ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই by তোফায়েল আহমেদ রবিন
২০০৫ সালে জার্সিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নে ঢাকার ক্লাব ফুটবলে অভিষেক মামুনুল ইসলাম মানুনের। সেবার মৌসুমের সেরা দল গড়েছিল গোপীবাগের এই ক্লাবটি। বন্ধু জাহিদ হাসান এমিলির মাধ্যমে সুযোগ মিলেছিল তার। এর আগে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৭ দলে খেলে নজর কেড়েছিলেন অনেকের। সেই থেকে শুরু মামুনের ফুটবল ক্যারিয়ার।
টানা দুই মৌসুম ব্রাদার্সে কাটিয়ে ২০০৮ যোগ দেন আবাহনীতে। এরপর মোহামেডান, শেখ জামাল হয়ে এবার খেলেছেন মুক্তিযোদ্ধায়। হয়েছেন লীগের সেরা ফুটবলার। ইতোমধ্যে ঠিক করে ফেলেছেন পরের মৌসুমের দল। আকর্ষণীয় পারিশ্রমিকে এবার পাড়ি জমাচ্ছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে। লীগে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার অনুভূতি। এ কথা জনিয়েছেন জনকণ্ঠকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে। নিজের ক্যারিয়ারও বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে বললেন অনেক কিছু।
জনকণ্ঠ : পেশাদার লীগে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি জানতে চাচ্ছি?
মামুন : অনুভূতি তো অবশ্যই ভালো এবং এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের ব্যাপার। দীর্ঘ সাত মাস একটা লীগে পারফর্ম করার পর লীগ শেষে এমন স্বীকৃতি পেলে যে কোন প্লেয়ারের কাছে সেটা ভালো লাগার বিষয় হবে। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। খুবই লাগছে।
জনকণ্ঠ : লীগ শুরুর আগে কি এরকম কোন ছিল?
মামুন : সেরা খেলোয়াড়ই হতে হবে এমন লক্ষ্য না থাকলেও লীগের সেরা পারফরমারদের একজন হওয়ার লক্ষ্য তো অবশ্যই ছিল। গত দুই-তিন মৌসুম যাবত ভাল পারফর্ম করে আসছি। কিন্তু সেভাবে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনের ব্যবস্থা না থাকায় নিজের অবস্থানটা বুঝতে পারছিলাম না। এবার সেটা হওয়ায় নিজের অবস্থানটা বুঝতে পারলাম। চেষ্টা করব এই খেলাটা ধরে রাখতে।
জনকণ্ঠ : সেরা খেলোয়াড় হলেন কিন্তু আপনার দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না। এ বিষয়টা কিভাবে দেখছেন?
মামুন : সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পর টিম চ্যাম্পিয়ন না হলে সেরা হওয়ার আনন্দ খুব একটা থাকে না। আর টিম চ্যাম্পিয়ন হলে সেই আনন্দ অনেক বেড়ে যায়। এটা সব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে অবশ্যই আনন্দটা অনেক বেশি হতো।
জনকণ্ঠ : লীগ নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
মামুন : এ বছর অনেক ভাল এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা লীগ হয়েছে। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইট চলেছে। আগের মৌসুমটাও ভাল হয়েছিল। সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে কোন টিমই অন্য টিমের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। অনেক বড় টিম ছোট দলের কাছে হেরেছে। আমরাও ছোট দলের কাছে হেরেছি। প্রতি বছর যদি লীগে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে এবং ফুটবল নিয়মিত মাঠে থাকে তাহলে ফুটবলের উন্নতি হবেই।
জনকণ্ঠ : লীগে কোন কোন দিকে উন্নতি প্রয়োজন?
মামুন : প্রথমত বিদেশীর কোটা কমাতে হবে এবং লীগের প্রচারটা বাড়াতে হবে। এবারের লীগে প্রতি দলে সাতজন করে বিদেশী খেলেছে। তাই কোটা সাত থেকে তিনে আনা উচিত। এতে দেশের চারটা খেলোয়াড় বেশি সুযোগ পাবে। অনেকে বলে আমাদের খেলোয়াড় নেই। আসলে খেলোয়াড় আছে কিন্তু তারা সুযোগ পাচ্ছে না। আর যেসব বিদেশি আমাদের দেখে খেলে তাদের কেউ কিন্তু উঁচুমানের ফুটবলার না। তাদের কাছ থেকে শেখার তেমন কিছুই নেই।
জনকণ্ঠ : লীগ হচ্ছে, টুর্নামেন্ট হচ্ছে, কিন্তু মাঠে দর্শক হচ্ছে না কেন?
মামুন : লম্বা লীগে আসলে দর্শক তেমন আসে না। তারপরও এবার দর্শক খারাপ হয়নি। আসলে ফুটবলটা মাঠে থাকতে হবে এবং আমাদের প্লেয়ারদের। ভালো খেলতে হবে।
জনকণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার অধিনায়কত্ব করলেন। অধিনায়কত্ব করাটা কেমন উপভোগ করলেন?
মামুন : আমি মূলত অধিনায়ক ছিলাম না। সহ-অধিনায়ক ছিলাম। কিন্তু আমাদের অধিনায়কের অনুপস্থিতির কারণে আমাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। খুব ভালো উপভোগ করেছি। খেলোয়াড় থেকে ম্যানেজমেন্ট সবাই সহযোগিতা করেছে। ক্লাব ফুটবলে এরকম অভিজ্ঞতা আমার এবারই প্রথম। চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে এরকম সুযোগ পেলে তা ভালভাবে পালন করার।
জনকণ্ঠ : ক্লাব ফুটবলে অধিনায়কত্ব করাটা তো একটু কঠিন। অনেক চাপও থাকে।
মামুন : ক্লাব ফুটবলে অধিনায়কত্ব করা কঠিন এটা আমি বলব না। আসলে সবাই রেজাল্ট চায়। রেজাল্ট খারাপ হলে অধিনায়ক, কোচ এবং কি সমর্থকদের চোখে ক্লাবও খারাপ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যদি সুন্দর বোঝাপড়া থাকে, দলে যদি গ্রুপিং না থাকে তাহলে এটা কোন কঠিন কাজ নয়।
জনকণ্ঠ : সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পর এখন আপনার লক্ষ্য কি?
মামুন : কখনোই সেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য খেলি না। টার্গেট থাকে ভালো ফুটবল খেলার। ক্লাবের হয়ে খেললে ক্লাব এবং দেশের হয়ে খেললে দেশের জন্য কিছু করার। এবার যেরকম খেলেছি, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব।
জনকণ্ঠ : আপনার ফুটবলার হয়ে ওঠার কথা বলুন?
মামুন : ছোট থেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আমার মামা ফুটবল খেলতেন। তাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। এক সময় বিকেএসপিতে ভর্তি হই। সেখান থেকেই ডাক পাই অনুর্ধ-১৭ দলে। এরপর ২০০৫ সালে ব্রাদার্সের মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে আমার ক্যারিয়ার শুরু। এভাবেই আজ এ পর্যন্ত।
জনকণ্ঠ : এ পর্যন্ত আমার পেছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি?
মামুন : অবশ্যই আমার বাবা-মা। তারা আমাকে ফুটবলার হতে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। না চাইতেই আমাকে অনেক দামী দামী বুট, জার্সি কিনে দিতেন। এখনো যে কোন খেলার আগে তারা আমার সব ধরনের খোঁজ নেন। এরপর আমি বলব আমার দুই কোচ অমল স্যার এবং বাবলু ভাইয়ের কথা। আজকে আমার এ পর্যন্ত আসার পেছনে তাদের অবদান অনেক।
জনকণ্ঠ : পেশাদার লীগে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি জানতে চাচ্ছি?
মামুন : অনুভূতি তো অবশ্যই ভালো এবং এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের ব্যাপার। দীর্ঘ সাত মাস একটা লীগে পারফর্ম করার পর লীগ শেষে এমন স্বীকৃতি পেলে যে কোন প্লেয়ারের কাছে সেটা ভালো লাগার বিষয় হবে। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। খুবই লাগছে।
জনকণ্ঠ : লীগ শুরুর আগে কি এরকম কোন ছিল?
মামুন : সেরা খেলোয়াড়ই হতে হবে এমন লক্ষ্য না থাকলেও লীগের সেরা পারফরমারদের একজন হওয়ার লক্ষ্য তো অবশ্যই ছিল। গত দুই-তিন মৌসুম যাবত ভাল পারফর্ম করে আসছি। কিন্তু সেভাবে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনের ব্যবস্থা না থাকায় নিজের অবস্থানটা বুঝতে পারছিলাম না। এবার সেটা হওয়ায় নিজের অবস্থানটা বুঝতে পারলাম। চেষ্টা করব এই খেলাটা ধরে রাখতে।
জনকণ্ঠ : সেরা খেলোয়াড় হলেন কিন্তু আপনার দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না। এ বিষয়টা কিভাবে দেখছেন?
মামুন : সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পর টিম চ্যাম্পিয়ন না হলে সেরা হওয়ার আনন্দ খুব একটা থাকে না। আর টিম চ্যাম্পিয়ন হলে সেই আনন্দ অনেক বেড়ে যায়। এটা সব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে অবশ্যই আনন্দটা অনেক বেশি হতো।
জনকণ্ঠ : লীগ নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
মামুন : এ বছর অনেক ভাল এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা লীগ হয়েছে। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইট চলেছে। আগের মৌসুমটাও ভাল হয়েছিল। সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে কোন টিমই অন্য টিমের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। অনেক বড় টিম ছোট দলের কাছে হেরেছে। আমরাও ছোট দলের কাছে হেরেছি। প্রতি বছর যদি লীগে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে এবং ফুটবল নিয়মিত মাঠে থাকে তাহলে ফুটবলের উন্নতি হবেই।
জনকণ্ঠ : লীগে কোন কোন দিকে উন্নতি প্রয়োজন?
মামুন : প্রথমত বিদেশীর কোটা কমাতে হবে এবং লীগের প্রচারটা বাড়াতে হবে। এবারের লীগে প্রতি দলে সাতজন করে বিদেশী খেলেছে। তাই কোটা সাত থেকে তিনে আনা উচিত। এতে দেশের চারটা খেলোয়াড় বেশি সুযোগ পাবে। অনেকে বলে আমাদের খেলোয়াড় নেই। আসলে খেলোয়াড় আছে কিন্তু তারা সুযোগ পাচ্ছে না। আর যেসব বিদেশি আমাদের দেখে খেলে তাদের কেউ কিন্তু উঁচুমানের ফুটবলার না। তাদের কাছ থেকে শেখার তেমন কিছুই নেই।
জনকণ্ঠ : লীগ হচ্ছে, টুর্নামেন্ট হচ্ছে, কিন্তু মাঠে দর্শক হচ্ছে না কেন?
মামুন : লম্বা লীগে আসলে দর্শক তেমন আসে না। তারপরও এবার দর্শক খারাপ হয়নি। আসলে ফুটবলটা মাঠে থাকতে হবে এবং আমাদের প্লেয়ারদের। ভালো খেলতে হবে।
জনকণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার অধিনায়কত্ব করলেন। অধিনায়কত্ব করাটা কেমন উপভোগ করলেন?
মামুন : আমি মূলত অধিনায়ক ছিলাম না। সহ-অধিনায়ক ছিলাম। কিন্তু আমাদের অধিনায়কের অনুপস্থিতির কারণে আমাকে এই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। খুব ভালো উপভোগ করেছি। খেলোয়াড় থেকে ম্যানেজমেন্ট সবাই সহযোগিতা করেছে। ক্লাব ফুটবলে এরকম অভিজ্ঞতা আমার এবারই প্রথম। চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে এরকম সুযোগ পেলে তা ভালভাবে পালন করার।
জনকণ্ঠ : ক্লাব ফুটবলে অধিনায়কত্ব করাটা তো একটু কঠিন। অনেক চাপও থাকে।
মামুন : ক্লাব ফুটবলে অধিনায়কত্ব করা কঠিন এটা আমি বলব না। আসলে সবাই রেজাল্ট চায়। রেজাল্ট খারাপ হলে অধিনায়ক, কোচ এবং কি সমর্থকদের চোখে ক্লাবও খারাপ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যদি সুন্দর বোঝাপড়া থাকে, দলে যদি গ্রুপিং না থাকে তাহলে এটা কোন কঠিন কাজ নয়।
জনকণ্ঠ : সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পর এখন আপনার লক্ষ্য কি?
মামুন : কখনোই সেরা খেলোয়াড় হওয়ার জন্য খেলি না। টার্গেট থাকে ভালো ফুটবল খেলার। ক্লাবের হয়ে খেললে ক্লাব এবং দেশের হয়ে খেললে দেশের জন্য কিছু করার। এবার যেরকম খেলেছি, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব।
জনকণ্ঠ : আপনার ফুটবলার হয়ে ওঠার কথা বলুন?
মামুন : ছোট থেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আমার মামা ফুটবল খেলতেন। তাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। এক সময় বিকেএসপিতে ভর্তি হই। সেখান থেকেই ডাক পাই অনুর্ধ-১৭ দলে। এরপর ২০০৫ সালে ব্রাদার্সের মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে আমার ক্যারিয়ার শুরু। এভাবেই আজ এ পর্যন্ত।
জনকণ্ঠ : এ পর্যন্ত আমার পেছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি?
মামুন : অবশ্যই আমার বাবা-মা। তারা আমাকে ফুটবলার হতে নানাভাবে সাহায্য করেছেন। না চাইতেই আমাকে অনেক দামী দামী বুট, জার্সি কিনে দিতেন। এখনো যে কোন খেলার আগে তারা আমার সব ধরনের খোঁজ নেন। এরপর আমি বলব আমার দুই কোচ অমল স্যার এবং বাবলু ভাইয়ের কথা। আজকে আমার এ পর্যন্ত আসার পেছনে তাদের অবদান অনেক।
No comments