‘ফেড এক্সপ্রেস’ এখনও... by মোঃ রায়হান কবির
সাফল্য নামের ঘোড়াটা দুর্দান্তভাবেই ছুটে চলছিল। রেসে বিজয়ী হচ্ছিল একের পর এক। কিন্তু হঠাৎ করে কী হলো, শুরুটা ভাল করেও শেষ পর্যায়ে এসে কী এক অজানা কারণে বার বার পর্যবসিত হচ্ছিল ব্যর্থতায়। সবাই ধরে নিল, ঘোড়ার দৌড়ের কারিশমা বুঝি শেষ।
কিন্তু সবার এ ধারণা যে ভুল, সেটা প্রমাণ করে দিল ‘ফেড এক্সপ্রেস’ নামের এ ঘোড়া। পাঠক নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন, বলা হচ্ছে টেনিসের মহাতারকা সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরারের কথা।
সর্বশেষ ৭৬ বছর আগে কোন ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জিতেছিলেন ফ্রেড পেরি। তার পর ওই সুযোগটা দ্বিতীয়বারের মতো পেয়েছিলেন বিশ্বের ৪ নম্বর টেনিস তারকা এ্যান্ডি মারে। তবে ইতিহাস স্পর্শ করার জন্য যতটা দুরন্ত হয়ে ওঠা জরুরী ছিল সেটা পারেননি মারে। বরং ৩০ বছর বয়সী সুইস তারকা ফেদেরারের দুর্দমনীয় গতির কাছে সহজেই নতি স্বীকার করতে হয় ব্রিটিশ তারকা মারেকে। রবিবার রাতে উইম্বলডন টেনিসের ফাইনালে ফেদেরার ৪-৬, ৭-৫, ৬-৩ ও ৬-৪ সেটে হারিয়ে জেতেন এ আসরে নিজের সপ্তম শিরোপা। একই সঙ্গে আবারও ফিরে পান এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর আসনটি। হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক টেনিস তারকা পিট সাম্প্রাস ও উইলিয়াম রেনশোর রেকর্ডের অংশীদার। উভয়েই ৭ বার করে উইম্বলডন জিতেছিলেন। সেই সঙ্গে এ নিয়ে মোট ১৭টি গ্র্যান্ডসøাম শিরোপাও উঠল ফেদেরারের হাতে। অপরদিকে ১৯৩৮ সালে বানি অস্টিনের পর দ্বিতীয় ব্রিটিশ খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মারেকে। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত একাধিপত্য ধরে রেখেছিলেন ফেদেরার। এর পর এক বছর বিরতি দিয়ে আবারও জিতেছিলেন ২০০৯ সালের উইম্বলডন। তবে ২০১০ ও ২০১১ সালে কোয়ার্টার ফাইনালের গ-িই পেরোতে পারেননি তিনি। কিন্তু এবারের উইম্বলডনে ‘ফেড এক্সপ্রেসে’র ঝড়োগতির সামনে উড়ে গেছেন প্রতিপক্ষরা। সেমিতে সবচেয়ে শক্ত বাধা বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা সার্বিয়ান নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন ফেদেরার। রবিবার রাতে অবশ্য উজ্জীবিত মারে নিজের পরিচিত পরিবেশে ফেদেরারকে চমকে দিয়ে প্রথম সেট ৬-৪ গেমে জিতে যান। মারের ফাইনাল লড়াইয়ের গল্প ওই পর্যন্তই। দ্বিতীয় সেটে কিছুটা লড়ে ৭-৫ গেমে হারলেও পরবর্তী দু’টি সেটে তাঁকে মাথাচাড়া দিতে দেননি ফেদেরার। সহজেই জিতে নেন পরের দু’টি সেট। পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি মারে। ফলে নিজের প্রথম উইম্বলডন ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। রানার্সআপ হিসেবে তিনি পান সাড়ে ৬ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড প্রাইজমানি। আর ফেদেরার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পান ১১ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড প্রাইজমানি। প্রায় দুই বছর পর পুনরুদ্ধার করলেন হারানো শীর্ষস্থান। ৩০ বা এর চেয়ে বেশি বয়সী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উইম্বলডন জিতলেন ফেদেরার। এর আগে ১৯৬৯ সালে ৩১ ছুঁই ছুঁই রড লেভার আর ১৯৭৫ সালে ৩২তম জন্মদিনের মাত্র ৫ দিন আগে আর্থার এ্যাশ জিতেছিলেন এ মর্যাদার গ্র্যান্ডসøাম।
ম্যাচ হারের পর উত্তর ঠিক মতো দিতে পারছিলেন না এ্যান্ডি মারে। মারের কান্না ছুঁয়ে যায় সবাইকে। ব্রিটিশ স্বপ্নভঙ্গ করে ফেদেরারও সেই আবেগে ভেসে যান। আসলে আবেগ তো তাঁকে ঘিরেও ছিল। ২০১০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর আড়াই বছর কেটে গিয়েছিল রজার গ্র্যান্ডসøাম জিততে পারেননি। তাই অনেকেই ৩১ বছরের ফেদেরারকে খেলা ছেড়ে দিতে বলেছিলেন। ফেদেরার শুধু বলেছিলেন, আমি পারব। সেটাই করে দেখান রবিবার। ঐতিহ্যের সেন্টার কোর্টে প্রথম সেটে হেরে গিয়েও যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হলেন, তা লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। ১৭ গ্র্যান্ডসøাম জেতা হয়ে গেল কিংবদন্তি রজারের। উইম্বলডনে সাত বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে একদিকে তাঁর আদর্শের পিট সাম্প্রাসকে ছুঁয়ে ফেললেন, অন্যদিকে আবার এক নম্বর আসন ফিরে পেলেন। শৈশবের হিরো পিটকে ছুঁতে পেরে গর্বিত ফেদেরার। মারের জন্য তাঁর মুখে উঠে এলো সান্ত¡নাবাক্য, ‘আমি প্রার্থনা করছি, একটা গ্র্যান্ডসøাম যেন ওর ক্যারিয়ারে অর্জিত হয়। এ টুর্নামেন্টে খুব ভাল টেনিস খেলেছে ও। টেনিস নিবেদিতপ্রাণ। আমি আবার বলছি, ভবিষ্যতে একটা গ্র্যান্ডসøাম অন্তত ওর প্রাপ্য।’ তাঁর প্রতিপক্ষের জন্য যে সেন্টার কোর্ট কাঁদছে, ম্যাচ শেষে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে যেভাবে সবার চোখে জল, সেই প্রশ্ন স্বভাবতই করা হলো সাত বারের চ্যাম্পিয়নকে। জানতেন, মারের ওপর কতটা চাপ আছে। গোটা ব্রিটেন ওর জয় চেয়েছিল? ‘সত্যি কথা বলতে গেলে আমি কাগজ পড়ি না। কাজেই বলতে পারব না।’ উদাসীন উত্তর সুইস-মেশিনের। তার আগে সেন্টার কোর্ট দেখেছে সেই আবেগঘন করুণ দৃশ্য। যখন মাইক হাতে দাঁড়িয়ে স্তব্ধ মারে। কী বলবেন, কী বলা উচিত, কী বললে সবাই সান্ত¡না পাবে বুঝে উঠতে পারছেন না। কথা হারিয়ে গেছে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুধারা। ভিআইপি গ্যালারিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন বান্ধবী। কোনরকমে চোখ মুছে নিজেকে সামলে মারে যখন বললেন, ‘আমি আবার চেষ্টা করব। খুব কাছে এসেছিলাম...।’ হাততালির বন্যায় ভেসে গেল সেন্টার কোর্ট। তার পর চ্যাম্পিয়নকে কুর্নিশ। মারে বললেন, ‘আমি জানতাম এটাই আমার সেরা সুযোগ। কিন্তু রজার বড্ড ভাল। একজন তিরিশ বছরের লোক যে এমন অসাধারণ টেনিস খেলতে পারেন, ভাবাই যায় না। না রজার, তোমার বয়সটা মোটেই তিরিশ না!’ তার পরই মাথা নত করে, ‘অভিনন্দন। রজার, তুমি যোগ্য হিসেবেই জিতেছ।’
রবিবারের ফাইনালে আবেগ ছুঁয়ে গেছে ফেদেরারকেও। জিতে ওঠার মুহূর্তে তাঁর চোখেও তো চিকচিক করেছে জল। আনন্দ অশ্রু। না হলে কেন বলবেন, ‘আমার জীবনের সেরা কয়েকটা ম্যাচ এই টুর্নামেন্টে খেললাম। বরাবর উইম্বলডনে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে আমার খেলা খোলে। এখানে সবকিছু আমার এত পরিচিত। তিন বছর পর ট্রফি হাতে কোর্ট ছাড়তে দারুণ ভাল লাগছে।’ সাম্প্রাসকে ছুঁয়ে কেমন লাগছে? হাসলেন ফেদেরার, ‘কিভাবে ব্যাখ্যা করি বলুন তো?
সর্বশেষ ৭৬ বছর আগে কোন ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জিতেছিলেন ফ্রেড পেরি। তার পর ওই সুযোগটা দ্বিতীয়বারের মতো পেয়েছিলেন বিশ্বের ৪ নম্বর টেনিস তারকা এ্যান্ডি মারে। তবে ইতিহাস স্পর্শ করার জন্য যতটা দুরন্ত হয়ে ওঠা জরুরী ছিল সেটা পারেননি মারে। বরং ৩০ বছর বয়সী সুইস তারকা ফেদেরারের দুর্দমনীয় গতির কাছে সহজেই নতি স্বীকার করতে হয় ব্রিটিশ তারকা মারেকে। রবিবার রাতে উইম্বলডন টেনিসের ফাইনালে ফেদেরার ৪-৬, ৭-৫, ৬-৩ ও ৬-৪ সেটে হারিয়ে জেতেন এ আসরে নিজের সপ্তম শিরোপা। একই সঙ্গে আবারও ফিরে পান এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর আসনটি। হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক টেনিস তারকা পিট সাম্প্রাস ও উইলিয়াম রেনশোর রেকর্ডের অংশীদার। উভয়েই ৭ বার করে উইম্বলডন জিতেছিলেন। সেই সঙ্গে এ নিয়ে মোট ১৭টি গ্র্যান্ডসøাম শিরোপাও উঠল ফেদেরারের হাতে। অপরদিকে ১৯৩৮ সালে বানি অস্টিনের পর দ্বিতীয় ব্রিটিশ খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মারেকে। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত একাধিপত্য ধরে রেখেছিলেন ফেদেরার। এর পর এক বছর বিরতি দিয়ে আবারও জিতেছিলেন ২০০৯ সালের উইম্বলডন। তবে ২০১০ ও ২০১১ সালে কোয়ার্টার ফাইনালের গ-িই পেরোতে পারেননি তিনি। কিন্তু এবারের উইম্বলডনে ‘ফেড এক্সপ্রেসে’র ঝড়োগতির সামনে উড়ে গেছেন প্রতিপক্ষরা। সেমিতে সবচেয়ে শক্ত বাধা বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা সার্বিয়ান নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন ফেদেরার। রবিবার রাতে অবশ্য উজ্জীবিত মারে নিজের পরিচিত পরিবেশে ফেদেরারকে চমকে দিয়ে প্রথম সেট ৬-৪ গেমে জিতে যান। মারের ফাইনাল লড়াইয়ের গল্প ওই পর্যন্তই। দ্বিতীয় সেটে কিছুটা লড়ে ৭-৫ গেমে হারলেও পরবর্তী দু’টি সেটে তাঁকে মাথাচাড়া দিতে দেননি ফেদেরার। সহজেই জিতে নেন পরের দু’টি সেট। পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি মারে। ফলে নিজের প্রথম উইম্বলডন ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হিসেবেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। রানার্সআপ হিসেবে তিনি পান সাড়ে ৬ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড প্রাইজমানি। আর ফেদেরার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পান ১১ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড প্রাইজমানি। প্রায় দুই বছর পর পুনরুদ্ধার করলেন হারানো শীর্ষস্থান। ৩০ বা এর চেয়ে বেশি বয়সী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে উইম্বলডন জিতলেন ফেদেরার। এর আগে ১৯৬৯ সালে ৩১ ছুঁই ছুঁই রড লেভার আর ১৯৭৫ সালে ৩২তম জন্মদিনের মাত্র ৫ দিন আগে আর্থার এ্যাশ জিতেছিলেন এ মর্যাদার গ্র্যান্ডসøাম।
ম্যাচ হারের পর উত্তর ঠিক মতো দিতে পারছিলেন না এ্যান্ডি মারে। মারের কান্না ছুঁয়ে যায় সবাইকে। ব্রিটিশ স্বপ্নভঙ্গ করে ফেদেরারও সেই আবেগে ভেসে যান। আসলে আবেগ তো তাঁকে ঘিরেও ছিল। ২০১০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর আড়াই বছর কেটে গিয়েছিল রজার গ্র্যান্ডসøাম জিততে পারেননি। তাই অনেকেই ৩১ বছরের ফেদেরারকে খেলা ছেড়ে দিতে বলেছিলেন। ফেদেরার শুধু বলেছিলেন, আমি পারব। সেটাই করে দেখান রবিবার। ঐতিহ্যের সেন্টার কোর্টে প্রথম সেটে হেরে গিয়েও যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হলেন, তা লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়। ১৭ গ্র্যান্ডসøাম জেতা হয়ে গেল কিংবদন্তি রজারের। উইম্বলডনে সাত বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে একদিকে তাঁর আদর্শের পিট সাম্প্রাসকে ছুঁয়ে ফেললেন, অন্যদিকে আবার এক নম্বর আসন ফিরে পেলেন। শৈশবের হিরো পিটকে ছুঁতে পেরে গর্বিত ফেদেরার। মারের জন্য তাঁর মুখে উঠে এলো সান্ত¡নাবাক্য, ‘আমি প্রার্থনা করছি, একটা গ্র্যান্ডসøাম যেন ওর ক্যারিয়ারে অর্জিত হয়। এ টুর্নামেন্টে খুব ভাল টেনিস খেলেছে ও। টেনিস নিবেদিতপ্রাণ। আমি আবার বলছি, ভবিষ্যতে একটা গ্র্যান্ডসøাম অন্তত ওর প্রাপ্য।’ তাঁর প্রতিপক্ষের জন্য যে সেন্টার কোর্ট কাঁদছে, ম্যাচ শেষে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে যেভাবে সবার চোখে জল, সেই প্রশ্ন স্বভাবতই করা হলো সাত বারের চ্যাম্পিয়নকে। জানতেন, মারের ওপর কতটা চাপ আছে। গোটা ব্রিটেন ওর জয় চেয়েছিল? ‘সত্যি কথা বলতে গেলে আমি কাগজ পড়ি না। কাজেই বলতে পারব না।’ উদাসীন উত্তর সুইস-মেশিনের। তার আগে সেন্টার কোর্ট দেখেছে সেই আবেগঘন করুণ দৃশ্য। যখন মাইক হাতে দাঁড়িয়ে স্তব্ধ মারে। কী বলবেন, কী বলা উচিত, কী বললে সবাই সান্ত¡না পাবে বুঝে উঠতে পারছেন না। কথা হারিয়ে গেছে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুধারা। ভিআইপি গ্যালারিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন বান্ধবী। কোনরকমে চোখ মুছে নিজেকে সামলে মারে যখন বললেন, ‘আমি আবার চেষ্টা করব। খুব কাছে এসেছিলাম...।’ হাততালির বন্যায় ভেসে গেল সেন্টার কোর্ট। তার পর চ্যাম্পিয়নকে কুর্নিশ। মারে বললেন, ‘আমি জানতাম এটাই আমার সেরা সুযোগ। কিন্তু রজার বড্ড ভাল। একজন তিরিশ বছরের লোক যে এমন অসাধারণ টেনিস খেলতে পারেন, ভাবাই যায় না। না রজার, তোমার বয়সটা মোটেই তিরিশ না!’ তার পরই মাথা নত করে, ‘অভিনন্দন। রজার, তুমি যোগ্য হিসেবেই জিতেছ।’
রবিবারের ফাইনালে আবেগ ছুঁয়ে গেছে ফেদেরারকেও। জিতে ওঠার মুহূর্তে তাঁর চোখেও তো চিকচিক করেছে জল। আনন্দ অশ্রু। না হলে কেন বলবেন, ‘আমার জীবনের সেরা কয়েকটা ম্যাচ এই টুর্নামেন্টে খেললাম। বরাবর উইম্বলডনে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে আমার খেলা খোলে। এখানে সবকিছু আমার এত পরিচিত। তিন বছর পর ট্রফি হাতে কোর্ট ছাড়তে দারুণ ভাল লাগছে।’ সাম্প্রাসকে ছুঁয়ে কেমন লাগছে? হাসলেন ফেদেরার, ‘কিভাবে ব্যাখ্যা করি বলুন তো?
No comments