পবিত্র কোরআনের আলো-রোজ হাশরে গুনাহগারদের স্তরে না ফেলার প্রার্থনা
১৯৩. রাব্বা-না ইন্নানা ছামি'না মুনা-দিইয়্যাইঁ ইউনা-দী লিলঈমা-নি আন আ-মিনূ বিরাবি্বকুম ফাআ-মান্না-; রাব্বা-না ফাগ্ফিরলানা যুনূবানা ওয়া কাফ্ফির আ'ন্না ছায়্যিআ-তিনা ওয়াতাওফ্ফানা মাআ'ল আবরা-র।১৯৪. রাব্বা-না ওয়া আ-তিনা মা ওয়া আ'দ্তানা আ'লা রুসুলিকা ওয়ালা-তুখযিনা ইয়াওমাল কি্বইয়া-মাতি; ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মীআ'-দ।
[সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯৩-১৯৪]
অনুবাদ
১৯৩. হে প্রভু! আমরা শুনছি একজন আহ্বানকারী অর্থাৎ রাসুল মুহাম্মদ (সা.) আমাদেরকে ইমানের দিকে ডাকছেন এই বলে যে, তোমরা তোমাদের প্রভু আল্লাহর ওপর ইমান আনো। অতঃপর আমরা ইমান আনলাম। হে প্রভু, তুমি আমাদের অপরাধ ও ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো মাফ করে দাও। তুমি আমাদের দোষত্রুটি ও গুনাহগুলো মুছে দাও এবং নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দান করো।
১৯৪. হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি তোমার নবী-রাসুলদের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, তা আমাদের দান করো এবং কিয়ামতের দিন তুমি আমাদের অপমানিত করো না। নিশ্চয়ই তুমি কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করো না।
ব্যাখ্যা
এই আয়াত দুটিতে আল্লাহ তায়ালা নেক বান্দাদের মুনাজাতের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। সে সব বান্দা এভাবেই আল্লাহর কাছে আত্মনিবেদন করে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা শুনেছি, একজন আহ্বানকারী অর্থাৎ তোমার রাসুল মুহাম্মদ (সা.) আমাদেরকে ইমানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলছেন, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ওপর ইমান আনো। অতঃপর আমরা ইমান আনলাম। অর্থাৎ আল্লাহর একত্ব ও সার্বভৌমত্বের ওপর এবং তার রাসুলের রিসালাতের ওপর পূর্ণ ইমান এনেছি। এখানে ইমান বলতে কেবল তৌহিদের কালেমা পাঠ বা বিশ্বাস ধারণকেই বোঝানো হয়নি। ইমান বলতে এখানে ইমান ও আমল দুটোই বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ সেই আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছি এবং তাঁর প্রদর্শিত দ্বীন তথা সত্য ও ন্যায়ের ওপর অবস্থান নিয়েছি। অতএব হে প্রভু, তুমি আমাদের অতীতের সব গুনাহখাতা মাফ করে দাও। তুমি আমাদের আমলনামা থেকে আমাদের খারাপ কাজগুলো মুছে দাও এবং ইমান ও নেক আমলের সঙ্গে জীবনের সমাপ্তি ঘটানোর সুযোগ দাও। অর্থাৎ আমরা যেন নেককারদের দলভুক্ত হয়ে মরতে পারি সে সুযোগ দান করো। এ সব নেককার লোকের আলামত হলো তারা আরো বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি তোমার রাসুলের মাধ্যমে আমাদের যে নিয়ামত প্রদানের অঙ্গীকার করেছ তা প্রদান করো, আর রোজ কিয়ামতের দিন তুমি আমাদের অপমানিত করো না। অর্থাৎ রোজ কিয়ামতের দিন মানুষকে কয়েক স্তরে ভাগ করা হবে, এর এক স্তর হলো গুনাহগার মুমেনদের স্তর, যাদেরকে তাদের পাপের কারণে শাস্তি দিয়ে লাঞ্ছনা উপভোগ করিয়ে এরপর জান্নাতে নেওয়া হবে। এখানে মুনাজাত করা হচ্ছে, এই স্তরে যেন আমাদের না ফেলা হয়। আল্লাহ তার খাস বান্দাদের রোজ হাশরের দিন অপমানিত করবেন না। আমরা যেন তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হই, সে প্রার্থনা করা হচ্ছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ
১৯৩. হে প্রভু! আমরা শুনছি একজন আহ্বানকারী অর্থাৎ রাসুল মুহাম্মদ (সা.) আমাদেরকে ইমানের দিকে ডাকছেন এই বলে যে, তোমরা তোমাদের প্রভু আল্লাহর ওপর ইমান আনো। অতঃপর আমরা ইমান আনলাম। হে প্রভু, তুমি আমাদের অপরাধ ও ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো মাফ করে দাও। তুমি আমাদের দোষত্রুটি ও গুনাহগুলো মুছে দাও এবং নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দান করো।
১৯৪. হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি তোমার নবী-রাসুলদের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, তা আমাদের দান করো এবং কিয়ামতের দিন তুমি আমাদের অপমানিত করো না। নিশ্চয়ই তুমি কখনো ওয়াদার বরখেলাপ করো না।
ব্যাখ্যা
এই আয়াত দুটিতে আল্লাহ তায়ালা নেক বান্দাদের মুনাজাতের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। সে সব বান্দা এভাবেই আল্লাহর কাছে আত্মনিবেদন করে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা শুনেছি, একজন আহ্বানকারী অর্থাৎ তোমার রাসুল মুহাম্মদ (সা.) আমাদেরকে ইমানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলছেন, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ওপর ইমান আনো। অতঃপর আমরা ইমান আনলাম। অর্থাৎ আল্লাহর একত্ব ও সার্বভৌমত্বের ওপর এবং তার রাসুলের রিসালাতের ওপর পূর্ণ ইমান এনেছি। এখানে ইমান বলতে কেবল তৌহিদের কালেমা পাঠ বা বিশ্বাস ধারণকেই বোঝানো হয়নি। ইমান বলতে এখানে ইমান ও আমল দুটোই বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ সেই আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছি এবং তাঁর প্রদর্শিত দ্বীন তথা সত্য ও ন্যায়ের ওপর অবস্থান নিয়েছি। অতএব হে প্রভু, তুমি আমাদের অতীতের সব গুনাহখাতা মাফ করে দাও। তুমি আমাদের আমলনামা থেকে আমাদের খারাপ কাজগুলো মুছে দাও এবং ইমান ও নেক আমলের সঙ্গে জীবনের সমাপ্তি ঘটানোর সুযোগ দাও। অর্থাৎ আমরা যেন নেককারদের দলভুক্ত হয়ে মরতে পারি সে সুযোগ দান করো। এ সব নেককার লোকের আলামত হলো তারা আরো বলে, হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি তোমার রাসুলের মাধ্যমে আমাদের যে নিয়ামত প্রদানের অঙ্গীকার করেছ তা প্রদান করো, আর রোজ কিয়ামতের দিন তুমি আমাদের অপমানিত করো না। অর্থাৎ রোজ কিয়ামতের দিন মানুষকে কয়েক স্তরে ভাগ করা হবে, এর এক স্তর হলো গুনাহগার মুমেনদের স্তর, যাদেরকে তাদের পাপের কারণে শাস্তি দিয়ে লাঞ্ছনা উপভোগ করিয়ে এরপর জান্নাতে নেওয়া হবে। এখানে মুনাজাত করা হচ্ছে, এই স্তরে যেন আমাদের না ফেলা হয়। আল্লাহ তার খাস বান্দাদের রোজ হাশরের দিন অপমানিত করবেন না। আমরা যেন তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হই, সে প্রার্থনা করা হচ্ছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments