে দেননি। সাবেক বিশ্বসেরা এ তারকার একসময় সখ্য ছিল শুধু জয় আর শিরোপার সঙ্গে। কিন্তু সময় পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে চিত্রনাট্যেরও পরিবর্তন হয়েছে। হারিয়ে ফেলেন নিজের সেরা সময়। এজন্য অবশ্য দায়ী ঘাতক ইনজুরি। এর সঙ্গে বাজে পারফরমেন্স যোগ হয়ে যেন হারিয়েই গিয়েছিলেন মার্কিন এ কৃঞ্চকন্যা। গত বছর তো পুরোপুরিই টেনিস কোর্টের বাইরে ছিলেন। তবে সবকিছু ঝেড়ে ফেলে ক্রমশ নিজের চেনা ছন্দে ফিরছেন। তার সর্বশেষ উদাহরণ উইম্বল্ডন ওপেনের শিরোপা জেতা। ২০১০ সালে ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার পর এটি সেরেনার প্রথম গ্র্যান্ডসøাম জয়। আর সবমিলিয়ে পঞ্চম উইম্বলডন টাইটেল। বেশ ক’টি কারণে তাঁর উইম্বলডন জয় অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। ঘাতক ইনজুরি থেকে নিজেকে ফিরে পেতে গ্র্যান্ডসøাম জয়ের বিকল্প ছিল না উইলিয়ামস পরিবারের ছোটকন্যার। এ কারণে পরম কাক্সিক্ষত গ্র্যান্ডসøাম জয়ের পর আবেগে ভাসতে থাকা সেরেনা বলেছেন, ‘এ শিরোপা আমার জন্য সুপার স্পেশাল!’
এবারের উইম্বলডন জয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার গড়া অনন্য কৃতিত্বে ভাগ বসান সেরেনা। এতদিন ৩০ বছরের বেশি নারী হিসেবে উইম্বলডন জয়ের কৃতিত্ব ছিল একমাত্র মার্টিনা নাভ্রাতিলোভারই। অনেক সাধনার পর স্বরূপে আবির্ভূত হতে পেরে সেরেনা প্রথমেই স্মরণ করেন দুঃসহ সে দিনগুলোর কথা, ‘আমি হাসপাতালে ছিলাম। ভাবতাম, আর কখনও এখানে আসতেই পারব না। সেদিক দিয়ে ভাবলে এ শিরোপা জয়ের মূল্য অনেক। যে কোন শিরোপাই স্পেশাল। কিন্তু এই শিরোপা (উইম্বলডন) সন্দেহতীতভাবে আমার কাছে সুপার স্পেশাল। কারণ এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রত্যাবর্তন। এখানেই থেমে যেতে চাই না আমি। আরও বেশি ট্রফি জয় করা আমার লক্ষ্য। সেরাটা দেয়ার এখনও বাকি রয়েছে।’
২০১০ সালের মাঝমাঝি জার্মানির মিউনিখের এক রেস্তোরাঁয় বন্ধুর বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়ে ভাঙ্গা কাঁচের টুকরায় মারাত্মকভাবে পা কেটে ফেলেন সেরেনা। জরুরীভিত্তিতে পায়ে অপারেশন করাতে হয় তাঁকে। প্রায় বছরখানেক এই ইনজুরিতে ভোগেন। এ থেকে সেরে উঠতে না উঠতেই আক্রান্ত হন ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে মারাত্মক অসুখে। জীবন হয়ে ওঠে সঙ্কটাপন্ন। এখন দেখার বিষয়, ইনজুরি-অসুস্থতা কাটিয়ে ২০১২ সালের বাকি সময়টা সেরেনা আরও ঝলমলে নৈপুণ্য উপহার দিয়ে নিজের লক্ষ্যগুলো কতটা পূরণ করতে পারেন। অল ইংল্যান্ড ক্লাবে পঞ্চম টাইটেল জিতেছেন সেরেনা। এ সাফল্যের পথে তিনি স্পর্শ করেছেন বড় বোন ভেনাসকে। ছয় ও সাতটি করে উইম্বলডন জিতে সামনে রয়েছেন কিংবদন্তি বিলি জিন কিং ও স্টেফি গ্রাফ। ছুঁতে পারবেন এঁদের? এমন প্রশ্নের জবাবে সেরেনা বলেন, ‘কেন নয়! আমি এখন অনেক ভাল অনুভব করছি। ইনজুরিমুক্ত থাকলে এখানে আরও সাফল্য সম্ভব।’ সেরেনার সাফল্যের অন্যতম রহস্য শক্তিশালী সার্ভ। মার্কিন তারকা স্বীকারও করলেন বিষয়টি, ‘অবশ্যই আমার সার্ভ সাফল্য পেতে আমাকে সহায়তা করেছে। এটা ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।’ উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ডবলসেও বড় বোন ভেনাসকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন সেরেনা উইলিয়ামস। ফাইনালে উইলিয়ামস বোনেরা হারান আন্দ্রে লাভাককোভা-লুসিয়ে রাদেকা জুটিকে ৭-৫, ৬-৪ গেমে। ডাবলসে দু’বোনের এটি ১৪তম গ্র্যান্ডসøাম খেতাব। উইম্বলডনে সিঙ্গলসে দু’বোনের মিলিত খেতাব ১০টি। সিঙ্গলস, ডাবলস, মিক্সড ডাবলস মিলিয়ে সেরেনা জিতেছেন ২৯টি গ্র্যান্ডসøাম খেতাব।
দু’বছর বাদে দু’বোন জুটি বেঁধে এবারের উইম্বলডনে নেমেছিলেন। সবচেয়ে মজার কথাÑ দু’বোনই সিঙ্গলসে পাঁচবার করে উইম্বলডন জিতেছেন। ডাবলসেও এটি তাঁদের পঞ্চম খেতাব। আসন্ন লন্ডন অলিম্পিকে মহিলাদের ডাবলসে সোনা জয়ের বিচারে মার্কিন দু’বোনের জুটিই ফেভারিট। অলিম্পিকে উইলিয়ামস বোনেরা ডাবলসে দু’বার সোনা জিতেছেন (২০০০ সালে এথেন্সে, ২০০৮ সালে বেজিংয়ে)। উইম্বলডন ডাবলসে উইলিয়ামস বোনদের সাম্রাজ্যের বছর হলোÑ ২০০০, ২০০২, ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১২।
অস্তাচলে যাওয়ার আগে কেউ ঝলসে ওঠে, কেউ ওঠে না। স্বভাবতই বয়স ধীরে ধীরে সেরেনার বিরুদ্ধে যেতে শুরু করেছে। গত বছরই সেরেনা বলেছিলেন, টেনিস নাকি এখন আর তাঁকে আগের মতো টানে না! সেই সেরেনা এবার আলোচিত হলেন আবারও দৃশ্যপটে সফলভাবে হাজির হয়ে। সেই সঙ্গে জানান দিলেন, অবসর নেয়ার আগে টেনিসকে আরও অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে তাঁর।
এমনিতে বাস্তবে ‘ফিনিক্স’ বলে কোন পাখির অস্তিত্ব নেই। তবে আছে রূপকথায়। এটা এমনই এক পাখি, যে পাখির আয়ু শেষ হয়ে গেলে আচমকা নিজের গায়ে নিজেই আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই ভস্মীভূত ছাই থেকেই আবার নতুন করে জন্ম নেয় ফিনিক্স। মেয়েদের পাওয়ার টেনিসের অন্যতম প্রবক্তা সেরেনা উইলিয়ামস যেন এমনই এক ফিনিক্স পাখি। নতুন করে যেন জন্ম হয়েছে তাঁর। ইনজুরি এবং অফফর্ম মিলিয়ে হারিয়েই যেতে বসেছিলেন। গত বছরটা ছিল রীতিমতো হতাশার চাদরে ঢাকা। অব্যাহত ইনজুরি ও বাজে ফর্মের দরুন অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়ে ভেবেছিলেন, হয়ত অতলেই চলে গেলেন সেরেনা। কিন্তু তা হয়নি। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে হতে দেননি। অদম্য দৃঢ় মানসিকতার সেরেনা হাল ছেড়ে দেননি। সাবেক বিশ্বসেরা এ তারকার একসময় সখ্য ছিল শুধু জয় আর শিরোপার সঙ্গে। কিন্তু সময় পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে চিত্রনাট্যেরও পরিবর্তন হয়েছে। হারিয়ে ফেলেন নিজের সেরা সময়। এজন্য অবশ্য দায়ী ঘাতক ইনজুরি। এর সঙ্গে বাজে পারফরমেন্স যোগ হয়ে যেন হারিয়েই গিয়েছিলেন মার্কিন এ কৃঞ্চকন্যা। গত বছর তো পুরোপুরিই টেনিস কোর্টের বাইরে ছিলেন। তবে সবকিছু ঝেড়ে ফেলে ক্রমশ নিজের চেনা ছন্দে ফিরছেন। তার সর্বশেষ উদাহরণ উইম্বল্ডন ওপেনের শিরোপা জেতা। ২০১০ সালে ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ার পর এটি সেরেনার প্রথম গ্র্যান্ডসøাম জয়। আর সবমিলিয়ে পঞ্চম উইম্বলডন টাইটেল। বেশ ক’টি কারণে তাঁর উইম্বলডন জয় অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। ঘাতক ইনজুরি থেকে নিজেকে ফিরে পেতে গ্র্যান্ডসøাম জয়ের বিকল্প ছিল না উইলিয়ামস পরিবারের ছোটকন্যার। এ কারণে পরম কাক্সিক্ষত গ্র্যান্ডসøাম জয়ের পর আবেগে ভাসতে থাকা সেরেনা বলেছেন, ‘এ শিরোপা আমার জন্য সুপার স্পেশাল!’
এবারের উইম্বলডন জয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার গড়া অনন্য কৃতিত্বে ভাগ বসান সেরেনা। এতদিন ৩০ বছরের বেশি নারী হিসেবে উইম্বলডন জয়ের কৃতিত্ব ছিল একমাত্র মার্টিনা নাভ্রাতিলোভারই। অনেক সাধনার পর স্বরূপে আবির্ভূত হতে পেরে সেরেনা প্রথমেই স্মরণ করেন দুঃসহ সে দিনগুলোর কথা, ‘আমি হাসপাতালে ছিলাম। ভাবতাম, আর কখনও এখানে আসতেই পারব না। সেদিক দিয়ে ভাবলে এ শিরোপা জয়ের মূল্য অনেক। যে কোন শিরোপাই স্পেশাল। কিন্তু এই শিরোপা (উইম্বলডন) সন্দেহতীতভাবে আমার কাছে সুপার স্পেশাল। কারণ এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রত্যাবর্তন। এখানেই থেমে যেতে চাই না আমি। আরও বেশি ট্রফি জয় করা আমার লক্ষ্য। সেরাটা দেয়ার এখনও বাকি রয়েছে।’
২০১০ সালের মাঝমাঝি জার্মানির মিউনিখের এক রেস্তোরাঁয় বন্ধুর বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়ে ভাঙ্গা কাঁচের টুকরায় মারাত্মকভাবে পা কেটে ফেলেন সেরেনা। জরুরীভিত্তিতে পায়ে অপারেশন করাতে হয় তাঁকে। প্রায় বছরখানেক এই ইনজুরিতে ভোগেন। এ থেকে সেরে উঠতে না উঠতেই আক্রান্ত হন ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে মারাত্মক অসুখে। জীবন হয়ে ওঠে সঙ্কটাপন্ন। এখন দেখার বিষয়, ইনজুরি-অসুস্থতা কাটিয়ে ২০১২ সালের বাকি সময়টা সেরেনা আরও ঝলমলে নৈপুণ্য উপহার দিয়ে নিজের লক্ষ্যগুলো কতটা পূরণ করতে পারেন। অল ইংল্যান্ড ক্লাবে পঞ্চম টাইটেল জিতেছেন সেরেনা। এ সাফল্যের পথে তিনি স্পর্শ করেছেন বড় বোন ভেনাসকে। ছয় ও সাতটি করে উইম্বলডন জিতে সামনে রয়েছেন কিংবদন্তি বিলি জিন কিং ও স্টেফি গ্রাফ। ছুঁতে পারবেন এঁদের? এমন প্রশ্নের জবাবে সেরেনা বলেন, ‘কেন নয়! আমি এখন অনেক ভাল অনুভব করছি। ইনজুরিমুক্ত থাকলে এখানে আরও সাফল্য সম্ভব।’ সেরেনার সাফল্যের অন্যতম রহস্য শক্তিশালী সার্ভ। মার্কিন তারকা স্বীকারও করলেন বিষয়টি, ‘অবশ্যই আমার সার্ভ সাফল্য পেতে আমাকে সহায়তা করেছে। এটা ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।’ উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ডবলসেও বড় বোন ভেনাসকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন সেরেনা উইলিয়ামস। ফাইনালে উইলিয়ামস বোনেরা হারান আন্দ্রে লাভাককোভা-লুসিয়ে রাদেকা জুটিকে ৭-৫, ৬-৪ গেমে। ডাবলসে দু’বোনের এটি ১৪তম গ্র্যান্ডসøাম খেতাব। উইম্বলডনে সিঙ্গলসে দু’বোনের মিলিত খেতাব ১০টি। সিঙ্গলস, ডাবলস, মিক্সড ডাবলস মিলিয়ে সেরেনা জিতেছেন ২৯টি গ্র্যান্ডসøাম খেতাব।
দু’বছর বাদে দু’বোন জুটি বেঁধে এবারের উইম্বলডনে নেমেছিলেন। সবচেয়ে মজার কথাÑ দু’বোনই সিঙ্গলসে পাঁচবার করে উইম্বলডন জিতেছেন। ডাবলসেও এটি তাঁদের পঞ্চম খেতাব। আসন্ন লন্ডন অলিম্পিকে মহিলাদের ডাবলসে সোনা জয়ের বিচারে মার্কিন দু’বোনের জুটিই ফেভারিট। অলিম্পিকে উইলিয়ামস বোনেরা ডাবলসে দু’বার সোনা জিতেছেন (২০০০ সালে এথেন্সে, ২০০৮ সালে বেজিংয়ে)। উইম্বলডন ডাবলসে উইলিয়ামস বোনদের সাম্রাজ্যের বছর হলোÑ ২০০০, ২০০২, ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১২।
অস্তাচলে যাওয়ার আগে কেউ ঝলসে ওঠে, কেউ ওঠে না। স্বভাবতই বয়স ধীরে ধীরে সেরেনার বিরুদ্ধে যেতে শুরু করেছে। গত বছরই সেরেনা বলেছিলেন, টেনিস নাকি এখন আর তাঁকে আগের মতো টানে না! সেই সেরেনা এবার আলোচিত হলেন আবারও দৃশ্যপটে সফলভাবে হাজির হয়ে। সেই সঙ্গে জানান দিলেন, অবসর নেয়ার আগে টেনিসকে আরও অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে তাঁর।
No comments