‘লস্কর-ই-তাইয়েবা সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’

আল-কায়েদা নয়, বরং পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়েবা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক বিশ্লেষক ব্রুস রিয়েডেল এমন মন্তব্য করেছেন। পাকিস্তানি সমর্থকদের সহযোগিতায় লস্কর-ই-তাইয়েবা এ অবস্থানে উঠে এসেছে বলে তিনি মনে করেন।


ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ব্রুস মনে করেন, ২০০৮ সালের নভেম্বরে ভারতের মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থাপনায় লস্কর-ই-তাইয়েবার হামলা ছিল ৯/১১-এর পর কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সবচেয়ে সুসংগঠিত ও অভিনব হামলা। দ্য ডেইলি বিস্ট-এ প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে সিআইএর সাবেক এই বিশ্লেষক এমন মন্তব্য করেন।
ব্রুস লিখেছেন, মুম্বাই হামলা পাঞ্জাবভিত্তিক পাকিস্তানি এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে আল-কায়েদার মতোই বিশ্বমানের একটি ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী হিসেবে প্রমাণ করে। আল-কায়েদা যেমন ইসলামের শত্রু হিসেবে পশ্চিমা বিশ্ব, ইসরায়েল ও ভারতকে বিবেচনা করে এসব অঞ্চলকে হামলার মূল লক্ষ্য করেছে, লস্কর-ই-তাইয়েবাও একই কারণে এসব অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে।
ব্রুস লিখেছেন, মুম্বাই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী সাঈদ জাবিউদ্দিন আনসারিকে গ্রেপ্তার করতে পারাটা ছিল ৯/১১-এর পর কোনো সন্ত্রাসী হামলার তদন্তকাজে বড় ধরনের একটি অগ্রগতি। এই জঙ্গি এরই মধ্যে মুম্বাই হামলায় তাঁর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি হামলাটি পরিচালনার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের জড়িত থাকার কথাও জানিয়েছেন। ব্রুস বলেন, সাঈদের এই সাক্ষ্য যদি সত্যি হয়, তবে বোঝা যাচ্ছে যে মুম্বাইয়ে মার্কিনদের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত আইএসআই-ই নিয়েছিল।
ব্রুস লিখেছেন, পাকিস্তানে লস্কর-ই-তাইয়েবা আইএসআই ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিজেদের কার্যক্রম ভালোভাবেই চালিয়ে আসছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকাসহ মোটামুটি সারা বিশ্বেই জঙ্গিগোষ্ঠীটির শাখা বিস্তৃত হয়েছে। পিটিআই।

No comments

Powered by Blogger.