পর্দা উঠল বিশ্বকাপের
পর্দা উঠল বিশ্বকাপের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দশম আসরের উদ্বোধন ঘোষণা করলেন। অন্য এক বাংলাদেশকে চিনবে বিশ্ব। যেখানে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের একটি নেতিবাচক পরিচিতি ছিল, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক হিসেবে নতুন এক বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচিত হবে বিশ্ব।
বাংলাদেশে এখন ক্রিকেট অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের ভেতর দিয়ে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয় অনেক আগে থেকেই। ঢাকা ও চট্টগ্রামের স্টেডিয়াম তৈরি। সারা দেশে বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশ দলের জার্সি। ফুটপাতের দোকান, গলির ছোট বুটিক হাউস থেকে শুরু করে বড় বড় বুটিক হাউসও তৈরি করেছে জার্সি ও বিশেষ টি-শার্ট। একটা হিসাব অনুযায়ী বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিক্রি হবে ৪০০ কোটি টাকার ক্রিকেট পোশাক। সমর্থকরা পরবেন এই পোশাক। প্রিয় দলের পোশাক পরে মাঠে উপস্থিত থেকে দলকে সমর্থন দেবেন দর্শকরা। গার্মেন্ট-পল্লীতে চলছে ক্রিকেট পোশাক তৈরির ধুম। সমর্থকদের মধ্যে ক্যাপ, জার্সি, ট্রাউজার ও বিশেষ টুপি কেনার প্রতিযোগিতা চলছে। ওদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেলগুলো বাড়তি মুনাফা গুনতে শুরু করেছে। ঢাকার বড় বড় হোটেল সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। নতুন সাজে সেজেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম। রাজধানীর রাস্তাগুলো রাতের আলোয় আলোকময়। বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলাকালে রাস্তাঘাট যাতে যানজটমুক্ত থাকে, তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুরনো গাড়ি রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের অন্য পরিচিতি তুলে ধরতেই সম্ভব সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সাজানো হয় নতুন করে। বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব বা 'প্রি শো'। বাংলাদেশের আট জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকা গাইলেন তাঁদের জনপ্রিয় আটটি গান। সন্ধ্যায় ছিল অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব বা 'মেইন শো'। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১৪ দেশের অধিনায়কদের ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রিকশায় বয়ে আনেন ১৪ রিকশাচালক। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে দর্শকদের কাছে মূর্ত হয়ে ওঠে ক্রিকেটের বিশেষ কিছু মুহূর্ত। কালার অব সেলিব্রেশনে ফুটিয়ে তোলা হয় উপমহাদেশের আয়োজক তিন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন বিশ্বসংগীতের তারকা ব্রায়ান অ্যাডামস। সবশেষে শংকর-এহসান-লয় গেয়ে শোনান দশম বিশ্বকাপের থিম সঙ 'দে ঘুমাকে'।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট এখন সবার আলোচনায়। দেশে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এ ক্রীড়ানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই প্রমাণ করবে তার যোগ্যতা। পৃথিবী অবাক তাকিয়ে থাকবে এ দেশের দিকে। শনিবার বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে। দেশের ক্রিকেট নিয়ে আমাদের অনেক আশা। বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে। নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে নিয়ে এখন অনেক স্বপ্ন। এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ সে স্বপ্ন পূরণ করবে_এটাই কামনা।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সাজানো হয় নতুন করে। বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব বা 'প্রি শো'। বাংলাদেশের আট জনপ্রিয় গায়ক-গায়িকা গাইলেন তাঁদের জনপ্রিয় আটটি গান। সন্ধ্যায় ছিল অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব বা 'মেইন শো'। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১৪ দেশের অধিনায়কদের ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রিকশায় বয়ে আনেন ১৪ রিকশাচালক। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে দর্শকদের কাছে মূর্ত হয়ে ওঠে ক্রিকেটের বিশেষ কিছু মুহূর্ত। কালার অব সেলিব্রেশনে ফুটিয়ে তোলা হয় উপমহাদেশের আয়োজক তিন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন বিশ্বসংগীতের তারকা ব্রায়ান অ্যাডামস। সবশেষে শংকর-এহসান-লয় গেয়ে শোনান দশম বিশ্বকাপের থিম সঙ 'দে ঘুমাকে'।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট এখন সবার আলোচনায়। দেশে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এ ক্রীড়ানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই প্রমাণ করবে তার যোগ্যতা। পৃথিবী অবাক তাকিয়ে থাকবে এ দেশের দিকে। শনিবার বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবে। দেশের ক্রিকেট নিয়ে আমাদের অনেক আশা। বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে। নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে নিয়ে এখন অনেক স্বপ্ন। এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ সে স্বপ্ন পূরণ করবে_এটাই কামনা।
No comments