নৃশংসতা-সামাজিক অবক্ষয় রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিন
অবক্ষয় আজকের দিনে সমাজকে কোথায় নিয়ে গেছে, সেটা ভাবতে গেলে শিউরে উঠতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজের পাতায় নৃশংসতা ও পৈশাচিকতার নানা খবর থাকে। এসব খবর বৈদ্যুতিক মিডিয়ায়ও দেখানো হয়। সংবাদপত্র কোনো নৃশংস ছবি ছাপে না। টেলিভিশনেও নৃশংস পৈশাচিকতার ছবি দেখানো হয় না।
নীতিগত কারণে এটা করা হয়। কোনো ছবি যেন মানুষের মনোজগতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে 'ট্রমা' সৃষ্টি করতে না পারে, এর জন্যই এটা করা হয়। ছবি ছাপা না হলে কিংবা টেলিভিশনে নৃশংসতার ছবি না দেখানো হলেও প্রকাশিত কিংবা প্রচারিত খবর মানুষের মনোজগতে প্রভাব ফেলছে। সাম্প্রতিক কিছু নৃশংস ঘটনা থেকে সবার এখন একটাই জিজ্ঞাসা- সমাজ যাচ্ছে কোথায়। সমাজ নিয়েই তো রাষ্ট্র। সমাজের গন্তব্য যদি অনির্দিষ্ট হয়, তাহলে রাষ্ট্র কি সঠিক পথে চলছে?
খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় এখন যেন অনেকটাই নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরের কাগজ খুললে দেখা যায় দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে খুনের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও অপহরণ করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে মুক্তিপণ। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পরও অপহৃতের মুক্তি মেলেনি। পাওয়া গেছে মৃতদেহ। কোথাও আবার তা-ও মেলেনি। সমাজ কোথায় যাচ্ছে- এসব খবর দেখে এমন প্রশ্ন যে কারো মনেই আসতে পারে। কারণ অনেক কিছুই এখন স্বাভাবিক বলে ধরে নিলেও কিছু কিছু বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা শুধু নয়, সারা দেশেই অপরাধপ্রবণতা যেন বেড়েই চলেছে। এই অপরাধপ্রবণতায় যুক্ত হচ্ছে নতুনমাত্রা। আগে যা দেখা যায়নি, তেমন ঘটনা ঘটছে এখন। কয়েক দিন আগে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢোকে একদল ডাকাত। বাড়ির লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও ঘরে গচ্ছিত টাকা-পয়সা লুটে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদল নিয়ে যায় একটি শিশুকে। বাড়ির লোকদের কাছে দাবি করে মুক্তিপণ। খিলগাঁও থেকে অপহরণ করা মেয়েটিকে পাওয়া গেছে মিরপুরের পাইকপাড়ায়। ডাকাতি শেষে এই যে শিশু অপহরণের ঘটনা, এটা অপরাধপ্রবণতায় নতুনমাত্রা। এর আগে শিশু অপহরণের পর হত্যা করে মৃতদেহ গুম করা হয়েছে। পানির ট্যাংক বা সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু একটি দুধের শিশু তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় সংসদ সদস্য ভবনে পাওয়া গেছে এক নারীর গলিত লাশ। সংসদ ভবন এলাকা সংরক্ষিত। সেই এলাকার একটি ভবনে কেমন করে একটি মৃতদেহ পাওয়া গেল, এটাও এখন বড় প্রশ্ন। জানি, নিজেদের নিরাপত্তা বিধানই এখন নাগরিকদের বড় দায়িত্ব। তাই বলে সংরক্ষিত এলাকাও কি এখন নিরাপদ নয়?
নৃশংসতা ও পৈশাচিকতার সাম্প্রতিক উদাহরণ বোধ হয় সৃষ্টি হলো ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার সাইফুলের মাধ্যমে। চট্টগ্রামে বসবাসকারী সাইফুল নিজের স্ত্রীকে হত্যা করার পর মৃতদেহ চার টুকরো করে বাসার ফ্রিজে অর্ধেকটা রেখে বাকি অর্ধেক নিয়ে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পথে গাড়ি চেকিং করার সময় ধরা পড়তে হয় তাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুলের নিজের অপরাধ নির্বিকার বলে যাওয়াটাও অনেককে অবাক করেছে। একটা মানুষ কতটা নৃশংস হলে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করার পর চার টুকরো করে অর্ধেক বাসার ফ্রিজে রেখে বাকি অর্ধেক নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হওয়া যায়, তা ভাবতে গেলে শিউরে উঠতে হয়।
মানুষ অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। রাজনীতি যখন কল্যাণমুখী ভূমিকা রাখতে পারে না, তখন সমাজে নানা অবক্ষয় দেখা দেয়। এই সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা না গেলে সমাজ থেকে অপরাধপ্রবণতা দূর করা যাবে না।
খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় এখন যেন অনেকটাই নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরের কাগজ খুললে দেখা যায় দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে খুনের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও অপহরণ করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে মুক্তিপণ। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পরও অপহৃতের মুক্তি মেলেনি। পাওয়া গেছে মৃতদেহ। কোথাও আবার তা-ও মেলেনি। সমাজ কোথায় যাচ্ছে- এসব খবর দেখে এমন প্রশ্ন যে কারো মনেই আসতে পারে। কারণ অনেক কিছুই এখন স্বাভাবিক বলে ধরে নিলেও কিছু কিছু বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকা শুধু নয়, সারা দেশেই অপরাধপ্রবণতা যেন বেড়েই চলেছে। এই অপরাধপ্রবণতায় যুক্ত হচ্ছে নতুনমাত্রা। আগে যা দেখা যায়নি, তেমন ঘটনা ঘটছে এখন। কয়েক দিন আগে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢোকে একদল ডাকাত। বাড়ির লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও ঘরে গচ্ছিত টাকা-পয়সা লুটে নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদল নিয়ে যায় একটি শিশুকে। বাড়ির লোকদের কাছে দাবি করে মুক্তিপণ। খিলগাঁও থেকে অপহরণ করা মেয়েটিকে পাওয়া গেছে মিরপুরের পাইকপাড়ায়। ডাকাতি শেষে এই যে শিশু অপহরণের ঘটনা, এটা অপরাধপ্রবণতায় নতুনমাত্রা। এর আগে শিশু অপহরণের পর হত্যা করে মৃতদেহ গুম করা হয়েছে। পানির ট্যাংক বা সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু একটি দুধের শিশু তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় সংসদ সদস্য ভবনে পাওয়া গেছে এক নারীর গলিত লাশ। সংসদ ভবন এলাকা সংরক্ষিত। সেই এলাকার একটি ভবনে কেমন করে একটি মৃতদেহ পাওয়া গেল, এটাও এখন বড় প্রশ্ন। জানি, নিজেদের নিরাপত্তা বিধানই এখন নাগরিকদের বড় দায়িত্ব। তাই বলে সংরক্ষিত এলাকাও কি এখন নিরাপদ নয়?
নৃশংসতা ও পৈশাচিকতার সাম্প্রতিক উদাহরণ বোধ হয় সৃষ্টি হলো ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার সাইফুলের মাধ্যমে। চট্টগ্রামে বসবাসকারী সাইফুল নিজের স্ত্রীকে হত্যা করার পর মৃতদেহ চার টুকরো করে বাসার ফ্রিজে অর্ধেকটা রেখে বাকি অর্ধেক নিয়ে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পথে গাড়ি চেকিং করার সময় ধরা পড়তে হয় তাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুলের নিজের অপরাধ নির্বিকার বলে যাওয়াটাও অনেককে অবাক করেছে। একটা মানুষ কতটা নৃশংস হলে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করার পর চার টুকরো করে অর্ধেক বাসার ফ্রিজে রেখে বাকি অর্ধেক নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হওয়া যায়, তা ভাবতে গেলে শিউরে উঠতে হয়।
মানুষ অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠছে। রাজনীতি যখন কল্যাণমুখী ভূমিকা রাখতে পারে না, তখন সমাজে নানা অবক্ষয় দেখা দেয়। এই সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা না গেলে সমাজ থেকে অপরাধপ্রবণতা দূর করা যাবে না।
No comments