দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-লাগাতার হরতাল গ্রহণযোগ্য নয়
হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি মানেই সংঘাত-সহিংসতা, জন-অধিকার খর্ব ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। গত দুই দিনের হরতালে আমরা আবারও তার প্রমাণ পেলাম। গতকাল দ্বিতীয় দিনের হরতালে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
এই যখন বাস্তবতা, তখন আবার আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। অর্থাৎ টানা তিন দিনের মতো এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে জিম্মি হয়ে থাকতে হবে জনগণকে। কাল যে নতুন কোনো সহিংসতা বা প্রাণহানি ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে? এ ধরনের পরিস্থিতি যেমন অগ্রহণযোগ্য, তেমনি এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করে, তা-ও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
হরতালের প্রথম দিন, অর্থাৎ রোববার পিকেটারদের হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক চালক। এর আগের দিন পুড়িয়ে মারা হয়েছে এক বাসচালককে। আমরা দেখছি, হরতাল সমর্থকেরা যেমন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে বর্বরতার প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কম যাননি। সেদিনই খুলনা সদর থানায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুজন কর্মীকে ঝুলিয়ে ও চোখ বেঁধে নির্যাতন করেছে সদর থানার পুলিশ। এই নিন্দনীয় ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করা যথেষ্ট নয়।
ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি বলেছে, জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন সংস্থার সামর্থ্যের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি লক্ষ করা যাচ্ছে। খুলনার ঘটনাটি তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ থাকার পটভূমিতে একাদিক্রমে দুই দিন হরতাল করার পর আবার হরতাল ডাকার যৌক্তিকতা নিশ্চয় প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল ও পিকেটিং করা স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। খুলনার ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ক্ষমতার চরম অপব্যবহার দেখিয়েছে। সংবিধান বলে দিয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করতে হবে। এর বাইরে তাঁর আর কোনো কাজ নেই। গোপনে সাংবাদিকদের তোলা ভিডিও সাক্ষ্য দিচ্ছে, থানার ভেতরে ঝুলন্ত ব্যক্তিকে পেটানো হয়েছে।
গত দুই দিনের হরতালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা শুধু যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারাই সাধিত হয়েছে, তা নয়। হরতাল পালনে জনগণকে বাধ্য করতে গিয়ে বিরোধীদলীয় কর্মীরা আইন হাতে তুলে নিয়েছেন, যা অবশ্যই নিন্দনীয়। বিরোধী দলের এ ধরনের তৎপরতা বন্ধের প্রথম দায় বিরোধী দলের নেতাদের। অন্যদিকে, যেকোনো নাশকতা কঠোর হাতে দমন করার প্রত্যাশা স্বাভাবিক। কিন্তু তা হতে হবে প্রচলিত আইনকানুনের আওতায়, আইন ভেঙে নয়। আমরা আশা করব, খুলনা থানার এ ঘটনাটি গত দুই দিনের হরতালে সংঘটিত অন্যান্য সহিংস ঘটনা থেকে আলাদা করে দেখা হবে এবং সে অনুযায়ী দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সর্বতোভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলী অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার পাক, সেটা সবার মতো আমাদেরও চাওয়া। কিন্তু এ জন্য নতুন করে আজ আবার হরতাল ডেকে যে জনদুর্ভোগ বাড়ানো হচ্ছে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলছে, সে দায় বিরোধী দল কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।
হরতালের প্রথম দিন, অর্থাৎ রোববার পিকেটারদের হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক চালক। এর আগের দিন পুড়িয়ে মারা হয়েছে এক বাসচালককে। আমরা দেখছি, হরতাল সমর্থকেরা যেমন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে বর্বরতার প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কম যাননি। সেদিনই খুলনা সদর থানায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুজন কর্মীকে ঝুলিয়ে ও চোখ বেঁধে নির্যাতন করেছে সদর থানার পুলিশ। এই নিন্দনীয় ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করা যথেষ্ট নয়।
ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি বলেছে, জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন সংস্থার সামর্থ্যের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি লক্ষ করা যাচ্ছে। খুলনার ঘটনাটি তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ থাকার পটভূমিতে একাদিক্রমে দুই দিন হরতাল করার পর আবার হরতাল ডাকার যৌক্তিকতা নিশ্চয় প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল ও পিকেটিং করা স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। খুলনার ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ক্ষমতার চরম অপব্যবহার দেখিয়েছে। সংবিধান বলে দিয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করতে হবে। এর বাইরে তাঁর আর কোনো কাজ নেই। গোপনে সাংবাদিকদের তোলা ভিডিও সাক্ষ্য দিচ্ছে, থানার ভেতরে ঝুলন্ত ব্যক্তিকে পেটানো হয়েছে।
গত দুই দিনের হরতালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা শুধু যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারাই সাধিত হয়েছে, তা নয়। হরতাল পালনে জনগণকে বাধ্য করতে গিয়ে বিরোধীদলীয় কর্মীরা আইন হাতে তুলে নিয়েছেন, যা অবশ্যই নিন্দনীয়। বিরোধী দলের এ ধরনের তৎপরতা বন্ধের প্রথম দায় বিরোধী দলের নেতাদের। অন্যদিকে, যেকোনো নাশকতা কঠোর হাতে দমন করার প্রত্যাশা স্বাভাবিক। কিন্তু তা হতে হবে প্রচলিত আইনকানুনের আওতায়, আইন ভেঙে নয়। আমরা আশা করব, খুলনা থানার এ ঘটনাটি গত দুই দিনের হরতালে সংঘটিত অন্যান্য সহিংস ঘটনা থেকে আলাদা করে দেখা হবে এবং সে অনুযায়ী দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সর্বতোভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলী অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার পাক, সেটা সবার মতো আমাদেরও চাওয়া। কিন্তু এ জন্য নতুন করে আজ আবার হরতাল ডেকে যে জনদুর্ভোগ বাড়ানো হচ্ছে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলছে, সে দায় বিরোধী দল কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।
No comments