বৈষম্য প্রতিরোধে দক্ষিণ এশীয় নারী এমপিদের অঙ্গীকার

নারীর প্রতি সকল বৈষম্য প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার গ্রহণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশীয় নারী সংসদ সদস্যদের মতবিনিময়সভা শেষ হয়েছে। সভায় উপস্থিত সংসদ সদস্যরা নারী নির্যাতন বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন।


মঙ্গলবার জ্তাীয় সংসদ ভবনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় নারী সংসদ সদস্যদের মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘ওমেন লিডিং ফর জেন্ডার রেসপন্সিভ গবর্ন্যান্স’ শীর্ষক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। সভায় কমিটির সদস্য ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, সিরাজুল আকবর, জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান ও রেবেকা মমিনসহ বাংলাদেশের ১৩ জন এবং পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের ২৫ নারী সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় সাউথ এশিয়ান ওমেন পার্লামেন্টারিয়ান সেক্রেটারি গঠনের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।
সভা শেষে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেসব্রিফিংয়ে কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীদের অধিকার নিশ্চিতে বর্তমান সরকার খুবই আন্তরিক। এরই ধারাবাহিকতায় মাতৃত্বকালীন ছুটি ৪ মাস থেকে ৬ মাস করা হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারীর প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে। এত কিছুর পরও নারীর ওপর নির্যাতন এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এখনও নির্যাতিত হচ্ছে দেশের গ্রামাঞ্চলসহ সর্বত্র নারীরা। সভায় নারী নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সকল বৈষম্য প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
অর্থনীতিতে নারীরা অবদান রাখছে। কিন্তু নারীদের অধিকার সম্পর্কে মানুষের সচেতনতার অভাবের কারণে তা সঠিকভাবে উঠে আসে না উল্লেখ করে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, গার্মেন্টস শিল্পে নারীরা বিশেষ অবদান রাখছে। এছাড়াও অন্যান্য সেক্টরে নারীদের অভূতপূর্ব প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। বর্তমান জাতীয় সংসদেও তার উদাহরণ রয়েছে।
সভায় নারীর অবদানকে তুলে ধরার পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য প্রতিরোধে কাজ করতে দক্ষিণ এশিয়ার নারী সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

No comments

Powered by Blogger.