চাঁদপুরের উত্তর মতলবে ১০ জন শনাক্ত-দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করা হবে জানুয়ারিতে

ভোটার তালিকা হালনাগাদে যাঁরা দ্বৈত ভোটার হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন, নির্বাচন কমিশন আগামী জানুয়ারি মাসে তাঁদের শনাক্ত করার কাজ করবে। দেশব্যাপী এই শনাক্তকরণ চলবে। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক ক্রসম্যাচিং (মিলিয়ে দেখা) করে চাঁদপুরে ১০ জন দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করা হয়েছে।


জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী, কেউ একাধিক জায়গায় ভোটার হলে তিনি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত নির্বাচন কমিশন সফটওয়্যারের কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ক্রসম্যাচিং করছে। ডিসেম্বরে হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশব্যাপী ক্রসম্যাচিং শুরু হবে। শুধু হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ভোটারদের নিয়ে ক্রসম্যাচিং হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষামূলক ক্রসম্যাচিংয়ে যেসব দ্বৈত ভোটার পাওয়া গেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কমিশনের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১০ সালে নির্বাচন কমিশন ঢাকা মহানগরের সঙ্গে কয়েকটি জেলার ভোটারদের পরীক্ষামূলক ক্রসম্যাচিং করে দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করেছিল। এসব দ্বৈত ভোটারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা মামলা করেছিলেন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে শনাক্ত হয়েছিল ১৮৮ জন।
কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, কমিশন সম্প্রতি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ক্রসম্যাচিং করে ১০ জন দ্বৈত ভোটারকে শনাক্ত করেছে। এই ১০ জনই এর আগে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ অন্যান্য জায়গায় একই নামে অথবা ভিন্ন নামে ভোটার হয়েছেন। এঁরা নাম ও জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে বয়স কমিয়েছেন। তাঁরা হলেন: মতলব উত্তর উপজেলার মমরুজকান্দির বিল্লাল হোসেন, পাঠানচকের খুকু মণি, সানকীভাঙ্গার মো. সোলায়মান ও মুনছুর মিজি, সরদারকান্দির মো. রুবেল হোসেন, সুগন্ধি এলাকার পেয়ারা বেগম, ঠেটালিয়ার ফাতেমা আক্তার, পশ্চিম হানিরপাড়ের কাজল রেখা, পাহাড়ের চকের শাহজাহান এবং দক্ষিণ কালাকান্দার আছমা বেগম।

No comments

Powered by Blogger.