সম্পাদক সমীপে

রাস্তাটি সংস্কার প্রয়োজন আমরা লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার রামগঞ্জ পৌরসভার কমরদিয়া গ্রামের অধিবাসী। অনেকদিন আগে রামগঞ্জ থেকে একটি রাস্তা হরিসভা, কমরদিয়া, নারায়ণপুর হয়ে রায়পুর-ফরিদগঞ্জ পর্যন্ত চলে গেছে। রাস্তার হরিসভা হতে শ্রীরামপুর অংশটি পাকা করা হয়েছিল।


পাকা রাস্তার ভাঙ্গা অংশটি বর্তমানে যান চলাচলের অনুপোযোগী। অসুস্থ মানুষসহ মহিলা ও বাচ্চাদের চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়। অনেকবার স্থানীয়ভাবে বলা হলেও এর থেকে উত্তরণ ঘটেনি। তাই বাধ্য হয়েই মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি, যাতে সোনাপুর ওয়াপদা থেকে হরিসভা হয়ে কমরদিয়া পর্যন্ত রাস্তাটি পুনঃসংস্কার করা হয়।
মোঃ ফয়জুল কবির পাটোয়ারী
কমরদিয়া, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর।

শিক্ষামন্ত্রীর বিষয়টি দেখবেন কি?
কুমিল্লা ট.ঈ.ঈ কোচিং সেন্টার ঢাকা থেকে শিক্ষক এনে কোচিং করানোর নিশ্চয়তায় ভর্তি করিয়ে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ‘সবজানতা শমসের আলীর’ মতো বিজ্ঞান বিভাগের উপযোগী না হয়েও বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করার কারণে তাদের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ফলে তারা উপযুক্ত প্রস্তুতি না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা হারিয়ে পরবর্তী বৎসর আবার ঢাকায় গিয়ে কোচিং করতে হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা জীবনের ওপর উৎসাহ-উদ্দীপনা কমে যায়। বিশেষ করে ২টা-৬টার ক্লাসটির প্রতি শিক্ষকদের মনোযোগ থাকে না, দ্রুত ক্লাশ শেষ করে শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ ও বাসায় চলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। গরিব বাবা-মাকে হালের বলদ বিক্রি ও ঋণ বিক্রি করে কোচিং সেন্টারের টাকা জোগাড় করতে হয়। এমতাবস্থায় আমি মনে করি কোচিং সেন্টার বন্ধ করে গ্রেডিং পদ্ধতিতে বা নিজ নিজ প্রস্তুতি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করলে, দুর্নীতিবাজ, ধোঁকাবাজ কোচিং সেন্টারের হাতিয়ে নেওয়া রমরমা ব্যবসা থেকে সমাজ রক্ষা পেত। এ ব্যাপারে কুমিল্লা ট.ঈ.ঈ কোচিং সেন্টারের প্রধান মহাব্যবস্থাপককে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, ব্যবসা করলে তো লাভ করতে হবে। শেষ বেলায় শিক্ষকগণ থাকতে চায় না। অর্থাৎ বেলাও শেষ খেলাও শেষ। এমতাবস্থায় সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ আবুল খায়ের চৌধুরী
চৌধুরীপাড়া, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা

বিচার বিলম্বিত কেন?

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আমি নিজ চোখে দেশ দেশান্তর ঘুরে অনেক অপরাধ দেখেছি ও শুনেছি। যার কিঞ্চিত অপরাধের কথা এখন আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এই যুদ্ধপরাধীরা অত্যন্ত ঠা-া মাথায় সুকৌশলে রাজাকার, আলবদর, আলশামস সৃষ্টি করে পশ্চিমাবাহিনীর সহযোগিতায় জঘন্য তা-ব চালিয়েছে। লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, বহু নারীকে নির্যাতন করেছে, বহু বিধবা গ্রাম তৈরি করেছে। তাদের নির্দেশে রাজাকাররা রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানী সদস্যদের গ্রামে লেলিয়ে দিয়েছে, বাড়ি ঘর, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পুড়িয়ে দিয়েছে। শত শত বুদ্ধিজীবীদের ঘর থেকে ধরে এনে হত্যা করেছে। তারা ঘরবাড়ি লুটপাট, টাকা-পয়সা, স্বর্ণ অলঙ্কার ও গুদামের মাল লুট করে। মানুষ রাতে নিরাপদে নিজগৃহে অবস্থান করতে পারেনি। নামাজ রোজা ঠিকমতো আদায় করতে পারেনি। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে একটি আতঙ্ক বিরাজ করত। অনেক মৃত মানুষকে কবর দেয়া হয়নি, নদীতে বা সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে গণকবর দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজের দেশের শত্রু দ্বারা এরূপ নিষ্ঠুর কর্মকা- ঘটেনি। তারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা, বিদেশী রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিব রহমানকে হত্যা করেছে, জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করেছে। যারা এসব করেছে এবং যারা এখনও তাদের দোসর হিসেবে থাকতে চায় তারা সবাই বাঙালী জাতির শত্রু। তারা কোন অবস্থায় এই দেশের উন্নতি চায় না। এত কিছুর পরও বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ ও ২১ ফেব্রুয়ারি এলে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন দাবি করে। যুদ্ধপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করার জন্য হরতাল, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর আক্রমণ ইত্যাদি নানা কাজে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। যা এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কামনা করে না।
পরিশেষে বলব, এই মৌলবাদ শুধু আমাদের সমাজের নয় সারা পৃথিবীর বিষফোঁড়া। তারা বোমাবাজি, সন্ত্রাস, ড্রাগস (হিরোইন) বিক্রয়, মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটা ইত্যাদি কাজে জড়িত হয়ে ইসলামের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। সুতরাং এই বিচার আর বিলম্ব নয়, বরং দ্রুত বিচার চাই।
আবদুল মতিন
সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

প্রাইভেট না পড়লে...

বাংলাদেশ সরকার শিক্ষকদের প্রাইভেট কোচিং নিষিদ্ধ করলেও জামালপুর সদর উপজেলার নরুন্দি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের আওতাধীন এলাকায় কোন শিক্ষক তা মানছে না। আমার মেয়ে নরুন্দি সৈয়দা নাজিবা আক্তার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। সামনে এসএসসি প্রি-টেস্ট পরীক্ষা। গত ২৪ জুন এক শিক্ষক ক্লাসে বলে দিয়েছে যারা আমার কাছে এখনও প্রাইভেট, কোচিংয়ে ভর্তি হওনি তাদেরকে ফেল করিয়ে দেব। তাই আমার মেয়ে পরীক্ষায় পাসের ভাল নম্বরের জন্য ঐ শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ালে ভাত খাবে না। আমি অনেক আশ্বস্ত করে ভাত খাওয়ালাম। এবং এখন প্রাইভেট পড়াচ্ছি। কেউ এ খবর বাইরে প্রকাশ করলে স্কুল থেকে বের করে দেবে বলে শিক্ষকদের হুমকি। এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে গার্ড দিই এবং পিয়নের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করি। তাই পাস নম্বর কোন ব্যাপার না। টাকা হলে সব চলে। কন্ট্রাক ৭-১০ হাজার টাকা। আমার একটি মেয়ের জন্য যদি তিন বিষয়ে ৫০০৩=১৫০০ টাকা দিতে হয়। আমার আরও দুই ছেলে স্কুলে পড়ে। তাদের খরচ আরও বেশি। আমি একজন দিন মজুর আমার পক্ষে কি এত বড় কোচিং, প্রাইভেট খরচ চালানো সম্ভব। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
মোঃ আঃ রশিদ
নলকুড়ি, নরুন্দি, জামালপুর

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চাই

আন্তর্জাতিক স্বীকৃত চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যবস্থা। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পলিটেকনিকে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সের পাশাপাশি ৬/৯ মাস, ১ বছর, ২ বছর, ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করে। একই বোর্ডের অধীন ভিন্ন মেয়াদে ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনার কারণে বাংলাদেশের ডিপ্লোমা শিক্ষা কোর্সের মান নির্ধারণে রয়েছে ভিন্নতা। উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশের ডিপ্লোমা ডিগ্রীকে অবমূল্যায়ণ করা হয়। চাকরিতে নিম্ন বেতন, উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। বিদেশীরা বাংলাদেশে ডিপ্লোমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় না। একই বোর্ডের অধীন ভোকেশনাল ও ট্রেড কোর্স পরিচালনা করে ডিপ্লোমা শিক্ষা তেলেবেগুনে পানিতে একাকার করে ফেলেছে।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা অবনমনে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের নাম পরিবর্তন অবমূল্যায়ন করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষা গোঁজামিল অবচয় রোধ করতে হলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ডিপ্লোমা শিক্ষা কার্যক্রম পৃথক করে স্বতন্ত্র ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিবের কাছে আবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিভাগীয় ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
মোঃ আলী আকবর
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঢাকা।

No comments

Powered by Blogger.